হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩০

সংখ্যা: ২৪৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩০


মুহররমুল হারাম

রহে নাজ নিয়ামত মান-সম্মানে সজ্জিত অবিরাম।

শোক-দুখঃ আর রহমতে সদা অনাবিল পরিবেশে,

যুগ-যুগান্তরী বক্ষ যে জুড়ি স্মৃতিগুলো উচ্ছ্বাসে।

 

ওই মুহররমের নামটি লয়েই শুরু যে বারোটি মাস,

হিজরী সনের শৌর্য ফুটায়ে উঁচু রাখে ইতিহাস।

এ মাহে সৃষ্টি কুল্লু আলম পবিত্র আশূরায়,

হাজারো লক্ষ বিষয় সৃজন এ মাহের আঙ্গিনায়।

 

ওই আশূরা মিনাল মুহররমের মুবারক ফায়সালা,

বিজয়ের শিরে চমকিছে শুধু আল হিলালের ভেলা।

কত না শোকের লহু মিশ্রিত বালুরাশি আজো মিলে,

কারবালা মাঠে আস্ত যে ফুটে রঞ্জিত ফুলে ফুলে।

 

ইতিহাস ছাড়ে মহাশ্বাস তার খ্যাতিময় বিস্তরে,

মাহছুছ বড় আফসুসে রয় কুলহারা দস্তুরে।

ভয় ও সাহস উপহাসে রয় গুজরায় ছাতি খুলে,

সত্য যে শুধু অসহায় হয়ে বাতিলি পক্ষে হিলে।

 

রুক্ষ উগ্র বিদ্বেষী প্রথা গেঁথে রহে চারিধার,

শ্লীল কানন রহে অযতন তদারকি নেই তার।

ওই ইহুদী-নাছারা মুশরিকসহ বৌদ্ধরা রাক্ষুসে,

বহুধা রকম অত্যাচারে মুসলিম রাখে বিষে।

 

লুট করে লয় মাল-সম্পদ ঘরবাড়ি দিলো জ্বেলে,

তাড়ায়ে দিচ্ছে দেশ হতে তারা সমুদ্রে দেয় ফেলে।

ইয়েমেন আর নাইজেরিয়া, সিরিয়া, ভারত, চীন,

পাক, আফগান, বার্মা, থাই, লিবিয়া, ফিলিস্তিন।

 

আহ! সউদী, সুদান, তিউনিসিয়া, মিশরী মরুর কোলে,

মুসলমানের রক্ত নিয়ে উল্লাসে হোলি খেলে।

সউদী ওহাবী ইহুদী বাদশাহ বিলাসী পূজায় মেতে,

যা ইচ্ছা তাই করছে সবই রাজতন্ত্রের খাতে।

 

তারিখ হেরফের করছে ঢের জবরদস্তি হায়,

তাগুতেই মজি মারছে হাজী কুট দেমাগের ঘায়।

এবার যুবরাজ করলো কী হায় কঠিন এক ফাজলামী,

লাখো হাজীদের শহীদী খুনেই রাঙ্গালো মক্কা ভূমি।

 

কোথা সে আচার, কোথা সে বিচার ছনছারে একাকার,

নেই প্রতিরোধ, নেই প্রতিশোধ গোলেমালে পারাবার।

দেখি ভারতের সব রাজ্যে এক হয়ে হিন্দুরা,

মুসলমানেরে মারবার তরে গ্রহে নানা পাঁয়তারা।

 

গরু কুরবানী দিবে না করতে, খেতেও দিবে না গোশত,

মায়ের আসনে গরুকে বসায়ে পুজোতে নিচ্ছে জোস্ত।

গো-হত্যা চরম অন্যায় বলে ডাক দেয় এক হতে,

দাও রুখে সব মুসলিমদেরে দেবে রাখ শাস্তিতে।

 

আহ! কাশ্মিরে মারছে কোপায় ধরে ধরে মু’মিনীন,

গরু কুরবানী বড় অপরাধ আইন করে চির দিন।

ফের বাংলাদেশের আটানব্বই ভাগ মুসলিমী অঙ্গনে,

দেখি হিন্দুরা বেশ তালবিশে রয় হিম্মতী বর্ধনে।

 

এক দশমিক পাঁচ ভাগ ওই মুশরিকী খুশি তরে,

প্রশাসনসহ সবদিক দিয়ে সুবিধা রাখছে ধরে।

হায় মুসলিম দেশ বাংলাদেশেও মুসলিম পরদেশী,

এ কেমন রীতি, নিজ ধর্মকে অতল গুহায় পেশি?

 

এই বাংলাদেশের স্কুল, কলেজ, গ্রাম ও মহল্লায়,

হাট-বাজার আর কল-কারখানায়, এমনকি রাস্তায়।

পূজাম-পে বাজাচ্ছে ফের ঢাক-ঢোল জোরে জোরে,

জাঁকজমকেই করছে পূজা নেচে গেয়ে হুল্লোড়ে।

 

সরকারও সেথা দিচ্ছে মদদ দান দক্ষিণা ভেজে,

পুলিশি প্রহরায় যাচ্ছে পূজায় তাগুতী তুমুল তেজে।

হউক যানজট, তবু দিবে রোড পূজায় যে প্রশাসন,

রয় সরকার ন্যুয়ে, ভারতের ভয়ে, হৃদে বাড়ে কম্পন।

 

আর আমরা, মুসলিম হয়ে, পশু কুরবানী বেলা,

পশুর হাটসহ যবেহ করতে জারি হয় বিধিমালা।

যত্রতত্র রাস্তাঘাটে এমনকি বাড়ির পাশে,

কুরবানী পশু যবেহ করতে পারবে না কহে কোষে।

 

ওই পশুর রক্তে পরিবেশ নাকি হবেই দুর্বিষহ,

ফের পশুর হাটে হয় যানজট, অসহ্য অহরহ।

নাক ছিটকায়ে প্রশাসনসহ প্রগতিবাদীরা মিলে,

পশু যবেহ অপচয় উহা নম ভক্তরা বলে।

 

কুরবানীর টাকা সবগুলো যদি দেয় ত্রাণ তহবিলে,

সমাজ উন্নত হবেই হবে দেশ রহে সাবলীলে।

ওই নামে মুসলিম, কাজে মুজরিম মুখপোড়া হনুমান,

দাদাদের তরে দাস হয় নিজে, ভাবো যে ভাগ্যবান।

 

শুনে রাখ, ওই নম আরদালী, মুনাফিক বেঈমান,

রই বাংলায় মোরা মুসলিম জাতি বদরী জ্যাতিষ্মান।

ফরয ওয়াজিব সুন্নাহ পালনে রাখছি জীবনবাজি,

মোরা ইসলামী তপ্ত বারুদ হরদমে রই সাজি।

 

ওই ভারতসহ বিশ্ব তাগুত পূজারীরা শুনে রাখ,

মোরা মুজাদ্দিদ আ’যমী সৈনিক রহি মওজুদ লাখ লাখ।

লালে লাল ওই কারবালা হালে মুর্শিদ বেমিছাল,

সাবধান! তোরা রবিই বিরাণ ধরাভূমে চিরকাল।


-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৫

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৬

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৭

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৮

হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৩৯