মকবূল রহমতি বহর,
ইলাহি উনার দয়াতে অপার সজ্জিত মাহে ছফর।
এ মাহের কোলে আইয়্যামুল্লাহ দোলে ইহসানে নূরে নূর,
মুসলিম জাতি, পায় ফিরে পায় এ মাহেই বিস্তুর।
এ মাহেই বড় খুশির ফোয়ারায় চমকিছে কায়িনাত,
আহলে বাইত ও আছহাব সব ইশকের ইতায়াত।
শুনুন দান ছদক্বায় প্রতিযোগিতায় কুরবানী বেশুমার,
ইতিহাস দিনার দিরহাম স্বর্ণসহ উষ্ট্রের সমাহার।
কে ওই তিনি খিদমতে উনার এতসব আয়োজন?
তিনি যে হলেন আখিরী রসূল রহমতি মহাজন।
হাবীবে খোদায়ী মারিদ্বী শান, ধরাতে প্রকাশ হয়,
ছিহহাতী শান যে এ মাহে যাহির, নন্দিত প্রত্যয়।
রে মুসলমান ঈমানদার সবে গড় হে ঐকতান,
বাতিল বিদয়াত কুফরী শিরিক রহে ঢের বলিয়ান।
পুরোটা বিশ্বে নিঃশ্ব রাখবে মুসলিমদের হায়,
কুখ্যাত ঐ তাগুতী চামচা ইহুদীরা কহে যায়।
তিনশ বছরের প্রটোকল নিয়ে তাদের কর্মশালা,
দুনিয়াব্যাপী তৎপর শুরু এখনও যে উত্বালা।
চৌদ্দশত পয়তাল্লিশ হিজরী সনে শেষ হবে সেই চাল,
কিন্তু যে তারা খোদায়ী গযবে পুরোটাই বেশামাল।
দেখ ধূর্তবাজ ওই ইহুদী ফন্দি গযবে হচ্ছে শেষ,
বন্যা প্লাবন ও আগুনে জ্বলছে ইহুদীর পুরো দেশ।
কঠিন কঠিন নব্য ব্যানারে ধরাশায়ী আজ তারা,
রহে অর্থনীতিও ধ্বংসে গরক, ইহুদীরা দিশেহারা।
তাদেরে আজ পেতেই হচ্ছে, চৌদিক হতে ধিক্কার,
তারা ধোকাবাজ তারা বেলাহাজ তারাই কঠিন বদকার।
শুধু ইহুদীই নহে আরো কহি রহে, শুনে রেখ ইনসান,
বলি হিন্দু, বৌদ্ধ, নাস্তিকসহ আরো আছে খ্রিস্টান।
মুসলিমদের দুশমন সবে, খোদায়ী গযবে ধরা,
নিস্তানাবুদ হচ্ছেই তারা, ছাড় নেই আর থোরা।
ইলাহী মার দুনিয়ার বার, শুন সব দুশমনে,
ওরে ও পিচাস দেখ ইতিহাস সত্যের আবাহনে।
কার উসীলায় চুরমাচার, তাগুতী ফন্দি ফিকির,
রহে কার রোবে পরে বাতিলপন্থী তপ্তেই অস্থির।
কার ফায়িজেই ফেসে রহে আজ তামাম তাগুতী পণ,
কার দোয়াতেই অগ্নি লাভায় তাগুতের বিচরণ।
শুন, তিনিই হলেন ইমামুল উমাম আমীরুল মু’মিনীন
তিনি খলীফায়ে আস সাফফাহী তখতে শওকতে সমাসীন।
অবশ্যই, উনার মহান দোয়ায় তাগুত সমূলেই ছনছার,
কেবল উনার মুবারক ছোহবতে আছে বিজয়ের আবরার।
আজকে উনার তাজদীদে পাই সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ,
উনিই ইমাম কারামে মাওলা মাকবুলী ইমদাদ।
দেখি, তাওয়ারিখে আহলে বাইত, উনাতেই জাগ্রত,
তিনি বিস্তারিত জানান, দানেন, সচ্ছ ও শুভ্রত।
লিল্লাহী মহাবীর,
তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম রহমে আলম ইসলামী রাহগীর।
তিনি কুরআন মজীদি দ্বীপ্ত নূর শাহান শাহ বরকত,
তিনি পাক হাদীছি মঞ্জুরী নাজ আফসারী রহমত।
তিনি ইজমা ক্বিয়াসী নির্ণিত নীর ইহসানী আমানত।
তিনি তাছাওউফি ইন্তিহায়ী দান রহমানী শরাফত।
তিনি হাবীবী হাওলা মাওলায়ে লালা মাখলুক্বী রাহবার,
ওই তিনিই সালামত সুন্নতী খত, ইছলাহী সরবর।
তিনি আহলে বাইতী মহামতি ওই বিরল সূর্যখান,
তিনি হাবীবে পাক উদ্যমী নূর, আছহাবী আরমান।
তিনি আউলিয়ায়ে আক্বলি দলীল কামিলুল ইনসান,
তিন দস্তুর, দিশারী নূর, তেড়ে দেন শয়তান।
তিনিই ইমামুল উমাম পাক সাইয়্যিদী মুজতাহিদ,
তিনি সচ্ছ করেই হাদিয়া দানেন সুন্নত ও তাওহীদ।
তিনি পবিত্র দ্বীন ইসলামকেই যিন্দা করার তরে,
তিনি বেঁধেই ফেলেন মুসলিমদের ঐক্যের বাহু ডোরে।
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ জারি যে রাখেন তিনি,
সাইয়্যিদিশ শুহূর যিন্দা রাখেন দায়িমী দ্বীপ্তে দানি।
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ প্রতিদিন আবাদ কায়িনাতে দায়িমান,
ইহাই তো খোদ খোদায়ী খাজানা আলবৎ আবাদান।
তাই, আজ পৃথিবীর তামাম মু’মিন ক্বীল-ক্বাল ত্যাগে আয়,
ভেদাভেদ ভুলে আয় আয় চলে, সময় যে ফুরে যায়।
ক্রান্তির সিড়ি ডিঙ্গাতে যেয়ে ক্লান্তি যে ধরে চেপে,
হেলা ভুলে মোরা রহি সচেতন সময়টি সহ মেপে।
তাই ছফরের পর মাহে রবীউল সমাগত জানা চাই,
এ মাহের হক্ব, আদায়ে অপলক, বিকল্প কিছু নাই।
ওই জজবা ও জোশ হিম্মতী নাজ সমঝের দৃষ্টিতে,
আকড়াই সবে, রবীউলী তাবে, দ্বাদশের লগ্নিতে।
মু’মিনের সেরা সম্পদ হলো সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ
আউওয়াল আখির ইহাই তাবির নেই এতে বরবাদ।
ঘোষণা দিলেন ইমামুল উমাম, মুবারক ইজলাসে,
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শ্রেষ্ঠ জিহাদ আশরাফী মজলীসে।
-বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংগের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২০
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ২১
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৪