পূর্ব প্রকাশিতের পর
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ মাহফিল মুবারকে ইরশাদ মুবারক করেন, “কালকে একটা ঘটনা মুবারক ঘটেছেন।” বুঝতে পারলে? বললে ঈমান থাকবে তোমাদের? বলো দেখি। হ্যাঁ? “ ঈমান থাকবে?”
(আরজি: অবশ্যই থাকবে)
সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা কা’বা সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করতে থাকেন, “আমি দেখতেছি এটা ১২ তারিখে, অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই মুহররমুল হারাম শরীফে। একটা দোতলা বাড়ী। আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম যিনি, তিনি আছেন ওখানে। উনি কি একটা কাজ করতেছেন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। আমি গেলাম। উনার বাম পাশে একটা বাচ্চা মেয়ে। মেয়েটিকে আমি দেখিনি। আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনাকে জিজ্ঞসা করলাম, কে এইটা? উনি বললেন, খাদিমা। আচ্ছা, ঠিক আছে। উনার ডান দিকে ফক্বীহুল উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনি। উনার বয়স সাত-আট বছর।”
“মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মা আলাইহাস সালাম উনি আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন যে, “উনি হচ্ছেন ফক্বীহুল উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। আমি খুব খুশি হলাম। ভালো। আমি বললাম, ভালো হয়েছে। আমি ফক্বীহুল উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে বললাম, “আপনি তো আপনার হাত মুবারক দ্বারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্পর্শ করেছেন, তাই আপনার হাত মুবারক বুছা দেয়া দরকার। আপনার হাতটা দেখি।” উনি বললেন না, হাত মুবারক দিলেন না বুছা দিতে। তারপর আমি বললাম, “আপনি তো ইমামুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ শিখেছেন। এখান থেকে আমাকে কিছু জানান। আমি বুঝতে না বুঝতেই উনি এসে আমার ক্বদমবুছি মুবারক করলেন।” (সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)
“উনার কাছে একটা কি জিনিস ছিল। উনি ওটা রেখে এসে এই কাজ করেছেন। আমি বাধা দিয়েছিলাম। উনি বললেন না, আমার করতে হবে।” উনি জোর করেই করলেন। পরে বসলাম। আলাপ করতেছিলাম। আমি বললাম, “আপনি তো ইমামুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার কাছ থেকে পুরো তাফসীর পড়েছেন। আমাকে কিছু তাফসীর বলেন।” উনি বললেন, “আচ্ছা বলবো।” (চলবে)।