ওই রবীউছ ছানী মহামতি সুমহান,
উহা খালিক্ব মালিক রব রহীমি বেমিছাল অনুদান।
হাজারো লক্ষ নেয়ামত রাজি চমকিছে মাস জুড়ে,
উহা রহমত আর বরকতি শ্রোতে ছল ছল ফুরফুরে।
এ মাহের কোলে আহলে বাইত আউলিয়া জৌলুসে,
তিন পাঁচ আর এগার আঠার ঊনিশের উচ্ছ্বাসে।
রহেন সমাহার নূরে বেশুমার অনন্তে একাকার,
আল খালিক্ব উনার সৃষ্টি বাহার রকমারী মনোয়ার।
বিনতে রসূল সিবতে রসূল উনারা সৃষ্টি মেলে,
খোদ খোদায়ী আখাচ্ছুল খাছ দায়িমান মকবুলে।
ফের রবীউছ ছানীর এগার তারিখে সুমহান বড় পীর
বেছালী শান করেন প্রকাশ গাউছুল আ’যম দস্তগীর।
তিনি ষষ্ঠ হিজরীর মুজাদ্দিদ হয়ে জমিনেই জাহিরান
রহে উনার রোবেই তামাম তাগুত হরদম পেরেশান।
রহে হতচ্ছারা বাতিল বেশরা প্রতিপাতে প্রতিক্ষণ,
তিনি ইসলামী উদ্যমী নূর সাইয়্যিদী সমিরণ।
তিনি শৈরাচারির সামানা গুড়িয়ে সুন্নতে আগুয়ান
তিনি জালিমের জুলমাত জ্বেলে ইতিহাসে মহিয়ান।
তিনি বেমিছাল বালাগাল হয়ে জগতে জ্যোতির্ময়,
তিনি মু’মিনের হৃদয়ে রহেন সর্বদা অক্ষয়।
তিনি যাহির বাতিনী বীর বাহাদুর গ্রহনীয় ইতিহাস,
তিনি যে হাবীবী বরকতি লালা ইহসানে বিশ্বাস।
তিনি ইসলাম জিন্দার বেলা অগ্রণী বেমিছাল,
তিনি হরদম ইবলিসি চাল করে দেন পয়মাল।
যবে আব্দুল্লাহ বিন ছাবাহি ফিতনা মুসলিমী আঙ্গিঁনাতে
কঠিন ফিতনা দিচ্ছে ছড়ায়ে ইসলামী কায়িনাতে।
দিদাহী দ্বন্দ্বে কাতরায় হায় মুসলিমী অভিজাত,
নানান বাতিল ফিরক্বা জন্মে করছিল উৎপাত।
সেই সে নিদানে সুন্নাহি দানে হযরত বড় পীর,
গাউছিয়াতির প্রবল ফায়িজে নাশেন তাগুতী নীড়।
ফিরায়ে আনেন নববী নেওয়াজ সমাজে পুনর্বার,
তাই এগারই শরীফ স্মরণে জাগায় সেই নূরী সমাচার।
মুবারক জুমাদাল ঊলা লালায়ে আ’লা নিয়ামতে মাহে নূর,
আসমানী জোশে এ মাহের পাশে তাওয়ারিখে ভরপুর।
আহলে বাইতি তাবাররুক বেশ মুকররম বহুতর,
নয় তারিখেই তাশরীফ আনেন ইসলামী মনোহর।
ওই মনোহর বড় বেহতর ইহসানী মু’মিনীন
তিনি হলেন হাদিউল উমাম মিল্লাতে আমিরীন।
তিনি তাগুতী তত্ত্ব করেন রপ্ত তাবা করে দেন পুরো,
তিনি সুন্নিয়তের তেজস্বী তীরে বাতিল করেন গুড়ো।
হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম নিসবাতুল আযীম উনার,
বাইশে জুমাদাল ঊলায় সুসম্পন্ন, ইতিহাসে আনওয়ার।
এভাবে একাধিক কাহিনী সৌমিক চমকিছে এই মাহে,
শুনুন উহা অনাদি অন্ত রহেন জ্যান্ত বরকতী অবগাহে।
ফের নয়শত বছর পরেও আবার অধুনা ধরণী বুকে,
আব্দুল্লাহ বিন সাবাহি ফিতনা কঠিন কণ্ঠে হাঁকে।
মুসলমানের সকল ভূমেই ভয়ালো আকারে হায়
ধরছে জড়ায়ে সেই সে ফিতনা নরকীয় কাহিনায়।
নতুন রূপেই নতুন ধাঁচেই তাগুতী মদদ পেয়ে,
আহা মুসলিমদের অস্থির করে ছাবাহী ফিতনা দিয়ে।
হায় এহেন সুযোগে ঈমান আক্বীদা বেহুদা করেই ছাড়ে,
চিল্লা ফরজ বলেই এবার বাড়ী থেকে বার করে।
শুনুন সেই ছাবাহী ফিতনাই হলো ইলিয়াসি তাবলীগ
ছয় উছূলের নব্য রীতিতে হলো সে বিজ্ঞ বিগ
তারা ছল চাতুরীর সুক্ষ্ম সাবলে মারছে মুসলমান,
নেকীর ছূরতে মুসলিম জাতি করতেছে বেঈমান।
আর তিন চিল্লায় দিচ্ছে বলি জান্নাতি সওদায়,
ফের নবীওয়ালা কাজ করছে ভেবে উপদেশ আওরায়।
সহজ সরল কওমে মু’মিন সহজে তাদের ফাঁদে,
যায় আটকায় সহসা হেথায় ছাওয়াবের উন্মাদে।
দেখি মূর্খ বকলম বেআলিমদের হাদীর আসনে রেখে
ছয় উছূলের তাবলীগ দিয়ে হক্ব রাহা দেয় রুখে।
যাহিরান তারা কলেমা, নামায, রোযা ও যিকির বেলা,
দিচ্ছে কিছু দিক্ষা তবে করছে তাগুতি খেলা।
দ্বীন ইসলামী পুরনো শত্রু সাবাহী ফেরক্বা হায়,
মুসলিম বিশ্বে উঠছে জেগেই তাবলীগি আখড়ায়।
খোদায়ী সিংহ পাক মুজাদ্দিদ ইমামুল উমাম তিনি,
আহলে বাইতি দ্বীপ্ত সূরুজ মুহিউদ্দিন যিনি।
নব্য সাবাহী ফিরকার শির করে দিতে চুরমার,
আল বাইয়্যিনাত উনার দলীল দ্বারাই করছেন ছনছার।
হায় ইলিয়াসি তাবলীগিদের গোমর যে হলো ফাঁস,দ
পড়লো নিজেদের মাঝে প্রবল দ্বন্দ্বে, নেই হেথা অবকাশ।
দেখি অশ্লীল আওয়াজে গালাগালি, এমন কি মারামারি,
হত্যা ও খুন গুম করে ফেলে, ক্ষমতা নিচ্ছে কারি।
তাই রাজারবাগ শরীফ আসুন সবে আখিরাতে ত্বরাবার,
তাগুতি ফিরক্বা তাবলীগি থেকে রহুন যে হুঁশিয়ার।
-বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৪৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে-৪৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫০