জওক শওকে ওই হচ্ছে পালন আস্ত বিশ্বময়,
জারি, বিশেষ করেই নব্বই দিন ঈদের সূর্যদ্বয়।
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ তোহফায়ে জান্নাত,
মুবারক নব্বই বিশেষ আঞ্জামে পুলকিত কায়িনাত।
উহা আল্লাহ রহীম রহমানী নাজ বেমিছাল অনুদান,
দিলেন আহাদ আবাদুল আবাদ গ্রহিছেন মুসলমান।
তা’রীফ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, দ্বিপ্তীতে আকমাল,
খোদ খোদায়ী খুশি দায়িমান জুশি, হামিশাতে ত্বলায়াল।
উহা মকবুল শ্রেষ্ঠ অতুল, কুল মাখলুকাতের রাজ,
উহা ফালইয়াফরাহূ ঈমানের রুহু মুক্তির মিনহাজ।
ওই, নিয়ে মালায়িক করেন খ্বালিক হাবীবী প্রশংসা,
তাহা, অনন্ত ওই অনাদি চূড়ায় চমকিছে সহসা।
সব আলিম আরিফ করতে তা’রিফ, নব্বই দিন জুড়ে,
রহেন, রেখে আলবত পুরোটা জগত দায়িমান ফুরফুরে।
ওই ক্বওমে আওয়াম পায় আঞ্জাম, খুশির খাঞ্চা নিতে,
সবাই রহিমী দায়িমী দাওয়াতে, গুজারেন নন্দিতে।
ফের মাহে ছফরের উদ্যানে রহে মহামতি জৌলুস,
নূরী খতিয়ান রহেন আবাদান, দেয় জ্বেলে উসখুস।
কেবল রহমত আর বরকতে ভরা স্মরণীয় ইতিহাস,
যদিও প্রকাশ শোকি নির্যাস, তবু শানে বিন্যাস।
ওই ইয়াওমুল আরবিয়া মাহে ছফরের শেষের ক্ষণ,
ছিহহাতী আখিরী রসূল, খুশিতে ব্যাকুল ছাহাবীগণ।
পুরো মদীনায় সারা পরে যায় হাদিয়া বিলাতে ঝর,
তখন বইছে প্রবল খুশির ফোয়ারা উচ্ছাসে বহুতর।
দেধারছে দান দিনার দিরহাম শত উট দুম্বা কুরবানী,
খোশরবী ঐ পাক হাবীবী আরো খুশি খোদ রব্বানী।
আহলে বাইত ও ছাহাবী মহলে শোক তাপ যান ভুলে,
বেমিছাল সব স্মরণীয় ইশক রহেন দায়িমী বেঁচে।
আল্লাহ পাক উনার বিশেষ এক খলীফা এ মাহে বিদায় নেন,
স্মরণীয় বেহতর আটাইশে ছফর ইতিহাসে লিখে দেন।
তিনি মুজাদ্দিদে আলফেছানী হক্কানী ধ্বণি দ্বীপ্ত জ্যোতিষ্মান,
তিনি বেমিছাল কাইয়্যূমে আউওয়াল আহলান সাহলান।
শুনুন তিনি সাইয়্যিদুল আউলিয়া হয়ে ধরণীতে ইযহার,
জিয়ান, তাগুতী তখত ধ্বংশ করেই, সুন্নতি অধিকার।
ওই তিনিই ভারতী মুশরিকী হাত নিস্তানাবুদ করে,
দ্বীন ইসলামী বিজয়ী পতাকা শওকতে দেন উড়ে।
হায়, হলো পনের শতক হিজরী শুরুতে মুসলিম নাবালোক,
আহা তাগুতী তাপেই ছারখার হয়ে ভুগছে কঠিন শোক।
ওরে মুসলিম দেখ ও শোন করুন অধুনা বেলা,
আজকে মু’মিন রহে দ্বীনহীন ভাসমান ঘৃণ ভেলা।
রহে দ্বীন ইসলামী গৌরবী শান বিরানের হিল্লোলে,
অপমান লয়ে হাবু ডুবু খেয়ে আছে বেশ দূর্বলে।
ওই মানবেতরের তপ্ত ছোবলে গোংরায় মু’মিনীন,
হয় হক্বের সূর্য, তুর্য হারিয়ে কুয়াশায় অর্বাচিন।
কহি, জেনে রাখ ওই মুসলমানেরা পৃথিবীর পার হতে,
কেন ইবলীসি জালে রইছো বিকলে কঠিন বেত্রাঘাতে।
শুনো, যবে কচু পাতার পানির ন্যায় করেছ ঈমানখানা,
যবে হাবিয়া তোমায় ডাকতেছে, করতেই কালা ভুনা।
ঠিক তখনি সুবহান পাঠান ভূবনে মুক্তির মেহমান,
তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম ইমামুল উমাম শাফায়াতী মিজবান।
তিনি ছাহিবে ছমাদ সুলত্বানুন নাছীর মুত্বহ্হার মুত্বহ্হির,
তিনি বিজয়ের বীর, সর্ব উচ্চে চমকে উনার শির।
তিনি ছহিবে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হয়েই তাশরীফান,
তিনি ধুম্র-ধুসর ফিতনা ভূলোকে জাব্বারী আযীমান।
তিনি দুলোকে ভূলোকে করেন জারী অনন্তকালব্যাপী,
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফেই তাড়াচ্ছেন খেলাপী।
ওই রকমারী সাজে সজ্জিত হলো শাহরুল আযমে,
খুশিতে কায়িনাত রাখেন অভিজাত, রব ও রসূলী রহমে।
কী তা’রীফ আমি করবো প্রকাশ ভাষা রহে হয়রান,
আমি নালায়িক করছি নিয়ত কেবল যে শরীকান।
-বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৪৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে-৪৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫০