খোলা চিঠির খোলা জবাব- (১) : আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে – রেযাখানী গোষ্ঠী গেল সকলের পদতলে

সংখ্যা: ১০৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

কথায় আছে, অল্প বিদ্যা হয় হলরে ভয়ংকর

রেজভী চেলা, ফজলু লুলা, গর্তে করিল ভর।

কহে দেখিতেছি আহা, বাইয়্যিনাত করিছে বজ্রপাত,

তারা মারিতেছে, এই দুনিয়ার যত বজ্জাত।

গুরু খেক্শিয়ালের, আমি করিতেছি অনুসরণ,

রঙ্গীন করেছি শিয়ালি রঙ্গে, আমারি ফজলু জীবন।

হয়ে গেল মোর অনায়াশে বদ অভ্যাস,

তাই হয়ে যাই ঐ অভ্যাসে পুরা সন্ন্যাস।

কিন্তু হায়রে হায়, এখন যে দৌঁড় খাই,

আছাড় খাইয়া পড়িয়া কোমরে প্রচন্ড ব্যথা পাই।

বুঝিনাই ঐ খোদার বাহিনী জমিনে এখনও আছে,

দাপটে তাদের আমি ফজলু সহসা হইগো মিছে।

জমিনে খোদার, প্রগতির তীরে, আসিল মাদানী বীর, স্থির ঐ ছাহেবে সুলতানুন্ নাছীর, রাজারবাগের পীর।

তাই ধরার বাতিল আমরা সবে, হয়েছি হই কাতর,

ফের তাঁহার ভয়ে হিমাগারেও বনেছি বনি পাথর।

আরে! কই বাবা হে, মহা গুরু ইবলিশ?

হায়রে মোরা হই বেকারার, দাও গো এবার দিশ্।

মোরা রেজভী ফজলু গং, তব দ্বারে ভিখ্ মাগি,

দেখছি আল্লাহ্র বন্ধু ঐ আসছে রাজারবাগী।

গুরু মহাদেব কহিছি কই, তোমারি কদম ধরি,

তোমারি দেওয়া ভাওতাবাজী মাথায় লইয়া ঘূরি।

যাহা বল বাবা, তাহাই মানিব, ইজ্জত যায় চলে,

তোমার আদেশ রাখিব জিয়ায়ে হৃদ পুরীতের তলে।

গম্ভীর স্বরে মরদুদ কহে, নরাধম নাদানেরা,

ধিক্ বেহায়া, লোভী-বেঈমান বড় তোরা।

হল ধৈর্য হারা, তাই নিভে যাস্ বারে বারে,

“গুরুত্বহীন, মুসলিম ত্রুটি ধরিস শক্ত করে।”

ওদের রুখতে বড়ই কষ্ট বুঝলিরে ফজলু?

রোগাক্রান্ত হয়ে গেছে ইবলিসের সব ঘিলু।

হয়োনা গমগীন, হে ফজলু গং, রেজভীর অভিসার,

তৈরী কর সন্ত্রাস, জুটাও যত আছে চাটুকার।

গুরু খবিছের দীক্ষা নিয়ে ফজলু গংরা এবার,

বাইয়্যিনাতের পাতা উল্টিয়ে পড়িতেছে বার বার।

তন্নতন্ন করিয়া খুঁজিছে ভুল পেতে মওকা,

রাজারবাগীর ভয়েতে তাদের কলিজার পানি শুকা।

পেয়েগেছি বলে চিৎকার মারে ফজলু বেহায়া ফের,

খবিছি মদদে পেলাম গো হায় ভুলটি বাইয়্যিনাতের।

 মিলিছে এ্যাটম, বোমা বানাবো, উপাদান শব্দটা ‘অনুরূপ’

এবার ‘অনুরূপ’ নামক শব্দ দিয়ে ধরিব তাদেরে খুব।

শয়তানে কহে, ‘অনুরূপ’ দিয়ে হবে নারে,

ব্যাকরণে তারা পটু, ফুঁ দিয়ে উড়াবে তোরে।

ফজলু কহে, মোরা ইনছান, তব থেকে বুঝি বেশি,

‘অনুরূপ’ দিয়ে রাজারবাগীরে ধরিব করিয়া ঠাসি।

রেজভী মাসিক তরজুমানে, ফজলু গাধায় লিখে,

নবীর ‘অনুরূপ’ সম্মান আহা, রাজারবাগীই চাহে।

বক ধার্মীক রেজভী আশিক, ‘অনুরূপে’ সাওয়ারীয়া,

ইনিয়ে বিনিয়ে লিখিয়াছে তারা, তিন পাতা ভরিয়া।

মুজাদ্দিদুয্ যামান রাজারবাগী, ক্বাবিয়াতে বলীয়ান,

সদা মাদানী প্রেমে রহিছে জাগিয়া, সম্মানিত মেহ্মান।

যামানার তিনি সাইফুল্লাহ, সুন্নতী নূর নিয়ে,

বাতিল ঘায়েলে তাই আসেন তিনি ধেয়ে।

মাদানী মিনারে ঝান্ডা উড়ায়ে, গর্জে উঠিল বাইয়্যিনাত,

ফজলুর ঝুটিরে খাম্ছি মারিয়া, দেখায়ে দিলরে আব্দিয়াত।

হুংকার দিয়ে কয় বেয়াদব, হাদীসের পাতা খোল?

মোরা মিথ্যাবাদীর ওষ্ঠে গাঁথি, অগ্নি শলার হুঁল্।

‘আশ্শায়খু লি ক্বাওমিহী, কান্নাবিয়্যু ফি উম্মাতিহী,”

পারলে এর অর্থ, হে! লোগাত খুলিয়া দেও কহি?

“উম্মত মাঝে নবী যেমন, শায়খ তেমন মুরীদ তরে,”

 সেই দাইলামী শরীফের হাদীস খানা, ফজলু নাহিক পড়ে।

‘অনুরূপ’ মাতা-কন্যারে ‘মা’ বলে ডাকা, অন্যায় কোথা চল্?

ঐ দু’জনায় কি তোর বাবার বধু?ব্যাকরণ খুলে বল্?

মায়ের কাছে খালার কাহিনী? মুনাফিকী ভন্ ভন্,

হক্বের আওয়াজে তোদের কর্ণে বাজিতেছে ঢন্ ঢন্।

বিশ্বাস করি আল্লাহ্র পরে আখিরী রসূল মুস্তফা,

ওলীর মাকাম নবীর কদমে শুনরে জাহিল সাফ্-সাফা।

 ক্রমান্বয়ে আম্বিয়াকুল, অতঃপর খোলাফায় রাশীদীন,

এদের পরেই রহিছে আবার, লক্ষ ছাহাবা আজমাঈন।

উহার পরেই আউলিয়াগণ, বুঝ বেয়াদব ফজলু গং,

তরজুমানের পাঠক দেখুক, রেজভী দলের ভেল্কি ভং।

বিশ্বকবি- মুহম্মদ মুফাজ্জল হুসাইন, কারপাশা, মুন্সিগঞ্জ।

খোলা চিঠির খোলা জবাব- (২) আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, রেযাখানী গোষ্ঠী গেল সকলের পদতলে

খোলা চিঠির খোলা জবাব- (3) আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, রেযাখানী গোষ্ঠী গেল সকলের পদতলে

খোলা চিঠির খোলা জবাব- (১) আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, রেযাখানী গোষ্ঠী গেল সকলের পদতলে

খোলা চিঠির খোলা জবাব- (১) আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, রেযাখানী গোষ্ঠী গেল সকলের পদতলে

খোলা চিঠির খোলা জবাব- (৬) আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, রেযাখানী গোষ্ঠী গেল সকলের পদতলে