কেন কেন হাহাকার?
আজ মুসলিম জাতি দুর্বল হয়ে গ্রহে সে অন্ধকার।
নেই বুঝি হায় পায়ের তলায় আশ্রিত মৃত্তিকা,
ভীতু বিড়ালের ছিন্ন কাঁথায় হয়ে থাকে নজদিকা।
এহেন সুযোগে খোদাদ্রোহীরা ফেটে পড়ে উল্লাসে,
অনায়াসে লয় মুসলিমী ধন বাধাহীন উচ্ছ্বাসে।
ময়দান হায় যায় ছেড়ে যায় ছিন্ন তাঁবু যে তুলে,
করছে আপোস বাঁচবার তরে বাতিলের সাথে মিলে।
ঈমানের জোশ করছে নিখোঁজ মুসলিম আজ নিজে,
ইসলামী শান রাখছে বিরান অধুনা বাতিলী ত্যাজে।
সুন্নী আলোকে রহেনা পুলোকে আফসোস হতভাগা,
অতীত গর্ব খর্ব করেই বিজয় ভাবছে মগা।
নিজের কৃষ্টি তামাদ্দুন সব ধুলোয় মিটিয়ে দিতে,
রহে নম মুশরিকী ইশকে বিভোর বেহুঁশের ফল্গুতে।
নিজ দ্বীনকে ভুলে যেয়ে তারা অহমিকা করে বলে,
হীনম্মন্যতা ছেড়ে দিয়ে আসি মানবতা ছায়াতলে।
কহে সর্ব উচ্চে মানব প্রেম নেই এতে সংশয়,
তবে কেন মোরা গ্রহণ করবো গোঁড়ামীর আশ্রয়।
নেই ভেদাভেদ মানব জাতির ধর্ম বর্ণ দেশ বিদেশ,
বিশ্বজোয়ারে চলবোই সবে থাকবো না অবশেষ।
এভাবে কতনা মুক্তবুদ্ধির মায়াজালে আটকে।
রহে মুসলমানের তর্জ ছেড়েই কুফরীতে লটকে।
আহা রবীন্দ্রকেই মানছে ঠাকুর বঙ্কিমী অবয়বে
মধুসূদনের বিলাসী খেয়াল লয় লয় গৌরবে।
হেগেন ডারউইন কার্ল মার্কস আর মাওসেতুংয়ের প্রেমে,
দেখি উথলে উঠছে মুসলমানেরা প্রগতির কুট ধুমে।
আহা আব্রাহামের গণতন্ত্রকে গর্বে গ্রহণ করে,
ফের আওড়ায় বুলি প্রগতিবাদীরা গণতন্ত্রের ভীড়ে।
আহা, ওই সব শত্রু শয়তান হায় গণতন্ত্রের ঘরে,
মুসলমানেরে বন্দী করেই সহজে ঈমান কাড়ে।
নারী ও পুরুষ একাকার করে অশ্লীলতায় বেঁধে।
জাহান্নামের জোয়াল চড়ায় সহজে সবার কাঁধে।
ওই মুসলমানেরে করছে নিঃস আধুনিকতার বেশে,
আক্বীদা আমল করছে গরল ইবলীসি উপহাসে।
দেখি বিশেষ করেই বাংলাদেশের ইসলামী দিনকাল,
বহু আড়ষ্টে রয় যে কষ্টে হাক্বীক্বীতে বেসামাল।
সংখ্যায় আটানব্বই ভাগ মুসলিমী বাস সোনার বাংলাদেশে,
রহে প্রশাসন সহ সর্বখাতেই মুসলমানেরা বসে।
মসজিদ, মাদরাসা, খানকা শরীফ অগ্রণী ভূমিকায়,
জানি প্রথম স্থান বাংলাদেশ রহে যে নির্দ্বিধায়।
তবে সেই দেশে কেন বেহায়াপনার মাত্রা অত্যধিক?
সেই দেশে কেন অশ্লীল সিনেমা নাটকের অহমিক?
কেন হারাম খেলায় তা-ব চলে নারী পুরুষের মেলে,
ওই কুস্তি ক্রিকেট হা-ডুডুসহ ফুটবল ভলিবলে।
মুসলিম তুমি ইলাহী নায়েব কেন আজ ভুলে গেলে?
তুমি হাবীবে খোদা উনার উম্মত, কেন আজ নুয়ে রলে?
কেন যে তোমার শৌর্য সমেত অভিজাত রাখ নিভে?
কেন যে তোমার হিম্মতী শান বিরানে রাখছো ভবে?
মহান আল্লাহ পাক উনার কানুন ক্বায়িমে হয়েছ দায়িত্বশীল,
শোন তোমাতে রসূলী রশ্মি সুন্নাহ, পূরণে রবে নিখিল।
তুমি ইসলামী ইখলাছী নীতি তামাম বিশ্ব জুড়ে,
করবে প্রচার ক্লান্তিহীন নিয়েছ শপথ করে।
কেন ভুলে যাও অতীত শৌর্য কল্পকাহিনী মনে করে?
কেন তাগুতের পাঁয়রবি করো নিজ তাহযীব ছেড়ে?
কেন তাগুতের মঞ্চে উঠেই বিদ্রোহ করো তুমি?
ফের নাস্তিক হয়ে মিথ্যে মজিস কেন কেন ফাজলামী?
শুনো মুসলমানের সত্য ইমাম বাংলাদেশেই বিদ্যমান,
তিনি ইমামুল উমাম বীর মুজাদ্দিদ সুন্নতে মহীয়ান।
তিনি ইলাহী উনার খাছ খলীফা আহলে বাইতে রসূল,
ইনশাআল্লাহ খিলাফত জারির উনিই হলেন মূল।
আর বসে নয় আর থেমে নয় ওরে ও মুসলমান,
ওই ইমামুল উমামী ছোহবতে আয় মিলবেই ইহসান।
দুনিয়া তাবত জাগাও খিলাফত তাগুতী ধ্বংস করে,
ঐকতানেই রও আগমনে বিভেদকে দাও ছেড়ে।
সুমহান ইমাম পাক মুজাদ্দিদ খলীফায়ে মুসলিমীন,
তিনি খলীফায়ে আস সাফফাহ হয়ে যমীনে তাশরিফীন,
করছে ইয়াক্বীন ওরে ও মু’মিন দ্বিমত করো না আর,
দেখবে বিশ্ব তোমার দখলে আসবে অনায়াসে এইবার।
ওহে ফিরাও পূর্ব জৌলুস তব ইসলামী কায়িনাত,
জাগাও ছিদ্দীক্বী, ফারূক্বী, জিননূরানী ওয়াজহাহু দ্বীনিয়াত।
তুমি সৈনিক গাযওয়ায়ে হিন্দ ইমামুল উমামী নির্দেশে,
করবে দখল সব মহাদেশ মুজাদ্দিদি জৌলুসে।
ইনশাআল্লাহ ইনশাআল্লাহ হারবো না আর কোনো কালে,
সুলত্বানুন নাছীর, ইমামুন নাযীর মুর্শিদ দেন বলে।
তিনিই স¦য়ং ইহসানে দ্বীন হাদীছ উনার বাণী,
বলি ভয় না করিবো হবোনা নিরাশ, অন্তঃস্থলে মানি।
-বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৬