আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক উনার পূর্বে ব্যবহৃত “মুহইউস সুন্নাহ” লক্বব মুবারক বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১৬৮ -আল্লামা মুফতী মুহম্মদ কাওছার আহমদ

সংখ্যা: ২৭৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

নিকাহ বা বিবাহ করা খাছ সুন্নত (২)

সর্বোপরি মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

قُلْ إِنْ كُنتُمْ تُـحِبُّوْنَ اللهَ فَاتَّبِعُوْنِيْ يُـحْبِبْكُمُ اللهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْ ۗ وَاللهُ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ

অর্থ: হে আমার প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মতগণকে বলে দিন, “তোমরা যদি মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত পেতে চাও তাহলে আমার ইতায়াত বা অনুসরণ করো। তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে মুহব্বত করবেন। তোমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করবেন। আর তিনি তোমাদের প্রতি সর্বদা ক্ষমাশীল ও দয়ালু হবেন। (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩০)

অথচ বিবাহের মত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি আজ উপেক্ষিত। তার সাথে যুক্ত হয়েছে বিদয়াত ও বেশরার পাহাড়। বেদ্বীন, বদদ্বীনদের অন্ধ অনুসরণ। নিকাহের সাথে সংশ্লিষ্ট মুসলমানগণ হয়েছে লক্ষ্যচূত, লক্ষ্যভ্রষ্ট। সুন্নত মুবারকগুলো বিলুপ্ত হচ্ছে। উলামায়ে ‘সূ’দের সুন্নত বিমুখতার কারণে সুন্নত মুবারকগুলোকেই বিদয়াতরূপে আখ্যায়িত করছে। আর বিদয়াতগুলোকেই সুন্নত বলে পালন করছে। নাউযুবিল্লাহ!

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, গাউছুল আ’যম, মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বিলুপ্ত সেই সুন্নত মুবারকগুলো পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বিদয়াত- বেশরাগুলো বিনাশসাধন করেছেন। জারিকৃত পুনঃপ্রতিষ্ঠিত সেই সুন্নত মুবারকগুলো আলোচ্য নিবন্ধে ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করবো ইনশাআল্লাহ!

নিকাহ বা বিবাহের ফযীলত

মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা বিবাহ করার নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন। আহাল-আহলিয়া (স্বামী-স্ত্রী) হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার এক বিশেষ নিদর্শন তথা নিয়ামত। দ্বীনদার আহাল ও দ্বীনদার আহলিয়া হচ্ছেন দুনিয়ার শ্রেষ্ঠতম সম্পদ। যারা দ্বীনদার আহাল (স্বামী) দ্বীনদার আহলিয়া (স্ত্রী) পেলেন তারা দুনিয়াবী শ্রেষ্ঠ সম্পদ পেলেন। দ্বীনদার আহাল দ্বীনদার আহলিয়া মানষিক-শরীরিক সবদিক দিয়ে প্রশান্তির কারণ। নিকাহ বা বিবাহ পরহেযগার মুত্তাক্বী হওয়ার পথকে সুগম করে। নেক কাজের রাস্তা খুলে যায়, যা সাধারণত ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারী থাকে। আর স্বাভাবিকভাবে তা কখনো বন্ধ হয় না। নেককার-পরহেযগার আহাল ও আহলিয়ার ঘরে সাধারণত নেককার- আল্লাহওয়ালা সন্তান-সন্ততিই জন্মগ্রহণ করে। যারা স্বীয় পিতা-মাতার অনুগত হয়, পিতা-মাতা ইন্তিকাল করলে তারা পিতা-মাতার জন্য দোয়া করে। ফলশ্রুতিতে পিতা-মাতার প্রশান্তির কারণ হয়। পক্ষান্তরে গোনাহ খতা ক্ষমা হয়। তাদের জান্নাতে যাওয়ার পথ সুগম হয়। আর যে সকল পিতা-মাতা জান্নাতী হন নেককার সন্তানের দোয়া ও ছাওয়াব রেসানীর কারণে জান্নাতে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পরম নৈকট্য কুরবত, তায়াল্লুক, নিছবত মুবারক লাভ হয়।

সর্বোপরি মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

وَمِنْ اٰيَاتِهٖ أَنْ خَلَقَ لَكُمْ مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِّتَسْكُنُوْا إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُمْ مَّوَدَّةً وَرَحْمَةً ۚ إِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُوْنَ

অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত নিদর্শনগুলোর মধ্যে একটি বিশেষ নিদর্শন হচ্ছে যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের আহলিয়া তথা স্ত্রী। যাতে তোমরা তাদের নিকট ইতমিনান লাভ করতে পারো। আর তোমাদের পারস্পরিক মুহব্বত ও দয়া-ইহসান পয়দা করে দিয়েছেন। চিন্তাশীল লোকদের জন্য ইহাতে অবশ্যই অনেক নিদর্শন রয়েছে।” (পবিত্র সূরা রূম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২১)

আশরাফুল আউলিয়া, খতীবে আ’যম, ফখরুল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন,  মুহীবুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাহবুবে রাব্বুল আলামীন, শায়খু কালীমুল্লাহ, কুদ্ওয়াতুল উলামা ওয়াল মাশায়িখ, মাখদুমে আলম, সিবগাতুল্লাহ, আহলুল্লাহ, মাশগুলুল হক, শামছুল আরিফীন, তাজুল আসফিয়া,  সাইয়্যিদুনা, ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধী এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ – ৪

আশরাফুল আউলিয়া, খতীবে আ’যম, ফখরুল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন,  মুহীববু নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাহবুবে রাব্বুল আলামীন, শায়খু কালীমুল্লাহ, কুদ্ওয়াতুল উলামা ওয়াল মাশায়িখ, মাখদুমে আলম, সিবগাতুল্লাহ, আহলুল্লাহ,মাশগুলুল হক, শামছুল আরিফীন, তাজুল আসফিয়া,  সাইয়্যিদুনা, ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধী এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ – ৫

সাইয়্যিদুশ্ শাকিরীন, শাইখুল মুজাহিদীন, সুলত্বনুত্ ত্বহিরীন, ইমামুর রাশিদীন, মুর্শিদু উইলদে আদম, ইমামুস্ সুন্নাহ্, ছহিবে আসরার, যুবদাতুল আরিফীন, মাহ্বুবে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, কাবিরুল আউলিয়া, ইমামুল আ’যম, বদরুদ্দীন, হাদীয়ে আকরাম, জারুল্লাহ্, সাইয়্যিদুল আবরার, সাইয়্যিদুনা, ইমাম – রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম  মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৬

রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৭

ইমামুল আলম, জামিউ বাইনাল বাতিন ওয়াজ্ জাহির, মুফাখ্খরুল আমাসিল ওয়াল আবরার, ফরীদুল আওয়ান, বারাকাতুল আনাম, জাইনুদ্ দ্বীন, সুলতানুজ্ জাহিদীন, কুদওয়াতুল হাদীইন, রঈসুল মুতাওয়াক্কিলীন, আরকানুল ইসলাম, হুজ্জাতুল আউলিয়া, হাকিমুল আরিফীন,আবুল ফয়েজ ওয়াত্ তাওয়াজ্জুহ্, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৭