শাহী বরকত, যিলক্বদ, যিলহজ্জ, মুহররম মাহিনা,
হলো ত্রয়ী মাস, রিতী বিন্যাস, ইহসানে আফসানা।
মু’মিন মু’মিনা ত্যাগেই দিওয়ানা, ছেড়ে দিয়ে মজবুর,
সবে লিল্লাহিয়াতি, নিতে নিয়ামতি, জুড়ে রহে বিস্তুর।
মুসলিম মাহে যিলক্বদী ময়দানে ওই প্রশিক্ষণে মশগুল,
গ্রোহে তাসনীম জজবাহী জোশ, এ মাহেই বিলকুল।
ভেঙ্গে দিতে সব তাগুতি তালাশ বঞ্চিত উম্মাদ,
ওই যিলক্বদে দোলে, মুসলিমী দিলে, সুন্নতী আহলাদ।
লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বণি মাহে যিলহজ্জী চুড়ে,
রহে মুখরিত মুসলিম মাঝে জড় হতে কা’বা ঘরে।
হেরি, রব ও রসূলী, প্রশংসা বুলি বলছে মুসলমান,
ওই ক্বওমে মু’মিন, ছেড়ে গমগিন সহসাতে আগুয়ান।
মুসলিম নব উদ্যমে করে কুরবানী রাব্বি ওয়াস্তে মূল,
তেইশ ওয়াক্তে আইয়্যামে তাশরীক প্রতিধ্বণি প্রতিকুল।
ব্যস্ত, ঐকতানেই অগ্রজে রহে তামাম মুসলমান।
রহে তাগুত পালিদ তাবা করে দিতে দূরন্ত আবাদান।
ফের আপোষহীন ক্বওমে মু’মিন আরাফাতি আহ্বানে,
জানমাল সব করতে হাদিয়া প্রস্তুত জনে জনে।
সব শয়তান করতে বিরান নিচ্ছি শপথ মুসলিমীন,
দিবনারে ছাড়ি, তাগুত পুজারী রাখি ছনছারে অর্বাচিন।
স্মরণীয় ওই ত্যাগের মাহিনা মুহররমী ইতিহাস,
এলেন ঝিমিয়ে পরা মুসলিম দিতে জজবাতে উচ্ছাস।
কারবালার ওই লালিমা লহু ডাকতেছে বার বার,
জেগে উঠ আজ মুসলিম জাতি ঘুমিয়ে থেকনা আর।
তাই মাহে মুহররম বাতিলী নিয়ম করে দিতে চুরমার,
মুসলমানদের জানাতে আসেন দ্বীন কর উদ্ধার।
খবরদার, পর্বতী সম সমুদ্র ঢেউয়ে হারাইওনা হিম্মত,
রাব্বি ভরসায় দিতে হবে পাড়ি আকড়িয়ে সুন্নত।
ভিতর বাহির শত্রুকে চেনা ওয়াজিব ফরয জেনে,
করতে হবে জোরছে লড়াই দুশমনে দ্বীন সনে।
ওই কারবালা ডাকে উঠবোই জেগে তামাম মুসলমান,
গড়বো দ্বীন ইসলামী পয়গাম নিয়ে দূর্বারী অভিযান।
রইবো আমরা সকল মুসলমানেরা চেতনাতে তন্ময়,
রইবো ইসলামিয়াতী তুর্য নূরেই হরদমে নির্ভয়।
ওই রব ও রসূলী নির্দেশগুলী পালন করতে মোরা,
এক চুলও আর দিবোনারে ছাড়, রহিবো না কভু খোড়া।
ওই ইহুদী হিন্দু নাছারা বৌদ্ধ নাস্তিকবাদী মিলে,
তারা আহলে কুরআন, আহলে হাদীছ মওদুদী কোলাহলে,
চায় করতে বিরান, সুন্নতী শান, ধরা হতে হায় হায়,
থেকে ছয় উছূলী, ওহাবী ক্বওমী সেই মতে সাতরায়।
দেখ, ছবি টিভিসহ ভিডিও প্রজেক্টে মালানা স্কলার,
আহা, ওকাজেই তারা আওয়ামদের নিয়ে করতেছে তোলপাড়।
ফের, গান-বাজনা ও সিনেমা নাটকে হালাল ব্যানার সেঁটে,
করছে, তারা বারংবার, কুফরী প্রচার তাগুতী প্রসাদ চেটে।
ওই তামাম তাগুত এক হয়ে তারা নববী সুন্নাহ শিরে,
দেখি মুহুর্মুহু করছে আঘাত মু’মিনী এ সৌর্য চিড়ে।
হাবীবী ইশক নিস্ত করে দিতে ইবলীসি তোরজোড়,
কটুক্তি করছে হাবিবী শানেই কোথা প্রতিবাদী শোর ।
যাহির অধুনা ধরায় দশম খালীফা শোন হে মুসলমান,
আমি প্রমাণ সহই সত্য কহিছি শুকরিয়া সুবহান।
তিনি আহলে বাইতি নূরী বুরূজ সিরাজে মুস্তফা,
তিনি সুলত্বানুন নাছীর খোদ-ব খোদ খলীফায়ে সাফফা।
তিনিতো আজিমতে দায়িম কায়িম আপোষহীন মজবুত,
রয়, উনার ফায়িজেই মু’মিন সহজে হক্ব রাহে আপ্লুত।
কহি বিশ্ব মুসলিম, লওরে তা’লীম করবে না হেসকারী,
সারাতে অসুখ, থেকোনা বিমুখ, করনারে আর দেরি।
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফই হচ্ছে আজমতে ইবাদত,
ওই কুরআন শরীফে বর্ণিত উহা অকাট্য ইবারত।
ঈদে হাবীবুল্লাহ শ্রেষ্ঠ ঈদে আশিকে রসূল রহে গরক,
ফালইয়াফরহূ সে ঈদে করেন সাজায়ে শৌর্য জাকজমক।
শায়েখ সুলত্বানুন নাছীর পালনে অধির ইলাহী উনার সাথে,
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ শ্রেষ্ঠ হাদিয়া ইতিহাসে দেন গেঁথে।
বিশেষ করেই চৌদ্দশ চুয়াল্লিশ হিজরী নব্বই দিনব্যাপী,
উনার প্রচার প্রসারি গৌরবী শানে, ইবলীস ঠোঁট কাঁপি।
ওই খোদায়ী প্রস্তাব, ছাড়লে আযাব, অবশ্যই ঘিরে কহি,
নির্ঘাত দুশমনে দ্বীন ধরবে তোমায়, অপদস্তেই দহি।
তাই মহামান্য ওই ইমামুল উমামী গ্রহ সবে ছোহবত,
এবার শক্ত কঠিন দস্তেই ধর আসসাফফাহী নছীহত।
-বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৭
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে -২৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩০