ছহিবাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবায়ে নেয়ামত, যিক্রুল্লাহ, আল ওয়াসীলাতু ইলাল্লাহ, আল ওয়াসীলাতু ইলা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত শরীফ (১৯)

সংখ্যা: ৩০২তম সংখ্যা | বিভাগ:

মু’মিন আর ফাসিক সমান নয়

মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা সাজদাহ শরীফের ১৮ থেকে ২২ নং আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন,

أَفَمَنْ كَانَ مُؤْمِنًا كَمَنْ كَانَ فَاسِقًا لَّا يَسْتَـوُوْنَ. أَمَّا الَّذِيْنَ اٰمَنُـوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ فَـلَهُمْ جَنَّاتُ الْمَأْوَى نُـزُلًا بِمَا كَانُـوْا يَـعْمَلُوْنَ. وَأَمَّا الَّذِيْنَ فَسَقُوْا فَمَأْوَاهُمُ النَّارُ كُلَّمَا أَرَادُوا أَنْ يَخْرُجُوا مِنْـهَا أُعِيْدُوْا فِيْـهَا وَقِيْلَ لَهُمْ ذُوقُوا عَذَابَ النَّارِ الَّذِيْ كُنْـتُمْ بِهٖ تُكَذِّبُونَ.وَلَنُذِيْـقَنَّـهُمْ مِّنَ الْعَذَابِ الْأَدْنَى دُوْنَ الْعَذَابِ الْأَكْبَرِ لَعَلَّهُمْ يَـرْجِعُوْنَ. وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ ذُكِرَ بِاٰيَاتِ رَبِّهٖ ثُمَّ أَعْرَضَ عَنْـهَا : إِنَّا مِنَ الْمُجْرِمِيْنَ مُنْـتَقِمُوْنَ

একজন মু’মিন ব্যক্তি কি একজন ফাসিকের মত হবে? তারা সমান হবে না। যারা ঈমানদার এবং আমলে ছলেহ করেন উনাদেরকে উনাদের আমলের কারণে জান্নাতুল মাওয়াতে মেহমানদারী করানো হবে। আর যারা ফাসিক তাদের আশ্রয়স্থল হচ্ছে জাহান্নাম। যখনই তারা সেখান (জাহান্নাম) থেকে বের হতে ইচ্ছা করবে তাদেরকে সেখানেই (জাহান্নামে) পাঠিয়ে দেওয়া হবে। অর্থাৎ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তাদেরকে বলা হবে, তোমরা যে আযাবকে মিথ্যারোপ করতে তার স্বাদ গ্রহণ করো। অবশ্যই আমি তাদেরকে (দুনিয়ায়) ছোট বা হালকা শাস্তি প্রদান করবো (পরকালের) বড় বা কঠিন শাস্তি প্রদানের পূর্বে যাতে তারা (হক্ব পথে) ফিরে আসে। আর ঐ ব্যক্তিই সর্বাধিক যালিম, যার কাছে তার রব মহান আল্লাহ পাক উনার আয়াত শরীফ স্মরণ করিয়ে দেয়ার পর আয়াত শরীফ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। নিশ্চয়ই আমি এই পাপীদেরকে শাস্তি দিবই।

এখানে কোনো কাফির মুশরিকদের কথা বলা হয়নি কারণ তারা তো চির জাহান্নামী। বলা হয়েছে ঈমানদারদের মধ্যে যারা ফাসিক তাদের সম্পর্কে। ফাসিক কারা? যারা ফরয, ওয়াজিব, সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ তরক করে তারা ফাসিক, নাফরমান, অবাধ্য। যেমন পর্দা না করা, ছবি তোলা, টিভি দেখা, হারাম-নাজায়িয কাজ করা, কাফিরদের অনুসরণ এবং গোলামী করা এগুলো ফাসেকী কাজ। তাই ফাসিক আর মু’মিন এই দু’ধরণের ব্যক্তি সমান নয়।

