ইমামুল কাওনাইন, সাইয়্যিদুস সাক্বালাইন, হুযূরে আক্বদাস হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হস্ত মুবারকের বরকতময় মু’জিযা

সংখ্যা: ১০৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

-মাওলানা সরকার মুহম্মদ আবূ হানিফ জালালী, (এম, এম, বি,এ)

انا اعطينك الكوثر.

অর্থঃ- “নিশ্চয়ই আপনাকে কাওছার (সর্ববিধ কল্যাণ) দান করা হয়েছে।” (সূরা কাউছার/১)      মূলতঃ আখিরী রসূল, সাইয়্যিদূল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মহান আল্লাহ্ পাক সর্ববিধ কল্যাণ দান করেছেন। কাজেই তিনি ছিলেন সর্বপ্রকার রহমত, বরকত, ছাকীনার জামে। তাঁর মুবারক ছোহবতে এবং স্পর্শে সবকিছু বরকত ও নিয়ামত যুক্ত হয়ে যেত। এ ধরণের অসংখ্য ঘটনা হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে তা হতে কতিপয় উল্লেখ করা হল।

নিরাময়ের উৎসঃ         

হযরত হানজালা বিন হুযাইফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু শৈশবে যখন তাঁর পিতার সঙ্গে রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দরবার শরীফে এসেছিলেন তখন রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর মস্তকে হাত রেখে দোয়া করেছিলেন। ঐ দোয়ার তাছির এরূপ হলো যে, কারো মুখে বা বকরীর দুগ্ধ স্তনে  “ওয়ারাম” বা স্ফীত রোগ দেখা দিলে হযরত হানজালা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর মস্তকের সাথে তা স্পর্শ করলে সম্পূর্ণ নিরাময় হয়ে যেত। (বাইহাক্বী)

উজ্জল ললাটঃ       হযরত যায়েদ বিন আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হোনাইনের যুদ্ধে আহত হলে নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর মুখ মন্ডল হতে রক্ত পরিস্কার করে দিয়ে তাঁর জন্য দোয়া করলেন। ঐ সময় রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মুবারক হাতের তালু দ্বারা তাঁর ললাট স্পর্শ করেছিলেন। রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্র মুবারক হাতের স্পর্শের বরকতে হযরত যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর ললাটের ঐ স্থানটি সর্বদা জ্বলজ্বল করত। (তাবারাণী)

আজীবন কালো চুল-দাঁড়িঃ      হযরত আমর বিন ছায়লাবা জুহানী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমি দুহ্যালাহ্ নামক স্থানে নবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ইসলাম গ্রহণ করলাম। পেয়ারা নবী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে দেখে আদর করেন এবং তাঁর পবিত্র হাত মুবারক আমার মুখের উপর মুছে দিলেন।

হযরত আমর বিন ছায়লাবা একশত বছর বয়সে ইন্তিকাল করেন। তাঁর মুখের দাঁড়ি ও মাথার  যে সকল চুল মুবারক রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্র হাত মুবারকের স্পর্শ পেয়েছিলো তা মৃত্যু পর্যন্ত সাদা হয়নি।  (বাইহাক্বী)

চুল ও শরীরের বরকতঃ            হযরত আবু কাতাদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর জন্য হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এভাবে দোয়া করতেন, “আয় আল্লাহ্ পাক! আবু কাতাদার চুল ও শরীরে বরকত দান করুন।” রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দোয়ার বরকতে মৃত্যু পর্যন্ত তাঁর একটি চুলও সাদা হয়নি। এবং চেহারার লাবণ্য ছিলো পনের বছরের যুবকের মত। তিনি সত্তর বছর বয়সে ইন্তিকাল করেন।

দুর্বল সবলে পরিণতঃ     হযরত জারীর বিন আব্দুল্লাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে জুল খাচ্ছার দেব মন্দিরটি ধ্বংস করে দিতে নির্দেশ দিলেন। কিন্তু তখন আমার স্বাস্থ্য এতটা দুর্বল ছিলো যে, আমি ভালভাবে ঘোড়ায় ছওয়ার হতে পারতাম না এবং অধিকাংশ সময় ঘোড়া হতে পড়ে যেতাম।

রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খিদমতে আমার স্বাস্থ্যগত অপারগতার কথা জানালে তিনি আমার বুকের উপর তাঁর পবিত্র হাত মুবারক স্থাপন করে আমার জন্য দোয়া করলেন, “আয় আল্লাহ্ পাক! তাঁকে হিদায়েতপ্রাপ্ত এবং হিদায়েতকারী বানিয়ে দিন।”

হযরত জারীর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, অতঃপর আমি দেড় শত ঘোড়া ছওয়ার নিয়ে জুল খাচ্ছার দেব মন্দির জ্বালিয়ে দেই এবং জীবনে আর কখনো ঘোড়া হতে পড়ে যাইনি। (বুখারী ও মুসলিম)

সাইয়্যিদুল জিননি ওয়াল ইনস, ইমামুল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন, খতীবুল আম্বিয়া হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হায়াতুন নবী

ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, খাতামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মযদা-মতবা, শান-মান সকল নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণের চেয়ে অনেক উর্দ্ধে

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ছাহিবু মাক্বামি মাহমূদ, শাফউল উমাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম উনার শ্রেষ্ঠত্ব

সাইয়্যিদুল কাওনাইন, শাফিউল মুজনিবীন, ইমামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলে বাইতগণের ফযীলত

সাইয়্যিদুল বাররি ওয়াল বাহর, ইমামুস সাক্বালাইন, তাজেদারে মদীনা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আওলাদগণের ফযীলত