শুনি কুরবানী আহ্বান,
ওই মুসলমানেরা এক হই সবে সুন্নতী ময়দান।
এলেন মাহে যিলহজ্জ জানাতে মোদের আহলান সাহলান
মোরা মুসলিম তাকে তা’যীম করতে রবো পাশে অম্লান।
দশ এগার বার তারিখেই মাহে যিলহজ্জী কোলে,
কোটি কোটি পশু পরিপাটি, কুরবানীতেই দোলে।
তাই খোদায়ী খইর লভিবার তরে মুসলিম প্রতিবার,
ইলাহী ওয়াস্তে দেন কুরবানী জাহিরীতে ইযহার।
কিন্তু কেউ কি দেখেছি গো ভেবে, কেন দেই কুরবানী?
কেন মোটা তাজা আর নাদুস নুদুস পশুর আকর্ষণি?
কি মহত্ম কুরবানী মাঝে গুরুত্ব বা কতখানি?
কী নির্দেশ খোদায়ী অশেষ, নিচ্ছি কি তাহা জানি?
নেই যেনে নেই কুরবানী? সবক শুনুন মুসলমান,
খালিক্ব মালিক রব্বি রহমে নিবো মোরা সেই জ্ঞান।
ওই আত্মত্যাগের আজমতি শামস ইমামুল উমাম তিনি,
তা’লীম দিলেন সহজ করেই, মাসয়ালা কুরবানী।
মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীবী রাজিতে কুরবানী দেয়া চাই,
যাহির বাতিন অন্তরে যেন রিয়ার প্রভাব নাই।
লিল্লাহিয়াতী জজবাহী জোশে উজাড় হতেই হবে,
হালাল অর্থে, সুন্নাহী মতে, শরীয়তী তরতীবে।
ওই খোদায়ী পথে ও রসূলী মতেই কুরবানী বিলকুল,
এর বিপরীতে রবে প্রতারিতে, ইয়াক্বীন রাখো হে মূল।
মুবারক ইমামুল উমামী ফতওয়ার প্রকাশ, কুরবানী রেসালা,
সংগ্রহ করুন, মনযোগে পড়ুন, সৎ মতে হরবেলা।
তামাম নবী রসূল, আহলে বাইত, আছহাব ও আউলিয়া,
উনাদের পবিত্র পক্ষ হতেই সুন্নতী তরীক্বা নিয়া।
শুনুন, সর্বোচ্চ ওই খুলুছিয়াতেই ইমামুল উমাম তিনি,
দেন সহস্রাধিক পশু কুরবানী, হয়ে মিছদাকে গণি।
শুনুন, ইমামুল উমাম তিনি ইলাহী উনার আকবরী ইহসান,
তিনি নজরে কারাম, আখিরী যুগের দ্বিনদারী আরমান।
কহি আজকে খোদায়ী রুবুবিয়াতের তিনি তো মধ্যমণি,
তিনি আখিরী রসূলী লালাহি বালাগ মিছদাকে রহমানী।
তিনি তাগুতের তখত জ্বালাতে তাশরীফ জড়ভূমে,
তিনি ইবলীসি চাল নিঃশেষ তরে রহেন পারঙ্গমে।
তিনি মাহিউল বিদআত মহাবীর, রাহগীর কায়িনাতে,
তিনি মুহিউস সুন্নাহ জগতটাই পুরো রাখছেন সুন্নাতে।
রসূলী রঙে রঙিন তিনি, অধীনে রাখেন তামাম শান,
ফের ইলাহী রঙে রঙিন হয়ে, জাগান মুসলমান।
তিনি পথহারা সব মুসলিমদের তাগুতী ভেল্কী থেকে,
পরম আদর ও সাদরেই এনে, রাখেন শান্তি বাঁকে।
তবুও মূর্খরা আজ ঈমান হারিয়ে কুফরীর মজলিসে,
আহা মুসলমানেরা হুমড়ে পড়ছে ইবলীসি তালবিসে।
তাই হাহাকার মাহমারি রুপে, টর্ণেডো হয়ে আসে,
আহা তিরস্কারের কঠিন সাগরে মুসলিম রহে ভেসে।
দেখি কাফির মুশরিক নাস্তিক সহ ইহুদী নাছারা মিলে,
হায়রে ধোকায় রেখে মুসলমান মারছেই তিলে তিলে।
ওই রহিঙ্গা আসাম, কাশ্মীর সহ সিরিয়া ফিলিস্তিনে,
আহা নির্মমভাবে, হত্যা ও গুম, করছেই সবখানে।
মোদের বাংলাদেশকেও ভয়ংকরভাবে ধ্বংস করেই দিতে,
ওরা চাহে জঘণ্য সব ষড়যন্ত্রের ঘোর প্যাঁচে আটকাতে।
তাই ভারত আমেরিকা চীন মায়ানমার হুংকারে বার বার,
তারা বাংলাদেশের মুসলিমদের করে দিবে ছারখার।
এই বাংলাদেশের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান মিলে আজ,
একের পর এক মুসলিম শিরে মেরেই চলছে বাজ।
ধোকার ফানুসে আটকায় তারা প্রশাসন কাঁধে চড়ে।
বড় বড় পদ, করছে দখল, ভারতী ভূষণ পড়ে।
ওই ম্লেচ্ছ যবন মুশরিক নারী বদনাম করে বলে?
আহা সংখ্যালঘুদের ঘর বাড়ি নাকি মুসলিম দেয় জ্বেলে?
মুসলমানেরা চার কোটি ওই মুশরিকরে গুম করে,
এখনও দু কোটি সংখ্যালঘুরা গুজরায় ভিতু ঘরে।
করে ইনিয়ে বিনিয়ে কাঁদো কাঁদো স্বরে ওই নারী আব্দার,
আমেরিকার শাসক ট্রাম্প দ্বারে দেয় মিথ্যুকি সমাচার।
মুসলমানদের দুশমন ওই ট্রাম্প সাথে সেই নারী,
হ্যান্ডশেক করে সাহায্য চায় প্রতিশোধ নিতে পারি।
ওই নারী ফের ইহুদী গুপ্ত সেমিনারে দেয় যোগ,
গভীর কঠিন দুরভিসন্ধির ডাইনিটা দেয় ভোগ।
কুটনি দাঁত কেলিয়েই ধৃষ্টতা হায় দেখায় কুলাঙ্গার,
সাবধান! ওই নারীসহতার নেপথ্য মদদগার।
জঘণ্য ওই অপয়া নারী কতটা সাহস পেলে,
বাংলাদেশ ও মুসলিম নিয়ে যা ইচ্ছা তাই বলে।
উঠো হে গর্জে বাংলাদেশের পঁচিশ কোটি মুসলিম,
শুনুন ইলাহী শক্তি আমাদের খুণে বহে যে অপরিসীম।
মুজাদ্দিদে আ’যম ইমামুল উমামী ফুয়ুজাতী বরকতে,
ওই দুশমনদের তাড়াবোই মোরা সোনার বাংলা হতে।
মুসলিম মোরা ঐক্য গড়তে পিছপা রবোনা আর,
করছি শপথ মুর্শিদী হাতে আমরা ঈমানদার।
-বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলের বলে, মুনাফিক গংদেও হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫৭
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫৮
আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬১
আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলৈর বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬২