`ইমামুল আ’ইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, ক্বাইয়্যুমুয্ যামান, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, সুলতানুল ওয়ায়েজীন, গাউসুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, আফযালুল আউলিয়া, সুলতানুন্ নাছির, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ্, আওলার্দু রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম -১৯

সংখ্যা: ১১৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

যেমন, অনেক লোক বলে থাকে বা অনেকে চিন্তা-ফিকিরও করে থাকে, ঘর-বাড়িতে রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিল হোক। এমন কোন লোক নেই আল্লাহ্ পাক-এর যমীনে, যে চায়না তার বাড়িতে রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিল হোক। যদি কেউ চায় তার বাড়িতে রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিল হোক সবসময়, সেটাই আল্লাহ্ পাক-এর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে দিয়েছেন, সে যেন প্রবেশ করতে এবং বের হতে সালাম দিয়ে প্রবেশ করে এবং বের হয়। তাতে আল্লাহ্ পাক রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিল করবেন। আর একটা হাদীস শরীফে হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত রয়েছে,

عن انس رضى الله تعالى عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال يا بنى اذا دخلت على اهلك فسلم يكون بركة عليك وعلى اهل بيتك.

“আখিরী রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে বলেন, “হে ছেলে! ঘরে যখন প্রবেশ করবে ছালাম দিয়ে প্রবেশ কর, সেটা শুধু তোমার ঘরের অধিবাসীদের জন্যই যে রহমত, বরকত, সাকীনার কারণ তা নয়, সেটা তোমারও রহমত, বরকত, সাকীনার কারণ হবে।” (সুবহানাল্লাহ্)

কাজেই সালাম দিয়ে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করা যেমন পর্দার জন্য সহায়ক তেমন আল্লাহ্ পাক-এর আদেশ পালন করা হলো ও সুন্নতের ইত্তেবা করা হলো। সর্বোপরি আল্লাহ্ পাক এবং আল্লাহ্ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সন্তুষ্টি তলব করা হলো। এর সাথে সাথে সে রহমত, বরকত, সাকীনারও অংশ পেয়ে গেল।

সেটাই আল্লাহ্ পাক কুরআন শরীফে বলে দিয়েছেন, সালাম দিয়ে প্রবেশ করবে। যদি কেউ সালাম দেয়, একজন আরেকজনকে সালাম দেয়ার সাধারণ মাসয়ালা হচ্ছে সুন্নত; কিন্ত তার জাওয়াব দেয়া হচ্ছে ওয়াজিব।  হাদীস শরীফে এসেছে, কেউ যদি সালাম দেয়, সালামের মধ্যে একশটা নেকী রয়েছে। একশটা নেকীর মধ্যে যে সালাম দিবে সে নব্বইটা পাবে। (সুবহানাল্লাহ) আর যে জাওয়াব দিবে যদিও সেটা ওয়াজিব, সে পাবে দশটা নেকী মাত্র।

আল্লাহ্ পাক কুরআন শরীফে উল্লেখ করেন,

واذا حييتم بتحية فحيوا باحسن منها او ردوها ان الله كان على كل شئ حسيبا.

“যদি তোমাদেরকে কেউ সালাম দেয়, (তাহলে তোমরা কি করবে?) তাকেও সালাম দিবে। সে যতটুকু বলে তার চাইতে উত্তমভাবে বলবে অথবা তোমাকে যা বলেছে কমপক্ষে তার জাওয়াবে ততটুকু বলবে। (আফযল হলো, সুন্নত হলো তার চাইতে একটু বাড়িয়ে বলা।) আল্লাহ্ পাক সমস্ত কিছুর হিসাব রাখেন, হিসাব রাখনেওয়ালা।” এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, সালাম যে শুরু হলো, সালামটা আসলো কোথা থেকে? এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে,

عن ابى هريرة رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم فلما خلق الله ادم عليه السلام قال اذهب فسلم على اولئك النفر وهم نفر من الملئكة جلوس فاستع ما يحيونك فانها تحيتك وتحية ذريتك فذهب فقال السلام عليكم فقالوا السلام عليك ورحمة الله.

“হযরত আবু হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন যে, আল্লাহ্ পাক যখন হযরত আদম আলাইহিস্ সালামকে সৃষ্টি করলেন, সৃষ্টি করে হযরত আদম আলাইহিস সালামকে আল্লাহ্ পাক বললেন, আপনি সামনে যান, (সামনে বসা ছিলেন একদল ফেরেশ্তা), উনারা হচ্ছেন ফেরেশ্তা, আপনি তাঁদের কাছে যান, তাঁদেরকে সালাম দিন। সালাম দিয়ে আপনি শ্রবণ করুন তারা কি বলেন, কিভাবে সালামের জাওয়াব দেন। আপনি সালাম দেয়ার পর তারা যেটা জাওয়াব দিবে সেটা আপনার এবং আপনার যারা আল-আওলাদ ক্বিয়ামত পর্যন্ত আসবে তাদের জন্য হবে সালামের নিয়ম। হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম গেলেন অতঃপর সালাম দিলেন, উনারা জাওয়াবে বললেন, السلام عليك ورحمة الله.

