ইমামুল উমাম
রহমতে আলম হয়ে পরম খোদায়ী খোদ কারাম।
আওলাদে রসূল নূরী বুলবুল ইহসানে মু’মিনীন,
খলীফায়ে আসসাফফাহী শানে এলেন ভূবনে সন্নতে সাবিকীন।
শুন! রহমী হেরেমে জনম জনমে উনারই অবস্থান,
পাক হাবীবী উনার আওলাদ হাদিয়া যমীনে প্রকাশমান।
আজকে উদয় যুদায়ী তাক্বওয়া উঁচু নীচু এক করে,
আজকে সুন্নাহ ধন্যয়ী গুণে ভূবনে আসেন ফিরে।
আজ নববী যুগের জজবাহী তেজে জাহানে জ্যোতিস্মান,
ইনসাফ আর আতরাফ ছুঁইয়ে সম্মুখে হাজিরান।
কোথা ইযাফত নিসবত কোথা চেয়ে দেখ মুসলিম,
আযানের নূর পৃথিবী হতে কায়িনাতে তাকসীম।
দিলরুবা কভু মাহরূম নহে চমকিছে গোটা রাত,
হুব্বি জোশের খায়েশ ঘিরছে দস্তুরে সদাক্বাত।
খাছ আহলু বাইত হুছনে রহিত অতীত ভবিষ্যৎ,
সদা বর্তমানের শান শওকতে যোঝিছে মুহব্বত।
তিনিই আশিক তিনিই মাশুক উরুজ নুযূলী শান,
পাক মুজাদ্দিদ তাজদীদে দ্বীন দায়িমীতে উঁচুয়ান।
ওয়ারাউল ওয়ারা গুজরান তিনি হামেশা ওয়াক্ত ধরে,
রসূলী রুকুতে একাকার হয়ে রব্বি রাজিতে জুড়ে।
উনার একি হাল কামালে কামাল বরকতী আবাহনে,
ওরে আয় ধরণী গায় মুসলিম জনে জনে।
এক হয়ে সবে ভব ময়দানে গড়বো ঐকতান,
মুজাদ্দিদ আ’যম মুর্শিদী নূরে জাগাবো তাসলিমান।
উড়াবো আমরা বাইয়্যিনাতের কালিমা ঝা-া ওরে,
নববী নেওয়াজে পূর্ণ রাখবো বিশ্ব যে অকাতরে।
কোথা ইবলীস তালবিস তার দেই করে মিছমার,
মাদানী মেশকো ছড়াবো জগতে আমরা পুনর্বার।
পূত-পবিত্র হাবীবী হুব্বে হুসনী কোলেই রেখে,
ওই মু’মিনীন মুসলিম মোরা রাখবোই সম্মুখে।
ইমামুল উমাম দেন পয়গাম জাগ্রত গাজী হতে,
জুলফিকারের জোশ লয়ে লয়ে কুফরী রাখি হে পুঁতে।
ভুভুক্ষ ওই ভুবনী গহিনে লুকে আর কত রবি,
কত আর তোরা চোরাগোপ্তাহি হামলা করেই যাবি।
ছল মিথ্যার নাকাড়া বাজায়ে হুমকি দিবিরে কত,
মামদূহী দস্ত দ্রুত ঘিরে আছে দগ্ধগীরির মত।
রে ইহুদী-নাছারা হিন্দু বৌদ্ধ মুজসী ও কাদিয়ানী,
কহিছি এবার হও হুঁশিয়ার পাগারে দুলছে পানি।
মোরা নহি দরিদ্র সমুদ্র ভাবি হিমাদ্রী সমই উঁচে,
মুসলিমী শির আজমতী বীর কভু না রহিছে নিচে।
নবী ও রসূল আহলু বাইতি শান মান খ্যাতিয়ান,
অক্ষয় কভু তন্ময় নহে বহেই দীপ্তিয়ান।
ওই ভারতী উপমাহদেশী সুখ্যাতি গেল কোথা?
অসংখ্য জানি আউলিয়া সবে এখানে রহেন পোঁতা।
দুই শত কোটি মুসলিম আজ এশিয়া বক্ষ কেচে,
নমরূদী নম নস্যাৎ তরে চৌদিকে রহি বেঁচে।
তপ্ত তুর্য্য রক্ত পুরোই আমাদের ধমনীতে,
করে টগবগ বলকায় ফের বদরী বজ্রপাতে।
ওরে হিন্দু মুশরিক তোর বলগা হুমকি হায়,
মূর্তি দেবির দেহ চিড়ে চিড়ে করতেছে বসুধায়।
অবশ্যই মোরা দখলে নিবোই ভারত যে পুনরায়,
ইসলামী পতাকা উড়াবোই ওরে সাফফাহী আক্বীদায়।
আল কালামী আওয়াজ আবার ভারতী ভবের ঘরে,
রবে উত্তাল আলাল হিলাল নওবলে গণহারে।
মোরা বাংলার বিশ কোটি বীর জীবন্ত সাতরাই,
আমরা সাতারু দক্ষ ডুবুরী খোদ যে বলেই যাই।
কালক্ষেপণ স্বল্পের শিরে রবে নারে আর বলি,
কুল-কায়িনাতের ইবলীসি দাস শুনে লও এই কলি।
গাত্র যে তোর করে দিবো ছাই নেই আর এতে ভুল,
তাগুত পূজারী শুন ভালো করি উপড়াবো তোর মূল।
তোর ঈশ্বর নশ্বর কূপে হাউ মাউ করে কাঁদে,
তোরা বিস্তর ভিতুর বক্সে দাপড়াবি উম্মাদে।
অবশ্যই মোরা সত্য কহি সিংহ চূড়ায় উঠে,
সময় হলেই দেখবি তোরেই মোদের দস্তু মুঠে।
বিনতু রসূল পাক ছালিছা আলাইহাস সালাম তিনি
বিলাদতী শান করেন প্রকাশ জুমাদাল উলায় জানি।
এগারই শরীফ বড় তা’রিফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ কহি,
আলম উজ্জ্বল বরকতি ঢল উছলায় ফের মুহি।
হচ্ছে পালন সেই সে দিবস সাফফাহী দরবার,
আস্ত আলম মামদূহ ক্বদমে রহে পুরো তাঁবেদার।
ফের জুমাদাল উলাহি নবমী দিবসে সাইয়্যিদী আকরাম,
ওই সুন্নী ইনাম হাদিউল উমাম তাশরীফ ধরাধাম।
তিনি তো হাবীবী হায়দারী ধন গালিবী দীপ্ত শান,
তিনি তো সাইয়্যিদী শাহদামাদ খোশরবি আহসান।
আহলান ওয়া সাহলান কহি সালিক সালিকা মিলে,
কায়িনাতবাসী রহি সবে খুশি দিলি বাতায়ন খুলে।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৬