সুমহান শা’বান,
উহা রহমানী ধন, রহেন প্রতিক্ষণ,সহসা যে আবাদান।
মহান সম্মানিত রমাদ্বান বাণী এ মাহেই আহবান,
জানান প্রতি মুসলমান, হয়ে মিজবান, আহলান সাহলান।
এ মাহেই বড়, বরকত জড়, আইয়্যামুল্লাহ সমাহার,
মিলে মু’মিনী দিলের বেহেস্তি নূর, জাগরূকে দূর্বার।
এ মাহের পনের মধ্যভাগ, দোয়া কবুলের রাত,
ওই এক বছরের মিলছে রিযিক রব হতে কায়িনাত।
এই শা’বানের প্রতি দিবস রজনী চমকিছে নিয়ামতে,
রব ও রসূলী রেযা মকবূলী যোজন যে পরিমিতে।
ওই কুরআনী নূর বর্ষিতেই, যমীন যে উর্বর,
খ¦ালিক মালিকি ইহসানে ঘেরা, শা’বান নির্ভর।
বেমিছাল শা’বান খোদায়ী খতিয়ান, মুসলিমী নজরানা,
রহেন মু’মিনীন পেতে সমীচিন, তোহফায়ে রহমানা।
ওই মাহে ইলাহী, পেতেই কহি, হাত তুলে রাব্বানা,
মোদের নসীব করুন ধন্য, দিয়ে রমাদ্বানী খাজিনা।
আয় আহাদ, করি ফরিয়াদ, রই মজলূম ধরাধামে,
মোরা ইহুদী নাছারা মুশরিকী ভয়ে, রহিতেছে নির্ঘুমে।
ওরা মান ইজ্জত সম্ভ্রম লুটে, উল্লাসে রয় মেতে,
তারা নির্দয়ে মারে, ক্বওমে মু’মিন, মিথ্যার অজুহাতে।
জানি, ওই তাগুতবাদীরা এক দেহেতে রহেই বিরাজমান,
ওই খোদাদ্রোহী একই খোয়ারে করে যে অবস্থান।
ওই মুনাফিক সব ধান্দাবাজেরা হরদম বহুরুপী,
রয় ওই হিংসুক অহংকারীরা, চালবাজীতেই ছাপি।
জানি ওরা ধোকাবাজ কুলাঙ্গার, মুসলিমী দুশমন,
জানি ওরা সনাতন ইবলীসি তন, সদা করে প্রহসন।
জানি ওরা যে নাপাক, ইতিহাসে রয় বলৎকার,
জানি ওরা যে তাগুতী মনরঞ্জানি নর্তকি দফাদার।
ফের ওদের গোলাম উলামায়ে সূ মালানারা আগুয়ান,
ফের ওদের পোষ্য গরুরাই নামকাওয়াস্তে মুসলমান।
ফের ওদের খায়ের খারাই ইবলীসি ছানা গাহে,
ফের ওদের পোষ্য গুরুর পাল নমদের ঘানি বহে।
মুশরিক হায়, রক্তে রাঙ্গায়, তাহাদের দুই হাত,
মুসলিমদের খুন করে বলে, করলাম উৎখাত।
ফের মুসলিম মুক্ত করতে ভারত এক হলো মুশরিক,
ওই মুসলমানেরে করতে শহীদ ঘিরে রাখে চারিদিক।
এহেন নিদানে ছাহাবী শক্তি, চাই খোদা দয়াময়,
কায়িনাত মাঝে রাখবোই মোরা, কাফিরকে পরাজয়।
মোরা মুসলিম জাতি ত্যাগে দুর্গতি, ছেড়ে সব ব্যবধান,
মোরা ঐকতানেই করবো জিহাদ বিশ্ব মুসলমান।
প্রশংসা আপনার করি বেশুমার, আয় খোদা রহমান,
দিলেন খলীফাতুল উমাম শ্রেষ্ঠ ইনাম আত তাসি রমাদ্বান।
তাইতো মু’মিন মুসলমানেরা, আমিন বলছি সবে,
পেয়ে খলীফায়ে আল মানছূরেই, জজবাতে রই ডুবে।
তিনি আহলে বাইতি আজমতি নূর খলীফায়ে উমাম হয়ে,
তাশরীফ আনেন তাসলীম দেন দ্বীনিয়াতি দূর্জয়ে।
তিনি পাক হাবীবী সুন্নত দিয়ে রাঙ্গায়ে মুসলমান,
করেন ওহুদ বদরি বাহাদুর গড়ে, ইখলাছে বলিয়ান।
তিনি যে তরিৎ সুন্নত দিয়ে জাগান ঈমানী জোশ,
তিনি নিস্তানাবুদ যাচ্ছেন করে মুশরিকি আক্রোশ।
কহি তিনি যে তামাম ঈমানদারের মজবুত শিরমণি,
তিনি আখাছছুল খাছ খোদায়ী খলীফা রব্বি মেহেরবানী।
শুন মুশরিক ওই ম্লেচ্ছ যবন, আল মানছুরী হুংকার,
মোরা তাবত ভারত করবো দখল, বলছি পূনর্বার।
ফের খিলাফত শুরু আলবত, ভারত থেকেই হবে,
ওই গাযওয়ায়ে হিন্দ এলো ক্বারিবান সুন্নাহি গৌরবে।
মোরা বাংলার মুসলমানেরা, সবে আজ হয়ে এক,
খলীফায়ে আল মানছূরী রোবে, দিচ্ছি তোদেরে ঠেক।
রহি বাংলাদেশের ত্রিশ কোটি মুসলিম নাগরীক,
মোরা শহীদ গাজীর সৌরভে রহি, গর্বিত নন্দিক।
ইনশাআল্লাহ করবো ক্বায়িম বিশ্বব্যাপী, সুন্নাহী খিলাফত,
ওই খলীফাতুল উমাম দেন আঞ্জাম, আকরামী ইনাবত।
খ¦ালিক মালিক আল্লাহ আপনার, ইহসান চাই মোরা,
দিন কুওওয়াত, জাহির বাতিন, জিহাদে রইতে জোরা।
-বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৬
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৭
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৮
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৯