সুমহান ছহীহ সুন্নাহ প্রচার,
মু’মিনী উপর ফরযে আইন হাদীছেই ইজহার।
ওই পাক হাবীবী ইরশাদ শুনি বিশ্বাসী অন্তরে,
রহি মুসলিমী শান রেখে উচুয়ান সুন্নতী প্রান্তরে।
ভালোবাসলো যে সুন্নত মোর, সে আমাকেই ভালবাসে,
সেই ভালোবাসার হলো ফলাফল জান্নাতে রয় মিশে।
ওই মুসলিম শুনো খোদায়ী কালাম, বর্ণিত উজ্জলে,
মোর পাক হাবীবী আদর্শেই আছে সফলতা কামালে।
তিনি তোমাদের তরে এনেছেন যাহা, তাহা ধর আঁকড়িয়ে,
যে বিষয়ে তিনি করেন নিষেধ, দাও ফেলে আছড়িয়ে।
ওই রবকে সবাই কর হে ভয়, গাফিল থেকোনা আর,
শুনো, বড়ই কঠিন কহি সমিচীন, খোদায়ী গ্রেফতার।
যখনই সুন্নাহ রবেই জারী বিদয়াত হবেই দূর,
মু’মিনী ঈমান রবে মজবুত ছহীহ আক্বীদার সুর।
ওই সুন্নাহ আমলে ইবলীস জ্বলে, ইহাই সত্য বাণী,
সুন্নতী রূপ পারে না ধরতে, হেরে রয় শয়তানী।
হায় চারিদিক দেখতেছি ঠিক মুসলিম খায় মার,
মুসলিমী দেশ ঘর-বাড়ি সহ পুড়ে করে ছারখার।
আহা বেইজ্জতের জিঞ্জিরে বাধা পরাজয়ে নতজানু,
মুসলিমী শান করেই বিরান কুফরীতে মিনু মিনু।
আহা ইহুদী নাছারা বৌদ্ধ নম ও নাস্তিকি হুংকারে,
রহে হয়রান নামে মুসলমান কেবল বশ্যতা শিকারে।
প্রায় ষষ্ঠশত, কোটি ইনসান, ধরাতে বিরাজমান,
প্রকাশ পনের শতক হিজরীতেই úষ্ট যে খতিয়ান।
বেশির ভাগই মুসলিম, আর কমটা বিধর্মী,
তবুও অধিক অংশ, রইছে ধ্বংস, আমলে কুকর্মী।
কেন বেশামাল বেহালী ঝরেই উপরে রইছে হায়,
কেন তাগুতের তাবেদারীতেই জাহান্নামী হয়ে যায়।
খোদায়ী বয়ান খুলেই কুরআন হের হে সমঝদার,
ইত্তিবায়ে হাবীবীতে হুব্বে খোদা যেনে লও আহকার।
তিনি গফ্ফার দয়ালু অপার, মিলে যে ইত্তেবায়,
কহি মুসলমান, শুনুন খুলে কান, সচেতনে সহসায়।
রব ও রসূলী খুশিতেই বলি, বন্দেগী করে যান,
উনারাই বেশি খুশির হক্বদার দুশমন যে শয়তান।
তাই হাবীব উনার সুন্নাহ প্রচারে গরক রইবো সবে,
ওই লাঞ্ছিত খাত রইবে নিপাত সুন্নতি পায়রুবে।
ছহীহ ইয়াক্বীন রাখো হে মু’মিন থেকো নারে পিছু টান,
এই নিখিল ধরায় মিলবে কোথায় সুন্নাহী সন্ধান।
তালাশ করা ফরযে আইন প্রতিটি মু’মিন তরে,
সুন্নাহ বিহীন জিন্দেগী রয় হামিশা তাগুতী ঘরে।
ওই সুন্নতী রাজ রাখতে বিরাজ তামাম জগত জুড়ে,
মোরা মুসলিম এক হয়ে রই সুন্নতী স্তরে।
পরাজয় আর ভুগবোনা মোরা রইবোই জয়ে জোরা,
ইহ পরকাল কামালে কামাল রবো না কপাল পোড়া।
শুনুন আহলে বাইতে রসূল যারা, উনাদের ক্বারিবান,
ওখানে ছহীহ বুঝ করুন খোঁজ, বাকি পাকে হয়রান।
আজ বেশি সংখ্যায়, মুসলিম হায়, রুগী খাতে গুজরান,
আহলে বাইতি চিকিৎসালয়েই তরিৎ রই হাজিরান।
চৌদ্দশত বিয়াল্লিশ হিজরী সনের চৌদ্দ শাওওয়ালী ধ্বণি,
বিলাদতী শান করেন প্রকাশ মুাজদ্দিদে আলফেসানী।
কঠিন কুফরী, শিরিক, নাস্তিকিবাদ ধ্বংস করেন তিনি,
করেন স¤্রাট আকবরী দ্বীনে ইলাহীকে সম্পূর্ণই ফানী।
তিনি যে সুন্নতী মহামানিক জীবন্ত বাহাদুর,
হাজার বছরের মুজাদ্দিদ তিনি, আপোষহীন শাহীনূর।
তিনি রসূলী কালাম ইলাহী ইনাম সুন্নতী আবেদীন,
করেন দ্বীন ইসলামী বিজয়ী পতাকা পূনরায় উড্ডিন।
অনুরূপ বীর, তার চেয়ে বেশি সুন্নতী আলিশান,
তিনি আহলে বাইতি হাবীবী তোহফা, ধরাতে বিরাজমান।
ওই উনার রোবেই তামাম তাগুত কম্পিত আবাদান,
তিনি ক্ববিউল আউওয়াল জাব্বারিউল আউওয়াল শাহানশাহ মেহমান।
তিনি ইমামুল উমাম, রহমে আওয়াম হাবীবী কায়িম মাক্বাম,
তিনি মাহিউল বিদয়াত তাগুত বিনাশি মাখলুকি ইরহাম।
তিনি বিশ্ব মাঝেই একক বিরল কুওওয়তে গুজরান,
ওই তিনিই বালাগাল সুন্নি আলাল, আলমের আলোয়ান।
তিনি মুত্বহহার, মুত্বহহির খলীফায়ে আসসাফফাহ শানে,
ভূবনে যাহির সুন্নী মাহির মাহিব মুহিবী গুণে।
তিনি বেপরওয়া, রব ও রসূলী খলীফায়ে বেমিছাল,
তিনি বিলকুল দিলেন মিটায়ে বাতিলের কুট চাল।
খলীফায়ে পাক দিচ্ছেন ডাক, হে ক্বওমে মু’মিন কুল,
খালিছ তওবা, কর হে সকলে, ধর ইসলামী মূল।
সুন্নী জীবন, কর হে গঠন, সুন্নাহ প্রচারে রহ,
তবেই বেহিসাব হবে কামিয়াব, জীবন অর্থবহ।
এসো দুনিয়ার মুসলিম সবে ফিরে পেতে অধিকার,
করি খলীফায়ে আসসাফফাহী হাতে দ্বিধাহীন অঙ্গিকার।
পাক মুর্শিদী মদদ ইহসান, তাওয়াজ্জুহ ফায়িয পেয়ে,
ওই জগত জুড়েই সুন্নাহ প্রচারে হরদম রহি জিয়ে।
-বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৭
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে -২৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩০