ইমাম হযরত আবু লাইস সমরখন্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, অরা’ উনার মাকাম হাছিলকারী ব্যক্তিত্ব উনার ১০টি আলামত রয়েছে।
১. তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত নিয়মতরাজীর স্বীকৃতি প্রদান করেন। কেননা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
بلِ اللَّـهُ يَمُنُّ عَلَيْكُمْ أَنْ هَدَاكُمْ لِلْإِيمَانِ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তোমাদের প্রতি ইহসান করেছেন যে, তোমাদেরকে সম্মানিত ঈমান উনার প্রতি পথ প্রদর্শন করেছেন। (পবিত্র সূরা হুজুরাত শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৭)
২. তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামায যথাযথভাবে আদায় করেন। কেননা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَىٰ وَقُومُوا لِلَّـهِ قَانِتِينَ
অর্থ: “তোমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামায সংরক্ষণ করো। বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের প্রতি যতœশীল হও এবং মহান আল্লাহ পাক্ উনার সামনে বিনীত- বিনম্র হয়ে দাঁড়াও।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩৮)
৩. তিনি সত্য কথা বলেন। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
واذا قلتم فاعدلوا
অর্থ: “যখন তোমরা কথা বলবে তখন তাতে সত্য ও ন্যায়-নীতি অবলম্বন করবে। (পবিত্র সূরা আনআম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫২)
৪. তিনি অন্যের প্রতি কু-ধারণা পোষণ করা থেকে বিরত থাকেন। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِّنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ
অর্থ: “তোমরা ধারণা পোষণ করা থেকে বিরত থাকো। কেননা কোন কোন ধারণা (কঠিন) গুণাহের কারণ। (পবিত্র সূরা হুজুরাত শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১২)
৫. তিনি যবানকে গীবত থেকে মুক্ত রাখেন। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
ولايَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا
অর্থ: “তোমারা এক জন অন্য জনের গীবত করিও না। (পবিত্র সূরা হুজুরাত শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১২)
৬. কারো প্রতি ঠাট্টা- বিদ্রƒপ করা থেকে তিনি বিরত থাকেন। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا يَسْخَرْ قَوْمٌ مِّن قَوْمٍ عَسَىٰ أَن يَكُونُوا خَيْرًا مِّنْهُمْ
অর্থ: “মু’মিনগণ যেনো অন্য কাউকে উপহাস, ঠাট্টা-বিদ্রƒপ না করে। কেননা, হতে পারে সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম। (পবিত্র সূরা হুজুরাত শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১১)
৭. তিনি অহঙ্কার ও গৌরব করেন না। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
تِلْكَ الدَّارُ الْآخِرَةُ نَجْعَلُهَا لِلَّذِينَ لَا يُرِيدُونَ عُلُوًّا فِي الْأَرْضِ وَلَا فَسَادًا.
অর্থ: “ঐ বেহেশত তাঁদের জন্য তৈরী করেছি, যারা যমীনের বুকে অহঙ্কার এবং বিপর্যয় সৃষ্টি করে না।” (পবিত্র সূরা কাসাস শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৩)
৮. তিনি হারাম জিনিস থেকে দৃষ্টি নি¤œগামী রাখেন। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ
অর্থ: “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি মু’মিনদেরকে বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নি¤œগামী করে”। (পবিত্র সূরা নূর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩০)
৯. অরা’ উনার মাকাম হাছিলকারী ব্যক্তিত্ব তিনি স্বীয় সম্পদকে পাপ কাজে ব্যয় না করে সম্মানিত শরীয়ত অনুযায়ী ব্যয় করেন। কেননা ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَالَّذِينَ إِذَا أَنفَقُوا لَمْ يُسْرِفُوا وَلَمْ يَقْتُرُوا
অর্থ: আর যখন তারা সম্পদ ব্যয় করেন তখন অপব্যয় করেন না, কৃপণতাও করেন না। (পবিত্র সূরা ফুরক্বান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৭)
১০. তিনি اهل السنة والجماعة উনার মতের উপর ইস্তিকামাত বা অটল থাকেন। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وان هذا صراطى مستقيما فاتبعوه
অর্থ: “নিশ্চয়ই এটাই আমার সরল- সঠিক পথ। সুতরাং তোমরা এটাকে অনুসরণ করো।” (পবিত্র সূরা আনআম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫৩)
মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (১৯২) ক্বলবের ফানা এবং নফসের ফানা হাছিলের উপায়
মুর্শিদ ক্বিবলা ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (১৯৩) ক্বলবের ফানা এবং নফসের ফানা হাছিলের উপায়