পবিত্র রমাদ্বান,
রহমত বরকত মাগফিরাতের রহমানী ইহসান।
বছর ঘুরেই হলো হাজিরান মুসলমানের মাঝে,
কোটি নিয়ামত বর্ষিত হয় এ মাহের মিনহাজে।
জানি গর্বিত জাত ইনসানিয়াত প্রত্যেক মু’মিনীন,
মাহে রমাদ্বান দিচ্ছে জানান ঘুরে ঘুরে চিরদিন।
ওই খোদায়ী খ্বইর লভিবার তরে ঈমানদারেরা জেগে,
এ মাহের সব সুযোগ সুবিধা গ্রহিছেই অনুরাগে।
সবে রহমতেরই বৃষ্টিতে নেয়ে বরকতের রন ডুবে,
আর মাগফিরাতের ছামিয়ানা তলে গুজরায় গৌরবে।
ছিয়ামী ছাহারা দিল উপহার আশরাফী ইজ্জত,
জান্নাতী পথে থাকবার তরে বর্ষিছে হুরমত।
পবিত্র এই রমাদ্বানী শান রাখতেই উঁচুয়ান,
রহে সচেতন সদাপ্রতিক্ষণ সকল মুসলমান।
খোদায়ী হুকুম তামিলের তরে এ মাহে তা’লীম পাই,
তাক্বওয়া তাবৎ দেয় আলবত নন্দিত রোশ্নাই।
বর্ধিত ছাওয়াব আসে বেহিসাব প্রতি আমলের বেলা,
বান্দা যে তার বন্দেগী নিয়ে নাহি করে আর হেলা।
শাহী নিয়ামত, হয়ে অবগত, গুলজার কায়িনাত,
ইছলাহী মাস ছড়ায়ে সুবাস দিতে আসে ত্বহারাত।
৯ই রমাদ্বান মুবারক দিন,
পুরো আলমের দিকে দিকে আজ রহমত বর্ষিন।
সমুদ্র তার হিল্লোলে দেয় মহান বার্তাখানা,
পবন তাহার প্রতি পল্লবে প্রবাহিছে বাঞ্ছনা।
পর্বত বন আসমান সাজে নও খুশির উদ্যোগে,
জিন ইনসানী কামিল জনেরা আয়োজনে রন লেগে।
আরশ যমীনি পরতে পরতে মহিত গুঞ্জরণ,
কোন নেকবখত আলবত উনি রহমতী সমীরণ।
উনার সকাশে আসে সহাস্যে আউলিয়া আবদাল,
উনার চাহনে রহেন আবাহনে আজি ঈদে উত্তাল।
পশুপাখি জীব উদগ্রীব রহে ছোহবতে আসবার,
ধন্য সে হবে বিশ্বাসী তবে দর্শিবে কোটিবার।
কে উনি? বলবো যে আমি পাঠকেরা জেনে নিন,
কে তিনি? নিবেন যে জানি ইয়াক্বীনেই মু’মিনীন।
কী পরিচয় লিখি নিশ্চয়ই করিনাকো ব্যত্যয়,
কেমন অবয়ব কহি তইয়্যব বাড়াবাড়ি করি লয়।
আমি আলবত কহি হাক্বীক্বত নেই কোন রছমী,
কহি সত্যি দীপ্তিতে আমি, নেই এতে ভণ্ডামী।
কঠিন থেকে কঠিনতর জাহিলি জগতে তিনি,
শিফা হয়ে উনার তাশরীফ ভবে স¦চ্ছ মধ্যমণি।
উনি সাইয়্যিদ আওলাদে রসূল দিশারী মুসলিমীন,
তিনি সাইয়্যিদ আলিম ও আবিদ ইমামে ছিদ্দীক্বীন।
শুনুন খলীফাতুল উমাম আল মানছুর তিনি,
ইমামুন নূর খাজায়ে খাজেগা মাহবূবে সুবহানী।
রওশন জামির মুজাদ্দিদ আমীর হাবীবায়ে রহমান,
আল কালামী মিছদাক্ব হয়ে তিনি হন জাহিরান।
আল হাদীছি আখলক্বা হয়ে লভিছেন খ্যাতিয়ান,
তিনিই তো ওই একাদশতম খলীফায়ে আলীশান।
ওই উনারাই দস্তে হচ্ছে দাফন তাগুত গোষ্ঠী সবে,
উনারই দোয়ায় হচ্ছে ধ্বংস সাগরে কাফির ডুবে।
মুশরিকসহ বৌদ্ধরা হায় আত্মহত্যা করে,
মানবেতরের করাল গ্রাসে ভুখা কষ্টেই মরে।
ভুমিকম্পের ভয়াল থাবায় মুচড়ে পড়ছে তারা,
ঝর তুফানের হিংস্র্র আঘাতে হচ্ছে সর্বহারা।
আজ পৃথিবীর প্রতি পাদদেশে তাগুতেরা আসহায়,
খাদ্যবস্ত্র চিকিৎসা আর বাসস্থান নাহি পায়।
কুতুবুল আলম মুজাদ্দিদ ছানী খলীফায়ে একাদশ,
বাংলাদেশের সুন্নী দুর্গে রহিছেন লয়ে জশ।
আলমের ওই মুসলিম আজ মানছুরী ইরশাদে,
গড়েন ঐক্য মতানৈক্য ছেড়ে রহেনা বরবাদে।
(তিনি) খিলাফত আলা মিনহাজুন নুবুওওয়াহ ক্বায়িম করতে এলেন,
সাম্য শান্তি ইনসাফ দিয়ে নববী আবাস গড়েন।
ওই অদ্য ৯ই রমাদ্বান শরীফ মুবারক মহা দিন,
বিলাদতী শান করেন প্রকাশ সাইয়্যিদী আরিফীন।
ওরে বিশ্বের জিন ইনসান ক্বওমে মুসলমান,
বিলাদত দিবস করছি পালন রহমতে অফুরান।
ওয়াদা করি মোরা ফায়দা লইতে অনাদি অনন্ত,
খিলাফত ক্বায়িম করবোই মোরা পুরোটা দিগন্ত।
হুঁশিয়ার ওরে বেকুবের দল তাগুত পূজারী সবে,
আহম্মকির খিরকা পরেই সেজে রইলি গর্ধব।
ওই পাক মুজাদ্দিদ আল মানছুর উনার ফায়িয পেয়ে,
পৃথিবীর সব মুজাহিদ আজ নাহি রহি ব্যত্যয়ে।
লাইলাতুল ক্বদর পবিত্র ওই দোয়া কবুলের রাত,
হযরত মানছুরী সনে তুলি দুই হাত করতেছি মুনাজাত।
শুনো আমিন আমিন করছি মোরা কায়মনোচিত্তে,
মোরা জজবাহে রহি অনাবিল দীপ্তে।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