মাহে শাওওয়াল,
উহা যে খোদায়ী খাছ তাবাররুক রওশনী বালাগাল।
আদবে আওলা রহেন উজালা আমানতে মকবুল,
দিয়ে শরাফত রাখেন ইজাফত প্রতিক্ষণে প্রতিকূল।
খোদ আনওয়ার বিজ্ঞ বাহার রহমানী অনুদান,
হাজারো স্মৃতির কাননে নিবিড় হয়ে রন মহীয়ান।
মুবারক সদা লয়ে ফায়দা বিলালেন অকাতরে,
মাহে শাওওয়ালের লাস্য পরতে মওজুদ বিস্তরে।
খুঁজে গো বান্দা প্রভাত সন্ধ্যা এ মাহের খাজিনায়,
জিয়ে স্নিগ্ধ সমির রহে না বধির সচেতন মোহনায়।
নিয়তি নিয়মে পরশ পরমে সবে জাগে শাওওয়াল,
ইলাহী এলাজে সজ্জিত হয়ে আহ্বানে উত্তাল।
যত্রতত্র পূত-পবিত্র কাহিনী শওওয়ালী কোলে,
আপন আমেজে রহে সে মৌজে ঐশী ফুল ও ফলে।
সৃষ্টি শ্রেষ্ঠ ক্বওমে মু’মিন শাওওয়ালী উপত্যকায়,
ওরে মেলেই ধরছে জোশকে জবর সাবলীল স্বাধিকায়।
নয়নাভিরাম আসবাবে সেজে শাওওয়াল মায়াবতী,
মাখলুক্বী মেলে দেয় দেয় ঢেলে বরকত হুরমতী।
মুবারক হো শাওওয়ালী মাহিনা প্রতিক্ষণ স্বাগতম
মুবারক হো শাওওয়ালী সাকীনা হামেশা মহোত্তম।
মাহে শাওওয়ালের পহেলা তারিখ বহে খোশ পয়গাম,
করেন প্রকাশ বিলাদতী শান নাক্বীবাতুল উমাম আলাইহাস সালাম।
তিনি তো খোদায়ী নূরী হাবীবা ইবারতে ইহসান,
তিনি তো রসূলী আওলাদ হয়ে ভুবনে তাশরীফান।
ওই উনারাই ফায়িযে মুয়ান্নাছ ক্বওম পাচ্ছে ঈমানী দিশা,
উনারা সকাশে রহে রহে মিশে নারীত্বের উচ্চাশা।
উনারই রোবের তপ্তাঘাতেই তাগুত যে কুপোকাত,
উনারই নজরে ফিরে পায় নারী নারীত্বের অভিজাত।
নাক্বীবাতুল উমামী লক্ববেই তিনি যুগ যুগ মহীয়ান,
উনারাই নূরে রহে নুরীয়ান আওরতি অভিজান।
ওই সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আসনে উনার অবস্থান,
ওই ওয়ারাউল ওয়ারায় মাক্বামেই তিনি অনন্ত গুলশান।
উনার ওয়ালিদ মুজাদ্দিদ আ’যম খলীফায়ে মুসলিমীন,
উনার ওয়ালীদা উম্মুল উমাম রাহনুমায়ে আযিমীন।
তিনি হাবীবায়ে রব্বি কুবরাহী শান নক্বশায়ে যাহরা,
তিনি ছিদ্দীক্বায়ে শাহানা মানিক আখাচ্ছুল আনওয়ারা।
২২শে শাওওয়াল আলমের উজ্জ্বাল নিকাহিল আযীমি শান,
শরীফ তা’রীফ উনারই ক্বারিব স্বয়ং গুলিস্তান।
মুবারক হো পাক সাইয়্যিদা আহাদী হাবীবা শানে,
যুগ যুগ জুড়ে জান্নাতী নূরে জিয়ে রন আহলানে।
ওরে আওরাতী জাত শুনো সংবাদ জান্নাতী আছবাব,
নাক্বীবাতুল উমাম হলেন স্বয়ং ইছলাহী আলবাব।
শুনো ইনসান ১৯শে শাওওয়াল ইয়াওমুস সাইয়্যিদ,
মু’মিন মু’মিনা আশিকে রসূল ভাঙ্গছে চোখের নিঁদ।
মুবারক নিসবতে আযীম দিবসে আনে মহামতি সওগাত,
হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনারাই পাক বারাকাত।
অফুরান বহে রহমতি বারি ওদিবস যবে আসে,
করে যে যতন জ্ঞানী গুণীজন শরীফ রহিছে জোশে।
২৫শে শাওওয়াল বড় মুবারক তাবাররুক হুরমত,
বিছাল শরীফ করেন প্রকাশ সাইয়্যিদা শরাফত।
সেই সাইয়্যিদা উম্মু মামদূহ আলাইহাস সালাম,
উম্মু রসূলিনা মিছদাক্ব তিনি কুবরাহী ইরহাম।
তিনি তো মোদের দাদীজী হুযূর হাবীবায়ে সুবহান,
তিনি মাখদুমা আবাদুল আবাদ জীবন্ত মহীয়ান।
তিনি সুন্নতী নজরে নেওয়াজ বেমেছাল মাহমুদা,
তিনি আকবরী আনওয়ারা হয়ে মাখলুক্বে ফাহমিদা।
তিনি করেছেন শ্রেষ্ঠ হাদিয়া মুজাদ্দিদ আওলাদ,
সেই আওলাদী তাজদীদে আজ বাতিলেরা বরবাদ।
আজ পৃথিবীর তমশা আকাশে তেজস্বী দিবাকর,
মুজাদ্দিদে আ’যম রহমতে আলম অনন্ত বহুতর।
ওরে ও মু’মিন রাখ হে ইয়াক্বীন পেতে হলে কামিয়াব,
ওই পাক মুজাদ্দিদী তাজদীদে মিলে মুক্তিই বেহিসাব।
ওরে হাবীবী শত্রু নির্মূল তরে হওরে ঐকতান,
মজলুম নহে মুসলিম জাতি কেন এতো পেরেশান।
অগ্রে মু’মিন জাগ্রত রহ প্রতিঘাতে প্রতিক্ষণ,
সাহসী যোদ্ধা বিচক্ষণেই অনুগত প্রতিজন।
আমীরুল মু’মিনীন খলীফায়ে আসসাফফায়ে মুর্শিদ,
উনার ফায়িযে রহিছি শৌর্যে হক্ব রাহে মুরশিদ।
অধুনা যুগের মহান ইমাম নববী রাজারবাগ,
পরিচয় নিন বিশ্ব মু’মিন জাগরে সিংহভাগ।
ওই খোদাদ্রোহীরে করতে খতম আয়রে মুসলমান,
তাগুতবাদীর মধুর বুলিতে হয়ো না অসম্মান।
ওই খলীফাতুল্লাহ ইমামুল উমামী মুবারক ইরশাদে,
রহি কাফির ধসাতে তামাম মু’মিন হরদম জিহাদে।
ওই মামদূহ দস্তে গ্রহিবো শপথ জাগাতেই খিলাফত,
গাজীর চূড়ায় তাকবীর দিয়ে দেখাবোই হিম্মত।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলের বলে, নাস্তিকদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১১৫
আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলের বলে, মুনাফিক রহে পদতলে-১১৬
আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলের বলে, মুনাফিক রহে পদতলে-১১৭