আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহ্ফিল সংবাদ

সংখ্যা: ১১৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদনঃ আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত সূত্রে জানা যায়, গত ১১ ডিসেম্বর/০২ ঈসায়ী বুধবার হতে ২৩ ডিসেম্বর/০২ ঈসায়ী সোমবার পর্যন্ত ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলার্দু রসূল ঢাকা রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী মানুষকে ছহীহ্ দ্বীন ইসলামের তা’লীম-তালক্বীন দানের উদ্দেশ্যে আহলে বাইত ও মুরীদ-মুতাক্বিদসহ চট্টগ্রাম বিভাগের ৬ জিলায় ১৩ দিনের এক বিশেষ সফর করেন। ছফরের ১ম ও ২য় দিন তিনি কুমিল্লার আশিক রেষ্ট হাউসে অবস্থান করেন। ১ম দিন ১১ ডিসেম্বর, বুধবার, কুমিল্লার পৌর ঈদগাঁহ্ ময়দানে ওয়াজ ও দোয়ার মাহ্ফিলে তিনি প্রধান অতিথির বয়ান রাখেন। ১২ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার, কুমিল্লার আশিক রেষ্ট হাউসে অবস্থান করে তা’লীম-তালক্বীন ও বাইয়াত প্রদান করেন। ছফরের ৩য় ও ৪র্থ দিন চাঁদপুরের হোটেল তাজমহলে দু’দিন অবস্থান করেন। ১ম দিন ১৩ ডিসেম্বর, শুক্রবার, চাঁদপুর মু’মিনপাড়া খানবাড়ী মসজিদে জুমুয়ার নামায পড়ান। ঐদিন বাদ মাগরীব ফরমান খান মিয়াজী বাড়ীতে ওয়াজ ও দোয়ার মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বয়ান রাখেন। ২য় দিন ১৪ ডিসেম্বর, শনিবার, চাঁদপুরের হোটেল তাজমহলে অবস্থান করে তা’লীম-তালক্বীন ও বাইয়াত প্রদান করেন। ছফরের ৫ম ও ৬ষ্ঠ দিন লক্ষ্মীপুরের হোটেল আবে হায়াতে দু’দিন অবস্থান করেন। ১ম দিন ১৫ ডিসেম্বর, রোববার, লক্ষ্মীপুরের উপজেলা পরিষদ মাঠে ওয়াজ ও দোয়ার মাহ্ফিলে তিনি প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন। ২য় দিন ১৬ ডিসেম্বর, সোমবার, লক্ষ্মীপুরের হোটেল আবে হায়াতে অবস্থান করে তা’লীম-তালক্বীন ও বাইয়াত প্রদান করেন। ছফরের ৭ম ও ৮ম দিন নোয়াখালীর হোটেল লিটনে দু’দিন অবস্থান করেন। ১ম দিন ১৭ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার, নোয়াখালীর পুরাতন কলেজ মাঠে ওয়াজ মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বয়ান রাখেন। ২য় দিন ১৮ ডিসেম্বর, বুধবার, হোটেল লিটনে অবস্থান করে তা’লীম-তালক্বীন ও বাইয়াত প্রদান করেন। ছফরের ৯ম ও ১০ম দিন ফেনীর হোটেল অবকাশে দু’দিন অবস্থান করেন। ১ম দিন ১৯ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার, ফেনীর জি, এ, একাডেমী মাঠে ওয়াজ মাহফিলে তিনি প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন। ২য় দিন ২০ ডিসেম্বর, শুক্রবার, ফেনীর ছাগলনাইয়া মসজিদে জুমুয়ার নামায পড়ান। ঐদিন হোটেল অবকাশে অবস্থান করে তা’লীম-তালক্বীন ও বাইয়াত প্রদান করেন। ছফরের ১১, ১২ ও ১৩তম দিন বি-বাড়ীয়ার আাঁখি রেষ্ট হাউসে তিনদিন অবস্থান করেন। ১ম দিন ২১ ডিসেম্বর, শনিবার, বি-বাড়ীয়া ইন্ডাস্ট্রিয়েল হাইস্কুল ময়দানে ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে তিনি প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন।  ২২ ডিসেম্বর, রোববার, ষ্টেশন রোড, আঁখি রেষ্ট হাউস প্রাঙ্গণে মীলাদ ও দোয়ার মাহফিলে প্রধান অতিথির বয়ান রাখেন এবং ২৩ ডিসেম্বর, সোমবার,  বি. বাড়ীয়া ষ্টেশন রোড, আঁখি রেষ্ট হাউসে অবস্থান করে তা’লীম-তালক্বীন ও বাইয়াত প্রদান করেন।

লক্ষ্মীপুর সংবাদ

আমাদের লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা জানান, লক্ষ্মীপুরে ইমামুল আইম্মা, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলার্দু রসূল, ঢাকা রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর হক্বের প্রচারে ও হাজার হাজার শ্রোতার মাহ্ফিলে উপস্থিতিতে চিহ্নিত ধর্মাশ্রয়ী রাজনৈতিক দলের ধর্ম ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ধর্ম ব্যবসা বন্ধ হওয়ার ভয়ে হিংসাকাতর হয়ে পড়ে। তারা শুরু থেকেই মাহ্ফিল বানচাল, বিভিন্ন অজুহাতে ফিৎনা তৈরী করে হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর অবস্থান, তালিম-তালক্বীন ও বাইয়াত প্রদানকে বিতর্কিত করে আম জনতাকে তাঁর মুবারক সান্নিধ্য থেকে দূরে রাখার পায়তারা করতে থাকে। কিন্তু কোন প্রকারেই সে সুযোগ না পাওয়ায় লক্ষ্মীপুর চকবাজার বড় মসজিদে নামায পড়তে যাওয়া অনুসারীদের উপর পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক ইমামের  প্ররোচনায় হামলা চালিয়ে ফিৎনার সূত্রপাত ঘটায়। এরপর সংবাদপত্রের নীতিমালা ও জ্ঞান বর্জিত কতিপয় অসৎ ভাড়াটে সাংবাদিক কর্তৃক যাচাই-বাছাই ব্যতীত মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ লিখায় যা ১৭, ১৮ ডিসেম্বর দৈনিক যুগান্তর, ১৭ ডিসেম্বর দৈনিক মানবজমিন, ১৮ ডিসেম্বর দৈনিক প্রথম আলো, ২১ ডিসেম্বর দৈনিক ইনকিলাবে মফস্বল তথা বার্তা সম্পাদকের যাচাই-বাছাই ছাড়াই প্রকাশিত হয়। পরে লক্ষ্মীপুর জিলা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত ও ঢাকার কেন্দ্রীয় আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর পক্ষ থেকে তাদের মিথ্যা সংবাদের বিপরীতে  স্থানীয় জনতার স্বাক্ষরিত দলীলপত্রসহ জোর প্রতিবাদ জানালে ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর দু’বার প্রথম আলো, দু’বার যুগান্তর, ২১ ডিসেম্বর মানবজমিন, ২৩ ডিসেম্বর দৈনিক ইনকিলাব প্রতিবাদ প্রকাশপূর্বক ক্ষমা প্রার্থনা করে।

বি-বাড়ীয়া সংবাদ

আমাদের বি-বাড়ীয়া সংবাদদাতা জানান, স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ, বি-বাড়ীয়ার কথিত ওহাবী, খারিজী হুযূররা মিথ্যা প্রচারণা দ্বারা সত্যিকার দ্বীন ইসলামকে সত্যান্বেষী মানুষদের থেকে আড়াল করে রেখেছে। ধর্মের নামে অ-ধর্ম করে জোরপূর্বক ইসলামের নামে খারিজী, ওহাবী মতাদর্শ সমাজের মানুষের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। জবরদস্তি করে আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি পরিপূর্ণ আদব ও মুহব্বতের বহিঃপ্রকাশ মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়ামকে নিষিদ্ধ করে রেখেছে। ধর্মের নামে সঠিক ইসলামপন্থীদের উপর জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে। ধর্মের নামে বিভিন্ন অযুহাতে শোষণ করছে আম জনতাকে। একমাত্র তারা ব্যতীত অন্য কেউ প্রকাশ্যে বি-বাড়ীয়াতে ইসলামের কথা বলতে পারবেনা এধরণের একটি অঘোষিত ফরমান জারি রয়েছে বলে স্থানীয় লোকজন মন্তব্য করেন।  কিন্তু এবারের ছফরে মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলার্দু রসূল, হাবীবুল্লাহ্ ঢাকা রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর বেমেছাল রূহানী ক্ষমতার প্রভাবে মুহূর্তেই তছনছ হয়ে যায় দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর ধরে জিইয়ে রাখা কথিত হুযূরের কুফরী ও বিদয়াতী মতবাদ। ধুলিস্মাৎ হয় কুক্ষিগত ক্ষমতার মসনদ। বিচলিত হয়ে যায়, মরিয়া হয়ে উঠে বি-বাড়ীয়াতে মুযাদ্দিদুয্ যামান-এর অনুপ্রবেশ ঠেকাতে। অবশেষে তাদের সমস্ত চেষ্টা তদবীর ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। সকল বাধা বিপত্তি অন্যায় ও বাতিলকে প্রতিহত করে মুযাদ্দিদুয্ যামান বিজয়ের বেশে প্রবেশ করে তিন দিন অবস্থান করেন বি-বাড়ীয়াতে। যুগ যুগ ধরে বন্ধ করে রাখা মীলাদ শরীফ পাঠ ও ক্বিয়াম করার মধ্যদিয়ে বাতিলকে প্রতিহত করে হক্ব প্রতিষ্ঠা করেন। সকলের মুখে হাসি, হৃদয়ে আনন্দের ঢেউ। মুযাদ্দিদুয্ যামান-এর বিজয়ের আনন্দে মাতোয়ারা বি-বাড়ীয়ার আম জনতা। সবার মুখে একই কথা, “প্রকাশ্যে মাহ্ফিল সম্পন্ন করা, মীলাদ শরীফ ও ক্বিয়াম প্রতিষ্ঠার দ্বারা প্রমাণিত হয়, নিশ্চয়ই আওলার্দু রসূল, হাবীবুল্লাহ্ ঢাকা রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ওলী আল্লাহ্ এবং এ যুগের মুজাদ্দিদ। এতে সন্দেহের বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই।” উল্লেখ্য, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলার্দু রসূল, হাবীবুল্লাহ্ ঢাকা রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর বি-বাড়ীয়া জিলায় অবস্থান ও  তাঁর ওয়াজ মাহফিল সর্বস্তরের জনগণের মাঝে এমন কি খোদ প্রকাশনা জগতেও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। স্থানীয় দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, দৈনিক সমতট বার্তা, দৈনিক তিতাস কক্ত, দৈনিক প্রজাবন্ধু, দৈনিক আজকের হালচাল, দৈনিক দিনদর্পণ-এর প্রথম পাতায় ফলাও করে তাঁর রেকর্ড তৈরীকারী মাহফিল ও মীলাদ ক্বিয়াম সংক্রান্ত সংবাদ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে ছাপা হয়।    উল্লেখ্য, বর্ণিত ছফরের সবস্থানেই ক্বায়িম-মক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদাতুন্ নিসা, মাহবুবায়ে ইলাহী, নূরে জাহান, ইমামাতুছ্ ছিদ্দীক্বা, হাবীবাতুল্লাহ্, আমাদের সম্মানিতা  হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহাল আলীয়া-এর নিকটও হাজার হাজার মহিলা খাছ পর্দার সাথে আগমন করে তা’লীম-তালক্বীন, বাইয়াত গ্রহণ ও দোয়া নেন। তারা তাদের মাঝে নক্শায়ে উম্মূল মু’মিনীন হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহাল আলীয়াকে পেয়ে নিজেদের মহা সৌভাগ্যবান মনে করেন। তা’লীম নিতে আসা স্থানীয় মহিলাগণ বলেন, মহিলাদের মাঝে এত বড় আল্লাহ্ ওয়ালী তথা এত বড় আলিমা, এত বড় কুরআন-হাদীস জাননেওয়ালা আছেন তা আমরা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহাল আলীয়াকে দেখার আগে কল্পনাও করতে পারিনি। উল্লেখ্য, তাঁর রূহানী পরশ পেয়ে বিপুল সংখ্যক মহিলা এমনকি একটি চিহ্নিত ধর্মাশ্রয়ী রাজনৈতিক দলের রোকন ও প্রচলিত ছয় উছূল ভিত্তিক তাবলীগের মুয়াল্লিমরাও বাইয়াত গ্রহণ করেন এবং আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত গঠন করে ছহীহ্ ইসলামের খিদমতে নিজেদের নিয়োগ করেন।

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহ্ফিল সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত সংবাদ