পুড়তেছে আরাকান,
আজ স্বৈরাচারী সুচি, অবিচারে কাঁদছে মুসলমান।
কুখ্যাত ওই দাগাবাজ সুচি রাক্ষুসি হয়ে হায়,
মুসলমানের রক্ত যে সে পাঞ্জা ভরেই খায়।
দুশচরিত্রা পাষ- নারী যালিমী আসনে বসে,
গালিজী দিলের খাহেশ মিটায় সংখ্যালঘুরে নেশে।
ফের মৌজে ডুবেই হুঙ্কার ছাড়ে আঙ্গুল নেড়ে নেড়ে,
সন্ত্রাসী দমন করছেই সে বলছে দম্ভ করে।
রে বদমাশ নারী কাট্টা কাফির কঠিন রক্তখোর,
মুসলমানের সম্পদ লুটে তুই হলি সেরা চোর।
ছলচাতুরীর ফাঁদ পেতে তুই মারিস মুসলমান,
হায় শান্তি নোবেল নিচ্ছিস ফের রে রে বেঈমান।
আহা! রোহিঙ্গা মুসলিম,
ওই সুচির হিংস্র লালসায় পড়ে গ্রহে লয় অন্তিম।
দেখি মায়ানমারের হানাদার ফৌজ মারছে নির্বিচারে,
শিশু ও বৃদ্ধ যুবক যুবতী পাঠাচ্ছে পরপারে।
ঘরবাড়ি সব দিচ্ছে জ্বালিয়ে লুটে লয় সম্পদ,
ইজ্জত কেড়ে হায়েনার দল খুশিতেই গদগদ।
পুরো মজলুম রোহিঙ্গা আজ হাউ মাউ করে কাঁদে,
আপন ওয়াতান জ্বলে পুড়ে ছাই হানাদারী উন্মাদে।
ওই আশ্রয়হীন অসহায় আর আতঙ্কের বেড়াজালে,
রহে রোহিঙ্গা মু’মিন অচিন পানি ও বনান্ত জঙ্গলে।
ওই সমুদ্র পাড়ি দিতেই যেয়ে সলিল সমাধি হয়,
হাজার হাজার নারী ও শিশুর মরদেহ ভেসে রয়।
হায় এহেন সুযোগে ধান্দাবাজ দালাল চক্র মিলে,
আহা মারছে ছোবল পালিয়ে আসা মুসলিমী সম্বলে।
নিচ্ছে হাতিয়ে অর্থ গহনা, খাবার লইছে কেড়ে,
মানবেতরের বিষাক্ত জালে রাখছে নাঙ্গা নীড়ে।
কাঁদছে শিশু অনাহারে হায় বৃদ্ধ বাবা ও মায়,
রোদ বৃষ্টি ও কণ্টক পথে বহুধা হুমড়ি খায়।
সীমাহীন সব নির্মম জ্বালা নিত্যদিনের সাথী,
রোহিঙ্গা মু’মিন বিপদের অধীন কষ্টেই রহে গাঁথি।
হায় হায় আজ মুসলিম জাতি কেউ না এগিয়ে আসে,
রয় বিশ্বের সব মুসলিম দেশ বোবা ও বধিরে মিশে।
তবে কিছু কিছু দেশ দায়সারা দেখি দিচ্ছে যে বিবৃতি,
ফের যৎসামান্য ত্রাণ দিয়ে তারা দেখাচ্ছে সম্প্রীতি।
ইস্ কঠিন হালেই বেশামাল আজ সেই সে রোহিঙ্গা,
দেখি হিংসুক ওই বর্মি বৌদ্ধ লাগাচ্ছে দাঙ্গা।
মুসলমানের রক্তেই তারা পোশাক করছে লাল,
ন্যূনতম সব ন্যায্য পাওনা করতেছে বানচাল।
তাদের হস্তে সম্ভ্রমহানী ওই মুসলিম যুবতীরা,
বহায় আরাকানে রোহিঙ্গা রক্তের স্রোত কুখ্যাত বৌদ্ধরা।
“অহিংসা পরম ধর্ম” কোথা সে বৌদ্ধ বাণী?
‘জীব হত্যা মহা পাপ’ বলে প্রচার করছে শুনি।
কই সেই সব মুখরোচকের শাস্ত্রীয় গলাবাজি?
আসলে তারাই হিংস্র হায়েনা গেরুয়া বসনে সাজি।
হায় অহেতুক আরাকানবাসী মুসলমানেরা সবে,
রক্ত পিপাসু উগ্র সুচির যুলুমেই রহে ডুবে।
চোখ রাঙ্গানো হুমকি ধমকি ব্যাঙ্গ হাসির জোরে,
মুসলমানেরে করে সবহারা ঈমান নিচ্ছে কেড়ে।
পৃথিবীর সব মুসলমানেরা কেন আজ বোবা হলো?
কেন কেন আজ কাফিরি কাতারে যোগ দাও সবে বলো।
আমি মুসলিম কবি জানাই তোদেরে বাঁচার সুসংবাদ,
ভালো করে শুনো চোখ কান খুলে গ্রহে লও ইমদাদ।
আজ পনের শতক হিজরী সনের মুজাদ্দিদ মহামতি,
জাহির হলেন বাংলাদেশেই বিজয়ী দীপ্ত জ্যোতি।
তিনি যে হলেন ইমামুল উমাম পুরোটা আলম জুড়ে,
মুক্তি দিশারী তিনিই কেবল জেনে রাখ অন্তরে।
ওই পাক ইমামী বজ্র ডাকেই গড়হে ঐকতান,
পুরো মজলুমসহ আজ পৃথিবীর তামাম মুসলমান।
কোথা মুশরিক কোথা নাস্তিক সকল কাফিরদেরে,
নাস্তানাবুদ দাও করে দাও, রাখ হে যমের ঘরে।
যার যা আছে তাই নিয়ে কহি ঝাঁপাইয়া পড় সবে,
কাফির গোষ্ঠী সাফ করে দিতে কভু না রে ভড়কিবে।
ওই খোদায়ী ফায়িয মুসলিম তরে হরদম হাজিরান,
হাবীবী দরদ মওজুদ আজো তরতাজা বেগবান।
ফের ইমামুল উমামী তাওয়াজ্জুহ ফায়িয বেমেছাল সম্বল,
ওরে ও মু’মিন হয়ো না বিলীন, থেকো হক্বে সচ্ছল।
তুমি তো মু’মিন ঈমানী গরজে রবে সদা সচেতন,
পাক ইমামী দস্তে দারাজ উদাস না কোনোক্ষণ।
আঁধার পেরিয়ে আয় আয় ওরে আলোকিত ফোয়ারায়,
রয় বিরাজমান জান্নাতী দান মুত্তাক্বী মোহনায়।
ওই শুনরে শুন বিশ্ববাসী তামাম মুসলমান,
দেখ হে তোমরা চোখের সামনে মুজাদ্দিদী মহা শান
এবার সকলে এক আওয়াজেই নিতে উঠো অধিকার,
ওই ইমাম উনার অধীন হয়ে করবো জিহাদ আল্লাহু আকবার।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৬