পহেলা শাওওয়াল,
খুশিতেই উত্তাল।
কামালে কামাল আল ঊলা তাশরীফ রহমত,
নাক্বীবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম প্রকাশেন বিলাদত।
ওই পাক মুজাদ্দিদ ইমামুল উমামী লখতে জিগারী শান,
ঈদে উচ্ছ্বাস স্নিগ্ধ সহসা স্বয়ং যে ইহসান।
দেখি আজ পৃথিবীর মধ্য গগণে উদিত চন্দ্রখান,
হয়ে জগৎবাসীরে বুলায় আদরে ক্বদরের খতিয়ান।
ঈদুল ফিতর মুক্তি মহর মু’মিনের তাক্বদীরে,
করেন উজালা আল ঊলা ইনসানিয়াতী নূরে।
মায়া মমতার নূরানী চাদরে আবরিত হয়ে তিনি,
খোদায়ী খায়ির দিলেন অধির কিছিম কিছিম দানি।
মু’মিন মু’মিনা হয়ে যে দিওয়ানা গ্রহেন দু’হাত ভরে,
মহিলাকুলের সাইয়্যিদা শানে সকলে রহেন জুড়ে।
দ্বীন ইসলামী ইলহামী নূরে দায়িমী দারাজবান,
আওরতী মহল খাটায়ে আক্বল হলেন ভাগ্যবান।
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদী মিছদাক্ব হয়ে মুবারক নাক্বীবা,
যুগ যুগ ধরে রহেন জিন্দাহ রব্বানী মাহবূবা।
উনার মুবারক বিলাদতী শান পালনে সবাই মিলি,
মহাসমারোহে করছেন খুশি হৃদি বাতায়ন খুলি।
আজ পৃথিবীর প্রতিটি অংশে মুসলিমী আওরাত,
হতভাগী হয়ে গুজরায় দিন, ছেড়ে দিয়ে সুন্নত।
আল কালামী নির্দেশ ভুলে তাগুতী কানুন গ্রহে,
মুসলমানিত্ব হারায়ে সকলে অগ্নি ছোঁয়ায় দহে।
নারী সম নর মুসলিম জাতি ন্যুয়ে রহে বেশুমার,
অথর্ব আর অজ্ঞতার দলে রহে যে নির্বিকার।
আহা! মুসলিম তার তাহযীব ভুলে তাগুতি নন্দে ভিড়,
তাগুতী ওয়াসওয়াসায় গুমরাহ সেজেই নোয়ায় রাখছে শির।
মুসলিম মেরে মসজিদ পুরে, অট্টহাসিতে সায়,
নাস্তিকসহ মুশরিক মিলে জয়ধ্বনি করে হায়।
ওই নিষ্পাপ শিশু খেলনা হলো মুশরিকী তলোয়ারে,
মুসলিম যুবক তরুণদেরে করছে যবাই ধরে।
আহা উহু করার নেই নেই কেউ আজ পৃথিবীর বুকে,
মুসলমানেরা কাঁথামুড়ি দিয়ে রহে যে কেবল লুকে।
এহেন নিদানে শুনবে কে ডাক মু’মিনের চিৎকারে,
এগিয়ে কেউই আসছে না হায় দেখ হে মায়ানমারে।
হায় নাদানের অতল গভীরে মুসলিম কেন কাঁদে?
হায় যুলুমের জ্বলন্ত ঘরে মুসলিম রহে বেঁধে।
হায়, বে-ইনসাফের মিথ্যা বিচারে হক্ব যে গ্রেফতার,
হায় ছলচাতুরী ধোঁকায় পড়ে মু’মিন খাচ্ছে মার।
ওরে দুনিয়ার মুসলমানেরা শিরকে উঠাও ফের,
তামাম তাগুত তাবা করে দিতে ধর ধর শমশের।
ঐক্য কাতারে শামিল হওরে হটনা পিছনে আর,
ওই তাগুতী পোষ্য ইহুদী কাফির করে দাও ছনছার।
শুনরে শুন ভালো করে শুন ভিতুর কাঁথারে ফেলে,
খলীফা খোদার ডাকেন আবার আয়রে এবার চলে।
তিনি মুজাদ্দিদ আ’যম ইমামুল উমাম সাইয়্যিদী শাহী নাজ,
তিনি নকশায়ে রসূল মুক্তির মূল ইসলামী মিনহাজ।
ওরে মনোযোগ দিয়ে কর হে গ্রহণ মুবারক নছীহত,
দাও অভিশাপ কঠিনভাবেই নির্ভয়ে অবিরত।
ওই ইমামুল উমামী তরীক্বা গ্রহিলে পেয়ে যাবে হিম্মত,
ভয় ও জড়তা যাবেরে উবেই কহিতেছি আলবৎ।
জজবা ও জোশ খোশ হালে রহে হরদম অন্তরে,
রসূলী রওশন খোদায়ী মর্জি রাখবে তোমায় ঘিরে।
বেহিসাব রবে কামিয়াব তব জীবনের প্রতি রাহে,
রবে ইহ পরকাল কামালে কামাল কাওছারী অবগাহে।
আজকে শাওওয়াল মাহিনা তোমায় স্মরণ করিয়ে দিতে,
রহমতী রীতির ফিকিরেই এলেন হরদম কায়িনাতে।
যিন্দেগী শান শাওওয়ালী আযানে করো হে ত্বরান্বিত,
আহকামে দ্বীন রাখো উড্ডীন দৃঢ়তায় নিয়মিত।
মহা মুবারক চৌদ্দ শাওওয়াল নিয়ামতে রব্বানী,
বিলাদতী শান করেন প্রকাশ মুজাদ্দিদে আলফেছানী।
তিনি দ্বীনিয়াতী সূর্য হয়েই অনন্ত আসমানে,
হিদায়াতী নূর দেন বিস্তর লভেন মুসলমানে।
ঊনিশ একুশ বাইশ পঁচিশ শাওওয়াল সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ,
লও শ্রেষ্ঠ তবারুক নিসবাতুল আযীমি হাবীবীতে আহলাদ।
শুনো ইমামুল উমামী নূরেই রহে আলোয়ান কায়িনাত,
উনাদের মুবারক নিসবাতুল আযীম উচ্চতে হাসানাত।
ওরে মু’মিন হতেই হাসিন দলে দলে আয় সবে,
সেই সে নূরানী পরব পালনে জেগে উঠি উৎসবে।
বেকসুর দিলে কবি যাই বলে সুন্নী ফর্দ মাপি,
ওই বিশ্ববাসীরে দিচ্ছি দাওয়াত করছি না কারচুপি।
গোস্তাখি মাফ চাচ্ছি শায়েখ নূরানী ক্বদম ধরে,
লিখা বিলকুল হচ্ছেই ভুল আদব যে রয় মরে।
আপনা অধীন নিন করে নিন দয়ালু শায়েখ মোর,
আমি অন্তর থেকে করি আব্দার যদিও বাচাল খোর।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৬