একটা শব্দ বাড়িয়ে উনারা বললেন। সেজন্য আদম সন্তানের জন্য এই নিয়ম আল্লাহ্ পাক করে দিলেন। আর আল্লাহ্ পাক-এর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও করে দিলেন, সালাম দিবে, السلام عليكم ورحمة الله. ইচ্ছা করলে আরো বাড়িয়ে বলতে পারে, وبركاته ومغفرته. আরো অনেক বাড়িয়ে বলতে পারে। সালাম দিবে এবং তার জাওয়াবও দিবে। আল্লাহ্ পাক সেটাই ফায়সালা করে দিলেন যে, গৃহবাসীর কাছে গিয়ে সালাম দিবে সে তার জাওয়াব দিবে। জাওয়াব দিলেই বুঝা গেল যে, গৃহবাসী রয়েছে এবং তার অনুমতি হয়ত সে পাবে। এরপর সে অনুমতি দিবে যে, আসতে পারেন; তখনই সে প্রবেশ করবে এর পূর্বে নয়। সালাম দিয়ে সালামের জাওয়াব দেয়ার পর যখন অনুমতি দেয়া হবে তখনই সে প্রবেশ করবে এর পূর্বে সে প্রবেশ করতে পারবেনা। সেটা নিষেধ করে দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে এসেছে,

عن حضرت ابى سعيد الخدرى رضى الله تعالى عنه قال اتانا ابو موسى رضى الله تعالى عنه قال ان عمر رضى الله تعالى عنه ارسل الى ان اتيه فاتيت بابه فسلمت ثلثا فلم يرد على فرجعت وقد قال لى رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا استأذن احدكم ثلثا فلم يؤذن له فليرجع فقال عمر رضى الله تعالى عنه اقم عليه البينة قال ابو سعيد رضى الله تعالى عنه فقمت معه فذهبت الى عمر رضى الله تعالى عنه فشهدت.

“হযরত আবু সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন যে, একদিন হযরত আবু মুসা আশয়ারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আমার কাছে আসলেন, এসে আমাকে বললেন যে, হযরত উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু আমাকে সংবাদ দিয়েছিলেন যাওয়ার জন্য। আমি গিয়েছিলাম। আমি উনার বাড়ীতে গিয়েছিলাম, উনার দরজায় দাঁড়িয়ে তিনবার সালাম দিয়েছিলাম। আমাকে সালামের কোন জাওয়াব দেয়া হয়নি, আমি সে জন্য ফিরে এসেছি। যখন আমি ফিরে চলে আসলাম এরপর আমাকে সংবাদ দিয়ে হযরত উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন, তোমাকে কোন্ জিনিস নিষেধ করেছিল আমার ঘরে প্রবেশ করতে? আমি তো সংবাদ দিয়েছিলাম, তুমি কেন আসলেনা? কোন্ জিনিস তোমাকে বাধা দিয়েছিল আমার ঘরে প্রবেশ করতে? তিনি বললেন, আমি এসেছিলাম, আপনার দরজায় দাঁড়িয়ে আমি তিনবার সালাম দিয়েছিলাম فلم يرد على সালামের কোন জাওয়াব  আমি পাইনি رجعت আমি সেজন্য ফিরে চলে গিয়েছিলাম। (অসমাপ্ত)

ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম

ইমামুল আ’ইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, ক্বাইয়্যুমুয্ যামান, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, সুলতানুল ওয়ায়েজীন, গাউসুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, আফযালুল আউলিয়া, সুলতানুন্ নাছির, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ্, আওলার্দু রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন  শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম

ইমামুল আ’ইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, ক্বাইয়্যুমুয্ যামান, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, সুলতানুল ওয়ায়েজীন, গাউসুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, আফযালুল আউলিয়া, সুলতানুন্ নাছির, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ্, আওলার্দু রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম -২০

    ইমামুল আ’ইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, ক্বাইয়্যুমুয্ যামান, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, সুলতানুল ওয়ায়েজীন, গাউসুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, আফযালুল আউলিয়া, সুলতানুন্ নাছির, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ্, আওলার্দু রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম – ২১

ইমামুল আ’ইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, ক্বাইয়্যুমুয্ যামান, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, সুলতানুল ওয়ায়েজীন, গাউসুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, আফযালুল আউলিয়া, সুলতানুন্ নাছির, গরীবে নেওয়াজ,  হাবীবুল্লাহ্, আওলার্দু রসূল, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর  ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফের আলোকে- পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য, ফাযায়িল-ফযীলত ও হুকুম-আহ্কাম – ২২