আহা লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন পুরোটা ফিলিস্তীন,
ইসরাঈলী আঘাতে হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত চেয়ে দেখে মু’মিনীন।
মূলকে আরব রইছে নীরব যদিও স্বরব শান্তিহীন,
সবে নরাদশারই পিঞ্জরে রহে বন্দি যে সমীচিন।
পুরো তিনশ কোটি মুসলীমি দিলে, বলতেছি দিয়ে খেঁাচা,
অলস গাফিল ভীরু লোভ ছেড়ে এবার নিজেকে বাঁচা।
শুন সুলত্বানুন নাছীরি মজবুতি নছীহত,
নির্দেশে উনার ঐক্যে আবার টেনে রাখ ইজ্জত।
ওই আল্লাহ পাক উনার হাবীবী নকশায় হওরে নকশাদার,
তবেই হারানো গৌরব আসে, বিকল্প নাহি আর।
সুন্নাহ রঙ্গে হওরে রঙ্গিন ছেড়ে দেও সংশয়,
মকবুল হয়েই আনবে বিজয়, ধরণিতে নিশ্চয়।
শুনো, মুসলিম আমি দ্বীনদার আমি, আমি ইনসাফগার,
আমি মহাবীর, অনন্ত আমীর গ্রহি খিলাফতি অধিকার।
শুনো, আমার ঈমান জীবন্ত কামান, জাহানে বিরাজমান,
আমার ছোয়ায় বাতিল পালায়, মদদেই সুবহান।
আল বালাগাল মাহে শাওওয়াল জাহানে চমকদার,
ফেরদৌসী ওই ফায়দা জৌলুসে, সাজছেরে বেশুমার।
হুর গিলমান, জিন ইনসান, গাহিছে তা’রীফি আরিফ জোশ,
ওই নেককার বহু চমৎকার রুপে, জগত রাখিছে খোশ।
সেই উনিশে শাওওয়াল বিশাল মাপেই সজ্জিত মণিহারে,
সেই ইতিহাস রহেন উচ্ছাস, রাখেন স্মরণীয় দস্তুরে।
দেখি, যুগান্তরের ফল্গুধারায় প্রবাহিত রহে হিল্লোলে,
ওই আনওয়ার হয়ে সাওয়ার, ছাপিয়ে রাখছে সবকুলে।
মহামতি সরওয়ার ইমামুল উমাম তাবাসসুম নূরী জৌলুসে,
আল মুত্বাহহার শাহী উপহার আহলে বাইতে তালবিসে।
সজ্জিতা নূর আম্মা হুযূর উম্মাহাতুল মু’মিনীন নকশাদার,
উজ্বালা জগত রাখেন তাবত নিসবাতুল আযীমেই উাজার।
আজ কায়িনাত শানে শাহাদাত, প্রীতি রশ্নিতে শোভে,
ফের ফেরেশতা সমাহার কাতারে কাতার কাছীদা মাহরোবে।
মুরীদ মু’তাকিদ, আশিক আশিকা, ঈদি আয়োজনে ভীড়,
হন কামালে কামাল সবে বেমিছাল, রহে রহে মুঞ্জির।
আরো সুসংবাদ, নূরে আবাদ, জগতে প্রকাশ শামযিতাইন,
ওই উনিশে শাওওয়ালই দুলালে আলাল, উদিত সুন্নী আইন।
ত্বলায়াল ঐ উনিশে শাওওয়াল নিসবাতুল আযীমে শাহযাদা,
রহেন যুক্ত মুজীরাতুল উমাম পোক্তে কারাম আবাদুল আবাদা।
সেই উনিশে শাওওয়াল হন হাজির যুগ যুগ আলী শানে,
মোরা, করছি পালন খুবই যতন, কায়িনাতবাসী কায়মনে।
ওই শাওওয়ালী সূর্য আলোকিত করে কায়িনাতি শির তাজ,
রয়, ওই দেখা যায় অঝোর ধারায় রহমি নূর দারাজ।
আজ আহলে বাইতি খুশবো লয়েই সজাগ মাখলূক্বাত,
আজ তামাম আওয়াম কারামে কারাম নিচ্ছেই সওগাত।
আজ নব নব সাজে সজ্জিত ওই ইসলামী শওকত,
আজ দূরে রয় সরে ইবলীসেরই যত আছে হুজ্জত।
মুসলিম আমি দ্বীনদার আমি, আমি ইনসাফগার,
অনন্ত আমীর, আমি মহাবীর গ্রহিযে শাসনভার।
জুড়ে কায়িনাত মোর অভিজাত আমি তো মুসলমান,
জীবন্ত কামাল আমার ঈমান সাজাই পুরো জাহান।
ওই এলো, ওই এলো যিলক্বদি শাহী চাঁদ,
এ মাহের কোলে রহমত দোলে অনন্ত অভিজাত।
বিশেষ করেই বারই শরীফে ত্রীখাজিনার সম্মিলন,
রাখেন জগত জ্যাতিতে তাবত, ঈদের জোশেই আলিঙ্গন।
মুজাদ্দিদে যামান, কইউমুয যামান আউলিয়ার সরদার,
বিরল সুসিল বিনয়ী নিখিল, স্মরি তাওয়ারিখে আনওয়ার।
ওই অনন্ত উনার জীবন রশ্মি, বেষ্টিত কায়িনাত,
উনাতে উজার আশিকীর ভীর, সদা হেরি ছদ্বাকাত।
তিনি শাহী বীর পীরানে পীর, ফারূক্বী নসবে নেওয়াজবান,
তিনি ইলাহী উনার লালাহি বুরুজ রসূলী লাস্যদান।
তিনি সিলসিলায়ে ফুরফুরাবী, খান্দানে মধ্যমণি,
তিনি আহলে বাইতি আসমানী শামস, নিসবতে নূরে ধ্বণি।
তিনি খলীফায়ে আসসাফফাহী পীর, সুন্নী জাহাঙ্গীর,
তিনি ইমামুল উমামী নূরী শায়েখ, দায়েমী দস্তগীর।
তিনি নায়িবে রসূল হয়ে দুল দুল, খ্যাতিময় বেমিছাল,
তিনি কুরবতে যিলক্বদেই বারই শরীফে লন বিছাল।
ওই ঈদুল আদ্বহার আতিয়ারে জাগে কুরবানী বরকত,
কেবল ইলাহী ওয়াস্তে কায়িম থাকতে এ মাহের নিসবত।
ফরয, ওয়াজিব কুরবানীসহ মুবারক আক্বীক্বায় গুরুত্ব,
মুসলিম মাঝে রাখেন জারি বিপদ রাখেন দূরত্ব।
মিলে লিল্লাহিয়াত, আবেহায়াত, কুরবানী খাঞ্চায়,
দিলেন সুলত্বানুন নাছীর হাবীবী নাজির ক্বওমেরে সমঝায়।
ওই চৌদ্দশত ছিচল্লিশ হিজরীর বারাকাত, ফায়িজান,
তিনিই নায়িবে কাসিম হয়েই, খোদ-ব-খোদ বিলান।
-বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ‘ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ১১
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৮৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ১৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১৫