হজ্ব সমাপন এবং মসজিদে নববীতে বিশেষ নিয়ামত লাভ ওলীয়ে মাদারজাদ, আওলাদুর রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি অতঃপর আফযালুন্ নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত আবু বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং ফারুকে আ’যম হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে কদমবুছি করলেন। উভয়ে পর্যায়ক্রমে তাঁকে তাঁদের বুক মুবারকে জড়িয়ে নিলেন। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সঙ্গে তাঁর আনুষ্ঠানিক মহা-মিলনের পরম মুহূর্তে আফযালুন্ নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত আবু বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং ফারুকে আ’যম হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাঁকে মুবারকবাদ জানালেন এবং স্বীকৃতিদান করলেন। একথা জানা যে, একজন সাধারণ মু’মিনেরও প্রত্যাশা বহুতর। সে চায় দুনিয়া বিরাগী মন ও মনন, অনাবিল অন্তঃকরণ (ইখলাছ), বিশুদ্ধ আমল (আমলে ছলেহ)-এর নিমগ্নতা। সে চায় কথা, কাজ, আচরণ ও বিচরণের নির্মলতা, চায় কামিয়াবী। আরো চায় হাবীবে আ’যম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং আল্লাহ্ পাক-এর সন্তুষ্টি। মাহবুব ওলীআল্লাহ্গণের মূল লক্ষ্য কেবলই আল্লাহ্ পাক-এর পরিপূর্ণ রেযামন্দী হাছিলে অনুভব, অনুসন্ধান ও আমলে নিরন্তর নিমগ্ন থাকা। এ বিষয়গুলোর কাম্য পর্যায়ের যোগ্যতা অর্জনের জন্য যা’ অপরিহার্য বলে তাঁরা জানেন, তা হলো মাশুকে মাওলা, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দায়েমীভাবে (অনুক্ষণ) প্রাণাধিক মুহব্বত করা, তাঁকে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ও পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে অনুসরণ ও অনুকরণ করা। কারণ, আল্লাহ্ পাক-এর সন্তুষ্টি হাছিলের জন্য তিনি অবধারিত মাধ্যম। রহমতে আলম, হাবীবুল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন, রফিকু ছহিবিল কুদরত, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আশিক উম্মতের মুহব্বতের মাত্রা উপলব্ধির ক্ষেত্রে আফযালুল আউলিয়া, ইমামে রব্বানী, মুজাদ্দিদে আলফে ছানী, হযরত শায়খ আহমদ ফারুকী সিরহিন্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মনন এবং অবনত মানসিকতা এখানে প্রনিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে আল্লাহ্ পাক-এর পরিচিতি দান করেছেন। খালিক্ব ও মাখলুকের মধ্যে পার্থক্যের পরিপূর্ণ ও বোধগম্য ব্যাখ্যা তিনিই দান করেছেন। আল্লাহ্ পাক সম্পর্কে মানুষের নিবিড়তম চিন্তা, মনোযোগ, অনুসন্ধান, অনুভব ও আনুগত্যের প্রবেশদ্বার তিনিই উম্মোচন করে দিয়েছেন। সর্বোপরি তিনি বলেছেন যে, আল্লাহ্ পাক, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আল্লাহ্ পাক বলেই ঐ একই আল্লাহ্ পাক তাঁরও (হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি) আল্লাহ্ পাক। অর্থাৎ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি মুহব্বত ও আনুগত্যের কারণেই তিনি আল্লাহ্ পাক-এর প্রতি দায়েমীভাবে অনুগত।
ছহিবুল ওহী ওয়াল কুরআন, সাইয়্যিদুল খলায়িক্ব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মুহব্বত এবং বিশ্বাস না করার কারণেই কাফির সম্প্রদায় আল্লাহ্ পাক-এর প্রতি ঈমান আনতে পারেনি। বুঝতে কষ্ট হবার কথা নয় যে, ঈমানদার ব্যক্তির আমলের অর্থই হলো রসূলে আকরাম, হাবীবে আ’যম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অনুসরণ ও অনুকরণ করা। অর্থাৎ পরিপূর্ণরূপে সুন্নতের পাবন্দ হওয়া। অনুসরণ ও অনুকরণের মাত্রা ও যথার্থতা অনুযায়ী আল্লাহ্ পাক আমলকারী মু’মিনের মান, মর্যাদা ও কামিয়াবীর সোপান নির্ধারণ করে থাকেন। হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর অনুভব ও আনুগত্যের মতো একই অনুভব, উপলদ্ধি ও আনুগত্যে আশিকে নবী, আওলার্দু রসূল, হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলেছুর রহমান রহমতুল্লাহি আলাইহি, খাযীনার্তু রহমত, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি সমর্পিত। তাই আজ মহা মিলনের প্রত্যাশিত মুহূর্তে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির অভিষেকে তিনি পরিপূর্ণরূপে কামিয়াবীর সনদ লাভ করলেন। ছহিবু সুলতানিন্ নাছীর, সিরাজুম্ মুনীরা, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং আল্লাহ্ পাক ছাড়া লব্ধ এ নিয়ামতের পরিমাপ ও পরিধি নির্ধারণ ও উপলদ্ধি করার সাধ্য কার?