ছবর উনার মাক্বাম উনার ফযীলত-সম্মান
মহান আল্লাহ পাক তিনি ছাবির বা ধৈর্য্যশীলগণকে সুসংবাদ দিয়েছেন। ইরশাদ মুবারক করেন-
يَاۤ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اصْبِرُوْا وَصَابِرُوْا وَرَابِطُوْا وَاتَّـقُوا اللهَ لَعَلَّكُمْ تُـفْلِحُوْنَ
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! ধৈর্য্যধারণ করো, ধৈর্য্যশীল হও, নেক কাজে লেগে থাক। আর মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। তাহলে অবশ্যই তোমরা কামিয়াব হবে। সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২০০)
একদিন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে আরজ করলেন- ইয়া রসূল্লাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সম্মানিত ঈমান কি?
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, মাহবুব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- ছবরই ঈমান। তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, ছবর সম্মানিত ঈমান উনার অর্ধেক। ছবর বা ধৈর্যকে স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি অত্যধিক মুহব্বত করেন। আর উনার মুহব্বতের এ বস্তু তিনি সবাইকে দেননা। যাকে মুহব্বত করেন শুধু তাকেই তা দান করেন। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
اِنْ اَقَلَّ مَا اُوْتِيْـتُمُ الْيَقِيْنَ وَعَزِيْـمَةَ الصَّبْـرِ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে যে সকল নিয়ামত দান করেছেন তার মধ্যে ইয়াক্বীন ও ছবরের দৃঢ়তা খুব কম লোককে তা দান করেছেন।”
যাকে এ দুটি অমূল্য নিয়ামত দান করেছেন তাদেরকে বলে দিন যে, নামায, রোযা অল্প করলেও তাদের কোন ভয় নেই। হে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম! আজ আপনারা যে অবস্থার উপর প্রতিষ্টিত আছেন, যদি ছবর করে এ অবস্থার উপর ইস্তিকামাত থাকতে পারেন, অন্যদিকে ফিরে না যান, তাহলে আপনাদের এ অবস্থা আমার নিকট এতো প্রিয় ও পছন্দনীয় যে, উক্ত অবস্থা হতে ফিরে আপনারা প্রত্যেকে আপনাদের সমষ্টিগতভাবে সকলের ইবাদতের সমান ইবাদত করলেও তা আমার নিকট তত প্রিয় ও পছন্দনীয় হবেনা। সুবহানাল্লাহ! তবে আমার ভয় হচ্ছে যে, আমার পরে আমার উম্মতগণের সামনে দুনিয়ার পথ প্রশস্ত হয়ে যাবে, যার ফলে তাদের পরস্পরের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হবে। ঈমানদারগণ তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করবে। পার্থিব উন্নতির পথ প্রশস্ত হলে তার প্রতি ঝুকে না গিয়ে, যে ব্যক্তি ছবর করবে, ছওয়াবের আশা করবে, সে ব্যক্তি পূর্ণ ছওয়াব প্রাপ্ত হবে। কাজেই আপনারা ছবর করুন। দুনিয়া অস্থায়ী; কিন্তু মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট ছবরের যে বিনিময় প্রাপ্ত হবে তা চিরস্থায়ী অনন্তকাল বিরাজ করবে। অতঃপর তিনি এই সম্মানিত আয়াত শরীফ তিলাওয়াত করলেন,
مَا عِنْدَكُمْ يَـنْـفَدُ ۖ وَمَا عِنْدَ اللهِ بَاقٍ ۗ وَلَنَجْزِيَنَّ الَّذِيْنَ صَبَـرُوْا أَجْرَهُمْ بِأَحْسَنِ مَا كَانُـوْا يَـعْمَلُوْنَ
অর্থ: তোমাদের নিকট যা আছে তা নিঃশেষ হয়ে যাবে। পক্ষান্তরে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট যা আছে তা অনন্তকাল স্থায়ী থাকবে। যারা ছবর করেন তাদেরকে আমি তাদের আমল অপেক্ষা উৎকৃষ্ট ও উত্তম প্রতিদান দিয়ে থাকি। (সম্মানিত ও পবিত্র সুরা নহল শরীফ: সম্মানিত ও আয়াত শরীফ ৯৬)
ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১২৭)
-ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার- মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১২৮)
ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১২৯)
ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছারল মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৩০)
ফিক্বহুল হাদীছ ওয়াল আছার মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে- (১৩১)