শুনুন, মাহে রজব শা’বান আর রমাদ্বানী খাঞ্চায়,
ওই ইলাহী খাজানা মু’মিনীন মাঝে, ইহসানে উগলায়।
আহসান সদা মুহসিনী রুপে, পাচ্ছেই ঈমানদার,
তাই মুত্তাক্বী সদা রহেই মুহতাজ, রব রাহে বেশুমার।
তাই তাগুতি তারানা, জিঞ্জিরে বাঁধা, কায়িনাতী চত্ত্বরে,
লুকায় মাহে ত্রয়ের চাবুকঘাতেই, তাগুতেরা গুহাগারে।
আজি রহমানী রাহে, মু’মিনীন রহে, জজবাহী আসবাবে,
রব ও রসূলী লালিমা লাভে গুজরায় খোশভাবে।
জানাই, শোকর শোকর অসংখ্য শোকর দরবারে সুবহান,
রহি মুসলিম, আপনার দানে, আপনাতে আবাদান।
হেরি মুসলিম জনে জনে আজ, রব্বানী রাজী নিতে,
মোরা জজবাহী জোশে, রহি উচ্ছাসে, গাফফারী ইবাদতে।
ওই রজবী রোশেই পুরে ছারখার বিতাড়িত শয়তান,
ফের নিচ্ছি তুলেই শা’বানী শাহানা আমরা মুসলমান।
ঝরে গোটা আলমের প্রতি বাগে বাগে জান্নাতি সমিরণ,
রমাদ্বানী রোবে পাপরাশি ডুবে, যায় দেখা প্রতিক্ষণ।
ইলাহী হাবীব আখিরী রসূল আমাদের তরে তিনি,
খোদ রহমাতাল্লিল আলামিনী নূরে মোদেরে রাখেন টানি।
মোরা মুসলমান, ভাগ্যবান, এপার ওপার সব কুলে,
তাই শোকর গুজারকরি বেশুমার, দিলের দুয়ার খুলে।
আহা হাজার লক্ষ পেয়ে নিয়ামত কেন রহি বেখেয়াল,
কেন যে বনছি নরকি নালায়, আমরা খেকশিয়াল।
কেন অঝর ধারায় গ্রেফতার রহি গযবের জিঞ্জিরে,
হক্ব তালক্বীন কেন রহে ক্ষীণ, মালউনি তদবিরে।
মোরা লোভ ও হিংসা আয়েশের প্যাঁচে পড়ে,
বিলাই অগত্যা আপন সত্ত্বা, পরছি পতনী গাড়ে।
আহা নির্বিকারের নিরব ঘাতকে, গেঁথে রহি ভীরুতায়,
আহা পাই পরিণামে, রহি নির্মমে, পরাজিত সদা হয়।
আহা একতার ডাক বৃথা হলো হাক, ফলাফল অপমান,
রহি খোদায়ী খইর ছেড়ে অস্থির ফ্যাকাশে মুসলমান।
রসূলী রশ্মি রিক্তে রেখেই, তাগুতী তামাশা নিয়ে,
রোজই মুসলিম আজ, ক্ষতিতে বিরাজ, নাপাকি শরাব নিয়ে।
গ্রহি করুণ পরিণতি মুসলিম জাতি, চৌদিকে পৃথিবীর,
দেখি চীন, ফিলিস্তীন, মিয়ানমার, ভারত কাশ্মির।
ওই অত্যাচারের তীব্র যা তনায়, কাতরায় মু’মিনীন,
আহা আজ সহজেই, রাখছি নিজেরে, বিলকুল পরাধীন।
হেরি অগ্রণী আইন শাসন ব্যবস্থায় কাফিরের অধিকার,
কানুনে দ্বীন, রহে শুধু হীন, ঈমানদার বেকারার।
দলাদলি আর মারামারি করে, হক্ব হতে যাই সরে,
এহেন সুবাদে রাখছেই বেধে তাগুতেরা আমাদেরে।
নিছক হিংসা, লোভের বসেই, দলকে করছি ভারি,
দ্বীন ইসলামকে করি ব্যবহার, খোরা যুক্তিতে ধরি।
আহা একতা কাতার, করি চুরমার, আফসোস যাই ভুলে,
তাই তো ক্রমশ ইবলীস বাদী আমাদেরে গিলে ফেলে।
একদিকে বাস্তুহারা, হচ্ছি আমরা, বক্ষ ফাটায়ে চিৎকারী,
অপর দিকে ভোগ বিলাসেই রহিছি মত্ত হারাইয়া দ্বীনদারী।
আজ বিভিষীকাময় কঠিন নাজুকে কোথা পাবো উদ্ধার,
ওই দিবে কে মোদের ঈমানী চেতনা, মুক্তি পরিষ্কার।
শুনুন, শুধুই সাহসী জাতি, মুসলিমী গতি, বাকি সব ভঙ্গুর,
ভাববো এই বিশ্বাসে, আমরা সকলে, অন্তরে বিস্তর।
আসুন, আমরা নিজেদের করবো আপন, বন্ধুর অবগাহে,
খোদাদ্রোহীরে শত্রু ভাবিবো দোস্ত মানিনা কোন মোহে।
ওই কুওওতে কামিল, হুসনে জামিল, ইমামে মুসলমান,
তিনি খলীফায়ে আসসাফফাহি তখতে জগতেই হাজিরান।
তিনি আহলে বাইতি শাহান শাহ বীর, সাইয়্যিদি মাখদূম,
তিনি তাগুতী বারুদ নাস্তানাবুদেই জাগাচ্ছেন মাজলুম।
শুনুন, তিনিই কেবল দ্বীন ইসলামী হাক্বীক্বী কর্ণধার,
উনার দোয়া ও রোবের ফজলে, তাগুতেরা মিছমার।
আজ উনার উক্তিকে পরাশক্তিরা কম্পিত ধরা গায়,
ওই স্বয়ং ইবলীস ভুলে তালবীস দিকহীন দৌড়ায়।
আজ পৃথিবীর চৌদিকে উনার কোটি কোটি মুরীদান,
তামাম তাগুতী তানখা নাশিতে সদা আছে জাগুয়ান।
ওরে সাবধান সব শয়তান, নেই নিস্তার কভু আর,
যবনিকা তোরে রাখছেই ঘিরে, বন্ধ পালাবার গাড়।
(টিকা: গাড় বা পাহাড়-গুহা, মিছমার বা ধ্বংস, জিঞ্জির-শিকল।)
বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬১
আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলৈর বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬২
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৮১
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৮০
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