মুবারক শাওওয়াল যিলক্বদ আর যিলহজ্জী মাহিনা,
পাক ইলাহী উনার করছে স্মরণ বেশুমার খাজিনা।
হেথা মাখলূক্বাতের শ্রেণী জৌলুস বিকশিত কায়িনাত,
ওই ¯্রষ্ঠা উনার সৃষ্টি বাহার, নন্দিছে হাসানাত।
এ মাহের পাক শাওওয়ালী শিয়রে বিরল ঈদের রাত,
নিসবাতুল আযিমী নূরে নূরে রহে একাকার পুরো খাত।
থেকনা জিন ইনসান বেহুশে বিরান, সেই সময়,
বড়ই পরম রহমী করম অঝরে ঝরছে সৃষ্টিময়।
এলো যিলক্বদী জোশ লয়ে শাহী খোশ, যমীনে তাশরীফান,
জান্নাতী নূরে সাজলো জগত, জাগাতেই আহলান।
ওই, ওই হুর গিলমান সবে বনে আছে মিজবান,
কার প্রতীক্ষায় রহে যে সবায়, কে সেই মেহমান।
তিনি শাহদামাদ ছানী প্রতিধ্বণি শাহবাগে আগমন,
পরে বিলাদতে উনার জাহানে আবার পাক ঈদি আলোড়ন।
তাই ইমামুল উমামী দরবার চুমি আশিকীন করে ভীড়,
দিতেই এনাম, শুভেচ্ছা সালাম, রহে সবে অস্থির।
ওই যিলক্বদী দ্বাদশ দিবসেই এক তারকা জেতিষ্মান,
হেরি পৃথিবী হতেই জাহিরী ভাবেই করলেন প্রস্থান।
শুনুন, তিনি অলিকুল শিরমণি সাইয়্যিদী শাহী নূর,
সুলত্বানুল আরিফীন কুতুবুল আলম, ইহসানে কুহে তুর।
তিনি ক্ষণজন্মা রাহগীরে বীর, আউলিয়া আফজাল,
তিনি তো হলেন, রব ও রসূলী রিদ্বায়ীতে মালামাল।
তিনি ইসলামী ইছলাহী সুরুজ হাদী হন বেমিছাল,
তিনি মুসলিমী নাজাতী সিরাজ মকবুলে ত্বালায়াল।
শুনুন, তিনিই হলেন সুলত্বানুন নাছিরী মুরশিদ সুমহান,
সবে ক্বিয়াম করেই, জানাই উনাকে আহলান সাহলান।
কহি আশিক তামাম আছছলাতু আসসালাম আবাদুল আবাদান,
তাই, উনার কাছীদা পঠি যে হুব্বে, আমরা মুহিব্বান।
ওই পাক যিলহজ্জি সমুদ্রে বহিছে রহমতি হিল্লোল,
সেথা মা’বুদী জেওয়ায় রহে উছলায় কুরবানী শাহী দোল।
লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বণি কায়িনাতে উত্তাল,
কহে অধিক্ষণ উহা হাজিগণ, রেখে ক্লান্তিরে ভাগুয়াল।
জনসাগরের মোহনা মিলছে নবমেই আরাফাত,
কোটি বান্দার আর্তনাদেই কেপে উঠে কায়িনাত।
পাঁচ রোকনের বিশেষ রোকন হজ্জ হলো ইসলামে,
উহা, মহা সমারোহে হচ্ছে পালন জিলহজ্জী আঞ্জামে।
ফের দশ, এগার, বারই দিবসে, কুরবানী সমাহার,
ওয়াজিব কুরবানী দেয় মুসলিম রিদ্বা নিতে রব উনার।
ওই ঈদুল আদ্বহা হচ্ছে পালন দশম দিবসটিতে,
ইলাহী কানুন মানছে মু’মিন খালিক্বি খায়ের নিতে।
সেই ইলাহী হুকুম মানছে বেদুম তামাম ঈমানদার,
ওই রব্বী রহম পেতেই সবে করছে ত্যাগ শিকার।
বর হক্ব কুরবানিতেই লইছে করুনা ক্বওমে মুসলমান,
সেথা খালিক্ব মালিকি খাছ উপহার জারি রহে আবাদান।
দেখুন গোস্বা আগুনে জ্বলতেছে ওই ইবলীস শয়তান,
সে রাখছে জারি ছলচাতুরী কুরবানী ময়দান।
মুসলিম যেন কুরবানী হতে না পারে ফায়দা নিতে,
কাফির মুশরিক মুনাফিক দিয়ে দেয় বাধা বিশ্বেতে।
নামকা ওয়াস্তে কমজোরি, মুসলিম নিয়ে হায়,
আহা, থামাতে চাচ্ছে কুরবানী কাজ বেহুদীর বাহানায়।
কেন পশুর রক্তে রঞ্জিত হবে অযথা ভুবন জুরে,
ইহা মুসলিমি পাষানি প্রথা দাওরে বন্ধ করে। (নাউযুবিল্লাহ!)
জৌলুস মুখোর কুরবানী শান বিরানে রাখতে ভারি,
করে প্রশাসনের পিঠেই চড়ে ইবলীসি আইন জারি।
হায়, পশু কুরবানীতে দিলরে বাধা অতি দরদের দগ্ধ গ্রাসে,
সেই ইবলীসি সেবাদাস কিছু সোনার বাংলাদেশে।
হুশিয়ার! খলীফায়ে আস সাফফাহ তিনি যমীনে অবস্থান,
উনার ফায়িজেই তাগুতি খাহেশ ভেঙ্গে হলো খান খান।
রাখেন পৃথিবী জুড়েই কুরবানী জোশ মহাশানী গৌরবে,
দেখুন, কোনঠাসা হয়ে কাঁদে শয়তান হিংসার আসবাবে।
দেখুন, দশম, একাদশ, দ্বাদশ দিবসে দরবারে মুর্শিদ,
শত সহস্র পশু কুরবানীতেই করেন পালন ঈদ।
ওই রব্বি হুকুম হচ্ছে পালন সুন্নতী তরীক্বায়,
তিনি হাবীবী আবির সুলত্বানুন নাছীর, সাফফাহী সাহানায়।
-বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩০
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩১
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩৪