সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদুয যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-৬১ (বিলাদত শরীফ ৫৩৬ হিজরী, বিছাল শরীফ ৬৩৩ হিজরী)

সংখ্যা: ২৯২তম সংখ্যা | বিভাগ:

হযরত খাজা কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে হযরত খাজা গরীব নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি চিশতীয়া খান্দানের পরবর্তী শাহানশাহ মনোনীত করে গদীনশীন করা (২)

আমার সম্মানিত শায়েখ, সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আমাকে বললেন, আপনার হিদায়েতের কেন্দ্রস্থল দিল্লী। আপনি সেখানে গিয়ে সম্মানিত তরীকার শাসনকার্য পরিচালনা করবেন। অতঃপর যখন “খিলাফত নামা” লিখা শেষ হলো, তখন আমাকে সেটা দান করলেন। আমি আমার সম্মানিত শায়েখ সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার শুকরিয়া আদায় করলাম। তিনি নির্দেশ মুবারক করলেন, সামনে আসুন। আমি একেবারে উনার কাছাকাছি চলে গেলাম। তিনি উনার পবিত্র হাত মুবারক দ্বারা নিজের পাগড়ী মুবারক মাথা হতে খুলে আমার মাথায় পরিয়ে দিলেন। হযরত খাজা উসমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পক্ষ থেকে হাদিয়াকৃত লাঠি মুবারক, জায়নামায মুবারক ও উনার নিজের হাত মুবারকে লিখিত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ আমায় দান করে বললেন, এসবই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে সম্মানিত আমানত। যা খাজেগানে চীশতের মাধ্যমে আমি লাভ করেছিলাম। এখন আমি আপনার নিকট এ সম্মানিত আমানত সোপর্দ করলাম। এর হক যেভাবে আমি ও আমার পূর্ববর্তী তরীকার বুযুর্গগণ আদায় করে এসেছেন, আপনিও তদ্রƒপ আপনার পরবর্তী বুযুর্গ উনাদেরকে এ সম্মানিত আমানত হস্তান্তর করে এর হক আদায় করতে বলবেন। যাতে হাশরের ময়দানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সামনে আমাকে লজ্জিত হতে না হয়। আমি উনার সমস্ত আদেশ-নিষেধ মুবারক সম্পূর্ণরূপে মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিলাম। আর শুকরিয়া স্বরূপ দু’রাকায়াত সম্মানিত নামায আদায় করলাম। তারপর তিনি আমার হাত মুবারক ধরলেন এবং নিজের সম্মানিত মুখ মুবারক আকাশের দিকে করে বললেন, যান। আমি আপনাকে মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরতী হাত মুবারকে সোপর্দ করলাম এবং আপনাকে মনজিলে মাকছূদে পৌঁছে দিলাম। সুবহানাল্লাহ!

অতঃপর বললেন, আপনি চারটি বিষয়ের উপর বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখবেন।

১। দরবেশ অর্থাৎ আপনাকে দেখে মনে হবে যেন আপনি ধনী ও ঐশ্বর্যশালী।

২। ক্ষুধার্ত মানুষকে আহার করাবেন।

৩। অন্তরে বিরহ ব্যথা থাকলেও বাইরে হাশিখুশি থাকবেন।

৪। যে ব্যক্তিকে নিজের দুশমন মনে হবে তার সাথেও বন্ধুত্ব ও সদ্ভাব বজায় রাখবেন।

যখন তিনি এসব নছীহত মুবারক শুনাচ্ছিলেন তখন আমি ভাবছিলাম যে, ক্বদম মুবারক বুছি দিয়ে বিদায় নিয়ে চলে যাব। তিনি আমার এ ইচ্ছাটা উনার পবিত্র অন্তর্দৃষ্টি মুবারক দ্বারা উপলব্ধি করলেন। বললেন, সামনে আসুন। আমি আদেশ মুবারক পালন করলাম এবং উনার পবিত্র ক্বদম মুবারকে পড়ে চুমু খেতে থাকলাম।

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১১৯

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১২০

ক্বায়িম মাক্বামে আবূ রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাখ্দূমুল কায়িনাত, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মহাসম্মানিত হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার দীদারে মাওলা উনার দিকে প্রস্থান-২৩৫

উম্মু মুর্শিদিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা আমাদের- মহাসম্মানিত হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সীমাহীন ফাদ্বায়িল-ফদ্বীলত, বুযূর্গী-সম্মান, মান-শান, বৈশিষ্ট্য এবং উনার অনুপম মাক্বাম মুবারক সম্পর্কে কিঞ্চিৎ আলোকপাত-৮৫

হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (২৫৪) ছবর উনার মাক্বাম এবং তা হাছিলের পন্থা-পদ্ধতি