মুবারকবাদ, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ,
সুমহান শানে যমীন গগণে কায়িনাতে সুআবাদ।
ওই পাক পবিত্র পাত্র মেলেই পশছেন রহমত,
আদি ও অন্ত জীবন্ত ত্যাজে বর্ষেণ অবিরত।
মাগরিব আর মাশরিক আপনার বরকতে ভরপুর,
সীমাহীন দান রহেন অফুরান খোদা হতে মঞ্জুর।
পাক কুরআনী দীপ্ত বাহার সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদে বিকাশ,
কহি দিবাগত কাল জামাল জালালে বিরাজিছে অভিলাষ।
নন্দিত স্বাদ নহে বরবাদ কোনোক্ষণ কোনো কালে,
রহে হর্ষিত বাঁধ হটায়ে বিবাদ জাগ্রত উত্তালে।
আহলান বড় আহলান লয়ে লভিছেন কামিয়াব
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদী বরকতে রহে বেকসুর আসবাব।
সেই যে সাকীনা রোকসানা হয়ে ক্বারিবেই হাজিরান,
অনায়াসে রহেন তৃপ্তিতে মিশে ইশকে মুসলমান।
ওই রবীউল আউওয়ালী হিলালে আসেন মুবারক মেহমান,
গ্রহেন শপথ দোলায়েই নথ সবে মিলে আশিকান।
মহান পরম শাহরুল আ’যম আলমের কোলে দোলে,
চমকে চমকে ঈদি রওনকে প্রতি বাতায়ন মেলে।
হাসনা হেনারা গোলাপ উদ্যানে মিলে যে ঐকতানে,
রহেন হাজারো পাপড়ি নিজকে উজাড়ী খিদমতী প্রয়োজনে
নজরানা নিয়ে অগ্রে এগিয়ে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদী শান,
সদা বণ্টনে রন, দিয়ে প্রয়োজন, বিলকুলে উত্থান।
ওই খোদায়ী খাজানা পুরোটাই নিয়েই সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ,
হাবীবী তানখা বরকতে দেন হালাকে যে ইলহাদ।
অসংখ্য নাজ নিয়ামতে রন সজ্জিত অনুদান,
খুশি বাগ বাগ লুটিয়া লহেন কামিলুল ইনসান।
অনন্ত শান রহেন অফুরান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদী জোশ,
এতে ইবলিস রাবিশে থেকেই দায়িমী অসন্তোষ।
পবিত্র নাজ ঈদী বিরাজ সমাজ থেকে নড়াবার,
আহা শয়তান ষড়যন্ত্রে মাতে করে দিতে ছনছার।
তার অনুচর রহে বহুতর বিলকুল ধরাধামে,
কহি পরিচয় ছহীহ নিশ্চয় কুরআনী পয়গামে।
ওই ফাযিল কাহিল ইবলীস তার চেলাদের নিয়ে হায়,
হামলা করছে জানমাল দিয়ে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদী গায়।
ইহুদী নাছারা হিন্দু বৌদ্ধ মজূসী ও নাস্তিক,
এক হয়ে তারা করছে প্রকাশ নিজেদের দাম্ভিক।
ফের মুসলিম নামের অন্তরালেই লুকিয়ে রয় যে বেঈমান,
দেখি উলামায়ে সূ ওহাবী খারিজী বেমালুম পেরেশান।
তামাম তাগুত এক হয়ে আজ কত না ফন্দি আঁটে,
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদী বদনাম গাহে প্রতি মুসলিমী ঘাটে।
কুরআন হাদীছে কোথাও নেই ইহা বলে বানোয়াটি,
রসূলী প্রেম পুরোই শিরিক কহিতেছে গলাফাটি।
মীলাদ-ক্বিয়াম বিলকুল হারাম ইহা নাকি মনগড়া,
নাউযুবিল্লাহ! ওই কহে কী কহে কী তাগুতী হতচ্ছারা।
শুনে লও তোরা কর্ণ খুলেই ওরে ও জাহান্নামী,
রে গর্দভ তাগুতী দাস, ফাঁস তোর ভ-ামী।
মোরা প্রতিবাদ করি কায়িনাতব্যাপী সাচ্চা দলীল দিয়ে,
মোরা আশিকে রসূল সত্যে ব্যাকুল রহিতেছি নির্ভয়ে।
জানাই তোদেরে মুসলিম মোরা পেয়ে গেছি সেনাপতি,
উনার হুকুমে তোদের কাতারে আনবোরে দুর্গতি।
অবশ্যই হালাক্ব করবোই তোরে পালাতে দেবো না আর,
ওই ইবলিসকে ঝাটা পিটা করে দুনিয়া করবো ছাড়।
ওই হাবীবী আওলাদ সেনাপতি তিনি রহমে মুসলিমীন,
ইমামুল উমাম ছাহিবে কালাম দস্তুরে ছদ্বিক্বীন।
ছাহিবে কামাল তলায়াল বলে মুসলমানেরা গ্রহি,
জাগ্রত ঈদে প্রতি পদে পদে তাকবীর দিয়ে কহি।
তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম হিলালে আলম আমীরুল মু’মিনীন,
তিনি খাছ খলীফা খোদার, নূরী অভিষার, ইমামুল মুসলিমীন।
শুন, উনার মুবারক খাছ তাবারুক সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ,
অনন্তকাল করেছেন জারি কহিছি জিন্দাবাদ।
ফের সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদী মাহফিলখানা তেষট্টি দিনব্যাপী,
ওই বিশেষ করেই করেন আয়োজন জাঁকজমকেই সপি।
শুনুন হাজার হাজার হাজিরানদের গোস্ত পোলাও দিয়ে,
মেহমানদারী করেন তিনি ইশকি খাজিনা নিয়ে।
দেশ হতে দেশ বিশ্বজুড়েই প্রচার প্রসার বেলা,
চুল পরিমাণ করেন না কভু এই কাজে অবহেলা।
দেয়াল লিখাসহ পোস্টার ব্যানার লিফলেট পত্রিকায়,
কোটি কোটি টাকা করেন খরচ হাবীবী দিওয়ানায়।
তিনি বেমেছাল জওক-শওকসহ জগতেই অবিরাম,
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ করেন পালন দায়িমীতে ইকরাম।
তাই মহান খোদায়ী সুমহান ওলী ইমামুল উমামী শানে,
প্রশংসা করেন ক্বাছীদা পঠেন ফেরেশতা জিন ইনসানে।
ওরে ও মানুষ থেকো না বেহুঁশ হায়াতি জিন্দেগীতে,
তাগুতী খপ্পরে পড়ো নারে আর সচেতন অভিজাতে।
চাই তাওফীক্ব ইলাহী মালিক রহিবো না উন্মাদ,
মোরা হাবীবী ইশকে করবো পালন সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৪৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে-৪৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫০