কুরবানী সুমহান,
খোদায়ী খলীফা দিলেন দেখায়ে ইসলামী ফরমান।
ইশকে ইলাহী প্রমান্য ছহী ফুটায়ে তোলেন তিনি,
তিনি বাস্তব করেন সরব বিরল সে কুরবানী।
ওই যে আওয়াম দেখুক তামাম ন্যায় নীতি ইতিহাস,
ওরে ও জ্ঞানী অন্তরে জানি বুঝে নিন ফরমাস।
মুবারক ওই কুরআন হাদীছি জৌলুসী ইজলাসে,
সুন্নী নিয়মে মহান উদ্যমে লিল্লাহিয়াতী জোশে।
তিনিই দেখান কুরবানী শান ইসলামী দুনিয়ায়,
দেখুক আত্মত্যাগের দ্বীপ্ত নজীর আখিরের আঙ্গিনায়
নয় শতাধিক গরু ও ছাগল দুম্বা মহিষ ভেড়া,
ইমামুল উমাম দেন কুরবানী সহসা সত্যে ঘেরা।
নাদুস নুদুস মোটা তাজা পশু নিখুঁতের দিক দিয়ে,
কেবল সর্বো উচ্চেই উনার স্থান দ্বীপ্ত সুরুজ নিয়ে।
নবী, রসূল, আহলে বাইত, ছাহাবা ও আউলিয়া,
কোটি নামেই দেন কুরবানী ইখলাছী দিল দিয়া।
তিনি বেনজির সুমহান বীর মাহবূবে রব্বানী,
তিনি বেকসুর হাবীবী নূর শাহান শাহ সুবহানী।
তিনি মকবুল খলীফা রসূল দিশারী আযম ফিতনাতে,
তিনি উম্মতী নাজাতপতি সজ্জিত ইজ্জতে।
তিনি খলীফায়ে আসসাফফা হয়েই যমীনে তাশরীফান,
তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম রহমে করম মুসলিমী ইহসান।
তিনি তো হলেন হাবীবী ইনাম মহামতি শানদার,
তিনিই তো খোদ ইমামুল উমাম জগতেই ইজহার।
উনার ছোহবত কহি আলবত নববী নূরের জ্যোতি,
কর হে ইয়াক্বীন ওরে ও মু’মিন মিলবে বাঁচার গতি।
আজিকার ধরাধাম,
ডুবে ফিতনা ফাসাদী করাল গ্রাসেই শান্তির আঞ্জাম।
কোথা যে শান্তি কোথা যে মুক্তি কোথা ইনসাফী হাল,
হায় যালিমেরা করতেই চাহে উনাদের পয়মাল।
সুন্নাহী শান, করতে বিরান, ব্যস্ত যে শয়তান,
মুলকে মুসলিম রেখে হিমশিম করতেছে হয়রান।
কেন গোলমাল কেন নাজেহাল নাকানী চুবানী কেন?
রে ক্বওমে মু’মিন দাও না জবাব রহস্য কী হেন?
সুবিধাভুগী কম জোর সব মুসলিম হেলে পরে,
তাগুতী তপ্তে তরপায় আজ মুসলিম ঘরে ঘরে।
তাগুতী দাপটে দুমরে যাচ্ছে কাতারে কাতারে মুসলমান,
হায় কুফরী শেরেকি নাস্তিকী হাতে রহে যে গ্রেফতান।
আহা আক্বীদা আমল নষ্ট যে করে ইবলীসি উল্লাসে,
নেচে গেয়ে আজ ফুর্তি করছে বিজয়ের উচ্ছাসে।
বীর জাতি আজ নতজানু কেন বাতিলী অক্টোপাশে,
কেন যে বনছে তাগুতের তাশ ঈমানী জজবা নেশে।
ওই ছন্নছাড়া মুসলিম আজ সত্য তা’লীম ছেড়ে,
নিজেদের তারা রাখছেই শুধু উলামায়ে সূ’য়ের ফেরে।
তাই তো পায় না মুক্তির পথ মুসলিম ভব ঘুরে,
আহা লাখো ফিরকার চাতুরী চাবুকে চমকিছে চত্বরে।
রে দুনিয়ার মুসলমানেরা আয় ছেড়ে হেস্কারী,
কত আর তোরা শুনবি রে ওই তাগুতের মস্কারী।
মুবারক হো চৌদ্দশ চল্লিশ,
আপনার আগমনে তটস্থ যমীনে বিতাড়িত ইবলীস।
এই পুরোটা প্রকাশ হবেই হবে তাগুতের তালবীস,
তাগুতী পোষ্য হবেই নিঃস্ব সহসা অহর্ণিশ।
ওই মাহে মুহররম মুকররম হয়ে জগতেই জাহিরান,
ওই নব সওগাত নুজহাতি নূরে, পাবেরে মুসলমান।
অবহেলার নগ্ন ফানুস জ্বালায়ে আসবে ফিরে,
সেরা রাহবার ভবের মাঝার প্রকাশ দ্বীপ্ত চুঁড়ে।
দ্বীন ইসলামকে যিন্দাহ করতে মুজাদ্দিদ মহাবীর,
তিনি স্বয়ং পূত, মুক্তির দূত, রব্বানী শমসির।
মুরীদ মুরীদা আশিক্ব আশিক্বা সুখবর জেনে নিন,
মুরশিদ উনার ফায়িযে উজাড় কোটি কোটি মু’মিনীন।
ওই মুহররম উনার মকবুলী কোলে ইমামুল উমাম তিনি,
যগৎবাসীরে উদ্ধারিবেন নববী হিস্যা দানী।
কুল্লু আলমে হক্কানী ক্বওম ঐক্য ঝাণ্ডা তলে,
এক হয়ে সবে করবে জিহাদ লিল্লাহিয়াতী বলে।
ইয়েমেন ইরান তুর্কি কাতার সিরিয়া মিশর দেশে,
ইহুদী মারছে মিসাইল বোমা সউদীর সাথে মিশে।
মুলে সউদী রাজ কাট্টা ইহুদী মুসলিম জাহিরান,
ইদানিং সব হচ্ছে প্রকাশ নেই আর ব্যবধান।
বেপর্দা বেহায়া নাচ গান সহ নাঙ্গা সিনেমা হলে,
বেলেল্লাপনায় মশগুল রয় নারী ও পুরুষ মিলে।
ওই সউদী মু’মিন গমগিন ভুলে বিদ্রোহী হন সবে,
রাজ পরিবার ছনছার করে খিলাফত আনুন তবে।
সেই খিলাফতী ডাক দেন যে কেবল ইমামী তখতে বসে,
তিনি খলীফায়ে আস সাফফাহ স্বয়ং যোগ্য নূরাণী জোশে।
পাক মুহররম আশূরা বাগেই জিহাদী বাইয়াত নিতে,
আয়রে মু’মিন লইরে শপথ ইমামুল উমামী হাতে।
-বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৬
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৭
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৮
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৯