পুতঃপবিত্র রবীউল আউওয়াল
তিনি যে উজ্বাল কামালে কামাল সৃষ্টিতে বেমিছাল।
তিনি কামিয়াব বেহিসাব হয়ে প্রকাশিত কায়িনাতে,
তিনি আনোয়ার মনোয়ারে দেন মাকবুলি ইতায়াতে।
তিনি সঞ্জিব ওই তাঞ্জিবী শানে উরুজেই একাকার,
তিনি ইহসান শানিদান মোহে লুফে লন অধিকার।
তিনি যে ধন্য গণ্য যে রন আলোকিত কাহিনায়,
তিনি আজিমাত হাসানাত রুপে রব্বানী মহিমায়।
সুবহানাল্লাহ! ওই আল্লাহ পাক উনায় করেছেন পূর্ণ কামাল,
কুল মাখলূক্ব সহ ইলাহী খোদ জানাচ্ছেন তলায়াল।
বেনজীর আলাল রবীউল আউওয়াল মাখলূকী উদ্যানে,
বাগে জান্নাত রহেন ইনাবাত খ্বলিক্ব মালিকী ফরমানে।
মুবারক রবীউল আউওয়ালী খুলুছিয়তের উত্তালে,
জিন ইনসান মালাইক মাঝে জেঁকে রহে নও বলে।
সেই রবীউল আউওয়ালী হিলালি আলোয় আলোকিত কায়িনাত,
হেরী নও নব সাজে সঞ্জিত মাস শাহী নাজে ইনায়াত।
এ মাহের বাগে পুষ্প হয়েই জেগে আছে সারা রাত,
ছিয়াম ক্বদর মিরাজ বরাত হজ্জ ও ঈদের নাত।
এ মাহের মাঝে গচ্ছিত আজো মুক্তির মতিয়ার,
ওই সমঝদারের জেহেনে জাগছে অনন্ত আতহার।
সাইয়্যিদুশ শুহূর বন্ধু বাহুতে ধরেন জড়ায়ে মুসলিমীন,
এ মাহে মত্ত মাধুরি লগ্নে প্রতি আশিকান আজমাঈন।
আল হাসানাত আল বারাকাত বর্ষিত রহেন মুহুর্মুহু,
হাবীবী নজরে পলোকিত নূরে ছলাত ভেজেন আল্লাহু।
ওরে ও মু’মিন কহেন আমীন ছলাত সালামে ইলাহী সন,
কেন হে খোদায় পাঠান তোমায় জেনে রেখো এই ক্ষণ।
ইহা আযমত মারিফাত কই তাফসীর খুলে নিন গুণে,
কহি ইহাই শ্রেষ্ঠ ইবাদত জানি বর্ণিত ফুরক্বাণে।
এ মাহে জান্নাত নিন চেয়ে নিন খোদ খোদায়ী দরবারে,
কামিয়াবে উচ্ছল এই সেই মাস বারই শরীফি উপহারে।
করবো ক্বদর মোরা বহুতর জীবনের সব থেকে,
ইহাই চরম চাওয়া যে পরম মুসলিমী আখলাক্বে।
নয়কো আযব বলি বাস্তব কুরআন হাদীছি ক্বওল শুনি,
আশিকে হাবীব কইরে কই জেনে নিন সেই বাণী।
সেই তত্ত্ব রাজ বলবোরে আজ মুর্শিদী ইরশাদে,
মোরা খুলে কান শুনবো সে শান, থেকেই ইত্তেহাদে।
অন্তকালব্যাপী জারিকৃত,
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ রহেন আবাদ অনন্ত অমৃত।
আর সুমহান মহামতি শান প্রকাশ করার তরে,
সেই স্বয়ং রব নহেন নিরব মাখলূক্বী বন্দরে।
কহি বেমালুম নবী ও রসূল আউলিয়া দ্বীনদারে,
করেন প্রচার বহু বেশুমার উনারা সবিস্তারে।
ছিদ্দীক্বীন শুহাদা ছলিহীন, তাবিয়ীন তাবি তাবিয়ীন,
বারই শরীফ, করেন তা’রীফ, নেই এতে গমগিন।
কহি ইমাম মুজতাহিদ মাযহাব সহ আইম্মায়ে ত্বরিক্বত,
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ করেন পালন ইয়াক্বীনান ইযাফত।
করেন উক্তি ইহাতে মুক্তি নেই বিকল্প ইসলামে,
ইহাই বিকাশ করুন বিশ্বাস নেই দ্বিধা ধরাধামে।
ওই সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদী ঝাণ্ডা লয়েই দিকে দিকে আছহাব,
যান ছুটে যান ঘরবাড়ি ছেড়ে নিয়ে সেই আসবাব।
সেই ধারা আজো জিন্দা যে রহে রব্বানী জিম্মায়,
রুখেন তাগুতী তাবৎ ভস্ম করেই হরদমে ইছলায়।
হাল যামানার খোদায়ী খলীফা রসূলী নায়েব যিনি,
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ পালন ফরয তাজদীদী পাক বাণী।
খাছ আহলে বাইতে রসূল হয়েই পৃথিবীতে আগমন,
তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম ইমামুল উমাম কায়িনাতী আলোড়ন।
ইতিহাস, তিনি যমীনে করেন জারি অনন্তকালব্যাপী,
শান শওকতে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ সুমহান মহামতি।
করেন তেষট্টি দিন সৃষ্টির মাঝে আলি শান মাহফিল,
জওক শওকের শীর্ষে রাখেন নেই এতে গরমিল।
সহস্র গরু ও মহিষ ছাগল যবেহ করেই জানি,
লক্ষ লক্ষ বিরাণী প্যাকেট আওয়ামে বিলান তিনি।
গঞ্জ ও জেলা রাজধানী দেশ বিশ্বতে বেশুমার,
প্রচার প্রসারে দায়িমী রহেন বেমিছাল দিলদার।
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদই শেষ্ঠ ঈদ অকাট্য দলীল দিয়ে,
করেন প্রমাণ তিনি আবাদান, হামেশা যে নিশ্চয়ে।
লিফলেট, পোস্টার, ফেস্টুন, ব্যানার, দেয়াল লিখন সহ,
হচ্ছে শত সহস্র পিকাপ সাজিয়ে মাইকিং অহরহ।
ওই কোটি কণ্ঠের মীলাদ শরীফ তিনিই করেন জারী
ওই মীলাদেই হচ্ছে দাফন তাগুতের মহামারী।
চমকে উদ্যম বিশ্বে তামাম বেনজির আয়োজনে,
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ রাখেন আবাদ রহমানি অনুদানে।
শুনুন আশিকে রসূল মুক্তির মূল জীবন্ত পেতে চান,
তরিৎ সকলে আসুন তাহলে রাজারবাগী উদ্যান।
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদী পয়গাম নিয়ে দিকে দিকে ছুটে যান।
হবেন রব রসূলী নূরী রেজা পেয়ে জান্নাতী মেহমান।
-বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলের বলে, মুনাফিক গংদেও হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫৭
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫৮
আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬১
আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলৈর বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬২