কাদিয়ানী রদ! (১)
(পঞ্চম ভাগ)
(কুতুবুল ইরশাদ, মুবাহিছে আযম, বাহরুল উলূম, ফখরুল ফুক্বাহা, রইছুল মুহাদ্দিসীন, তাজুল মুফাসসিরীন, হাফিজুল হাদীস, মুফতীয়ুল আযম, পীরে কামিল, মুর্শিদে মুকাম্মিল হযরতুল আল্লামা মাওলানা শাহ্ সূফী শায়খ মুহম্মদ রুহুল আমিন রহমতুল্লাহি আলাইহি কর্তৃক প্রণীত “কাদিয়ানী রদ” কিতাবখানা (৬ষ্ঠ খন্ডে সমাপ্ত) আমরা মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করছি। যাতে কাদিয়ানীদের সম্পর্কে সঠিক ধারণাসহ সমস্ত বাতিল ফিরকা থেকে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের অনুসারীদের ঈমান আক্বীদার হিফাযত হয়। আল্লাহ্ পাক আমাদের প্রচেষ্টার কামিয়াবী দান করুন (আমিন)। এক্ষেত্রে তাঁর কিতাব থেকে হুবহু উদ্ধৃত করা হলো, তবে তখনকার ভাষার সাথে বর্তমানে প্রচলিত ভাষার কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্যণীয়)।
(ধারাবাহিক)
(১২) মে’রাজ সম্বন্ধে মির্জ্জা ছাহেবের ভিন্ন ভিন্ন মত;- হামামাতোল-বোশরা;-
فقد عرج رسول الله صلى الله عليه وسلم بجسمه الى السماء وهو يقظان لاشك فيه ولا ريب.
“নিশ্চয় রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চৈতন্যাবস্থায় সশরীরে আছমানের দিকে মে’রাজে গমণ করিয়াছিলেন, ইহাতে কোন প্রকার সন্দেহ নাই।” এজালায়-আওহামের ৯৪ পৃষ্ঠার হাসিয়া;-
سیر معراج اس جسم کثیف کے ساتھہ نھیں تھا بلکہ وہ نھایت اعلی درجہ کا کشف تھا.
“মেরাজের ভ্রমণ এই অনুজ্জল শরীরের সহিত ছিল না, বরং ইহা অতি উচ্চ ধরণের কাশফ ছিল।মির্জ্জা ছাহেব সুবিধাবাদী ছিলেন, যখন তিনি মক্কা শরিফে পত্র লিখিয়াছিলেন, তখন তথাকার লোকদের মন আকর্ষণ করার জন্য প্রথমোক্ত মত প্রকাশ করিয়াছিলেন। আর যখন দেখিলেন যে, হযরত নবি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মে’রাজে গমণ করিতে সক্ষম হইলে, হযরত ইছা আলাইহিস্ সাল্লাম কেন আছমানে যাইতে পারিবেন না, ইহাতে মির্জ্জা ছাহেবের মছিহিএত বাতীল হইয়া যায়, তখন বলিয়াছিলেন, হজরতের মে’রাজ কাশ্ফ ছিল। (১৩) এমাম মাহদী সম্বন্ধে মির্জ্জা ছাহেবের ভিন্ন ভিন্ন মত।
এজালায় আওহাম, ২৬৬ পৃষ্ঠা;-
لیکن محقیقین کے نزدیک مھدی کا انا کوئی یقینی امر نھیں ھے.
“কিন্তু সূক্ষ্মতত্ত্ববিদ বিদ্বানগণের মতে মাহদীর আগমণ কোন নিশ্চিত বিষয় নহে।” হকিকাতোল-মাহদী, ২০ পৃষ্ঠা;-
ان الاحاديث التى جائت فى المهدى الغازى المحارب من نسل الفاطمة الزهراء كلها ضعيفة مجروحة.
“নিশ্চয় যোদ্ধা, গাজী ফাতিমি বংশধর মাহদীর সম্বন্ধে যে হাদিছগুলি আসিয়াছে, তৎসমূদয় জইফ দোষাম্বিত।” যে সময় হাদিছ উল্লিখিত লক্ষণগুলি মির্জ্জা ছাহেবের মধ্যে না পাওয়ার প্রশ্ন হইতেছিল, সেই সময় তিনি উক্ত ছহিহ হাদিছ গুলি জইফ বলিয়া ঘোষণা করিয়াছিলেন। য (অসমাপ্ত)