রে ওহাবী সালাফী স্বার্থপর,
তোরা যে ইহুদী পোষ্যপুত্র প্রমাণ যে বহুতর।
তোরা গাদ্দার নর পিশাচ নেকামি নেশার ঘোরে,
নোংরামী তোরা করেই চলিস খ্রিস্টানী চাল ধরে।
তোরা যে তোদের বিলাসী জীবনে রয়েছিস বেপরোয়া,
ইহুদী ইয়াদে কেতাদুরস্ত তাগুতে রহিস ধোয়া।
যেনো নেইল পলিশের বিজলী ঝলক ঠিকরিয়ে বের হয়,
যেনো হায় হুতাশের নেই যে বালাই বেমালুম অক্ষয়।
তাই এহেন মৌজে মত্ত্ব হয়েই মুসলিমীন নাম নিয়ে,
নানাহ ফিতনা ছড়িয়ে দিলি বিদয়াত বেশরা জিয়ে।
হাদীছ শরীফকে জাল বলে হায় ডুবাস সুন্নাহ প্রীতি,
চাস কুরআন শরীফও কমবেশি করে সাজতেই মহামতি।
মূলতই তোরা দ্বীন ইসলামকে করতে যে ধ্বংস,
নেমেছিস আজ উঠে পড়ে হয়ে যে ইহুদী অংশ।
করিয়া সউদীতে তোরা নারীদের দিয়ে মন্ত্রী মিনিস্টার,
দেখতে দিলি প্রকাশ্যে এবার সিনেমা ও থিয়েটার।
দীর্ঘদিন ধরে হজ্জ রোযা ঈদ তারিখের হেরফেরে,
হায় ফরয ইবাদত নষ্ট করতে কৃতিত্ব দেখাস ওরে।
আহা মুসলমানের ঈমান ধ্বংসে হিংস্র হায়েনা হয়ে,
ধর্মীয় দিক প্রতিটি পরতে ভরছিস ধোঁকা দিয়ে।
প্রিয় হাবীব আখিরী রসূল উনার মহান শানে,
ক্বীল-ক্বাল হায় করছিস তোরা বেয়াদবি আবাহনে।
এসব কঠিন পাপিষ্ঠ কাজে ঢালিস অর্থ অকাতরে,
দেওবাদি ওই কাট্টা খারিজী তাবলীগী রাখ ধরে।
এদের দিয়েই মিথ্যা দাওয়াত ও ফতওয়াবাজিতে হায়,
ওই মুসলমানের ঈমান ধ্বংসে মেতে রহ সহসায়।
তোদের নৃংশস নির্দয়ী ঘাতে মুসলিম নাজেহাল,
চাস তোরা দ্বীন ইসলামকে ধরণী হতে করতেই আবডাল।
ইহুদীবাদকে জিয়াতেই তোরা নাছারা ক্বদম ধরে,
ইসরাইলকে বহাল রাখতে মু’মিন মারিস পুড়ে।
ইয়ামেনসহ সিরিয়া মিশর লিবিয়া সুদান ফিলিস্তিন,
চাস মুসলিমী মুল্লুক নেশে লুটে নিতে আমিরীন।
আমেরিকা কাঁধে ভর করে তোরা প্রচার করিস বাণী,
জেরুজালেমকে করলি ঘোষণা ইসরাইলের রাজধানী।
একে একে তোরা মুসলমানের ঈমানে আঘাত হেনে,
রহ মৌজে মৌজে মশগুল আজ ধ্বনির উদ্যানে।
বলি হুঁশিয়ার ওই নরঘাতক কুখ্যাত বেঈমান,
ইহুদী নাছারা হিন্দু বৌদ্ধ ওহাবীর আমিরান।
শুন লক্ষ সুনামির তীব্র ত্যাজেই জাগলো মুসলমান,
ঐকতানের তপ্ত রুজুতে রহে রহে বেগবান।
পুরো কায়িনাত কম্পিত করে হাঁকতেছে তাকবীর,
প্রত্যেক মু’মিন প্রত্যেক ক্ষণে নিজেরা আলমগীর।
খাঁটি মুসলিম ভয় নাকো করে কখনো কাউকে কভু,
গাজী শহীদের জজবাহী নূরে কখনো রয় না নিভু।
হাত কড়া পড়ে নাকে খত দেয় খুব জানি মুনাফিক,
সেরা অভিজাত মুসলিমী জাত, শুনে রাখ মুলহিক।
রব যে উনার বান্দার তরে রহমতে বেশুমার,
তিনি বেষ্টনে রাখেন অনুগতদের হুব্বেই একাকার।
দয়ালু মালিক দিলেন অধিক লাভবান ইবাদত,
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ দানেন ছমাদ এতে সদা হুরমত।
খিলাফত কায়িম করতে সহজ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ দিয়ে,
ওরে ও মু’মিন সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদই রাখবেন যে নির্ভয়ে।
গোটা দুনিয়ায় তামাম তাগুত নিস্তানাবুদ করে,
সুন্নাহ নীতির ন্যায্য পাওনা আন হে মু’মিন ফিরে।
ঊনিশে রবীউছ ছানীর মাসেই বলি যে সুসংবাদ,
ইমামুল উমাম উনার ইনাম তাজদীদে হলো আবাদ।
আজ ঘরে ঘরে হচ্ছে মীলাদ মহা সমারোহে হেরি,
আজকে তাগুত অসহ্য হয়ে পালাতে করে না দেরি।
আশিকে রসূল রহেন ব্যাকুল সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদী নাজে,
প্রফুল্লতায় রহেন সহসায় নিয়ত নেকীর কাজে।
ওই ফালইয়াফরহূ ইশকি রুহু জারি যে করেন তিনি,
মহান মুর্শিদ করেন তাজদীদ হয়ে যে মধ্যমণি।
তিনি ইমামুল উমাম শাহান শাহ মুজাদ্দিদ আযমী নূরে,
দেন গোটা কায়িনাত আবে হায়াতের পানিতে পূরণ করে।
তবে কেন আর গ্রহ পরিহার ইমামুল উমাম ছেড়ে?
কেন হয়ে বদবখত রাখো ইজাফত গাফিলিতে আপনারে।
শুনরে শুন ঘুমন্ত মু’মিন আজ জাগ্রত হয়ে দেখ,
ওই পাক ইমামী ফায়িয দিয়ে ক্বলবে বিজয় লেখ।
ওই ওহাবী শিয়া বাহাই খারিজী যেখানে যতটা আছে,
বিলকুল সব সাফ করে দাও থেকোনারে আর মিছে।
কহি লক্ষ কোটি তাগুতি দস্ত করে দাও ছনছার,
মহান আল্লাহ পাক উনার কানুন জারিতে পিছনে থেকো না আর।
বিজয়ের বেশে ডাকছেন ওরে জেগে উঠ মু’মিনীন,
তিনি তো খোদায়ী খাছ খলীফা সাইয়্যিদী মুহসিন।
তিনি যে দশম খলীফা হয়েই তাশরীফ কায়িনাতে,
হাদীছি দলীল দেখ মুসলিম, নেই দ্বিধা কোনমতে।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৬