মু’মিন ব্যক্তি ঈমান এনে আমলে ছলেহ করেন। আমলে ছলেহ হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক তিনি যে বিষয়গুলো করার আদেশ করেছেন সেগুলো করা এবং যে বিষয়গুলো নিষেধ করেছেন সেগুলো থেকে বিরত থাকা। যারা মহান আল্লাহ পাক উনার আনুগত্য করবেন উনাদেরকে নেক আমলের কারণে জান্নাতুল মাওয়ায় মেহমানদারী করা হবে। আর যারা নেক আমল করবে না, কুফরী করবে তাদেরকে পরকালে কঠিন আযাব ভোগ করতে হবে।

যেমন, করোনাকে ছোঁয়াচে বা সংক্রামক বলে বিশ্বাস করা শরীয়তে জায়িয নেই। কারণ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন,

لَا عَدْوٰى

ছোঁয়াচে বলতে কোনো রোগ নেই’।

তিনি যা ইরশাদ মুবারক করেছেন তার বিপরীত মত পোষণ করা হচ্ছে কুফরী। এরকম কুফরী আক্বীদায় বিশ্বাস করে যারা মৃত্যুবরণ করবে তারা যমীন থেকে আসমান পর্যন্ত স্বর্ণ ফিদিয়া হিসেবে দিলেও সেটা গ্রহণ করা হবে না। ঈমান বাঁচাতে হলে, নাজাত পেতে হলে এই কুফরী আক্বীদা থেকে ফিরে আসতে হবে, তওবা করতে হবে। কাফিররা কুফরী করবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ তারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বিশ্বাস করে না। পরকালে তাদের কোনো নাজাত নেই কিন্তু মুসলমানরা তো কুফরী করতে পারে না। কুফরী হলো, মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কথা অমান্য করা, অবিশ্বাস করা।

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, কোনো রোগই ছোঁয়াচে নয়। এটা বিশ্বাস করাই হলো ঈমান আর রোগ ছোঁয়াচে বিশ্বাস করে সতর্কতা অবলম্বন করা, মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, দূরত্ব বজায় রাখা- এই বিষয়গুলোই হচ্ছে কুফরী। এখন যারা কাফিরদের দেখাদেখি এই কাজগুলো করবে তারাই ফাসিক, যালিম; তাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম। সেটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি পূর্বোক্ত আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেছেন, যারা ফাসিক (ফরয, ওয়াজিব, সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ তরক্ক করে) তাদের আশ্রয়স্থল হলো জাহান্নাম। যখনই তারা জাহান্নাম থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা করবে তাদেরকে বের হতে দেয়া হবে না। তাদেরকে বলা হবে, তোমরা তো জাহান্নামের আযাবকে মিথ্যারোপ করতে এখন তার স্বাদ গ্রহণ করো, তোমাদের জন্য আযাব হালকা করা হবে না।

এখন যেমন যোগাযোগ মাধ্যমে করোনা নিয়ে অনেক লিখালিখি হচ্ছে। সেখানে মহামারীর কথা বলা হচ্ছে। ভুল ব্যাখ্যা করে মহামারীর বিষয়টি তুলে ধরা হচ্ছে। অথচ মহামারীর লক্ষণ হলো, যেখানে মহামারী হয় সেখানে ঘন্টায় হাজার হাজার লোক মারা যায়। মহামারীর স্থানে প্রবেশ করতে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিষেধ করেছেন। কেন নিষেধ করেছেন? রোগ ছোঁয়াচে বুঝানোর জন্য নয়। কারণ মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ ব্যতীত একটা পাতাও নড়ার ক্ষমতা রাখে না। জীবাণুরও ক্ষমতা নেই রোগাক্রান্ত করার, যদি মহান আল্লাহ পাক তিনি রোগাক্রান্ত না করেন।

সুতরাং কোনো ব্যক্তি যদি মহামারীর স্থানে যায় এবং তার তকদীরে যদি রোগ লিখা থাকে অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার হুকুমে রোগাক্রান্ত হয় তখন সে রোগকে ছোঁয়াচে মনে করতে পারে। তাই পবিত্র হাদীছ শরীফে মহামারী আক্রান্ত স্থানে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেটা বলেছেন সেটাই বিশ্বাস করতে হবে, মানতে হবে।

এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা হাশর শরীফ-এর ৭ নং আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন,

وَمَاۤ اٰتَاكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ وَمَا نَـهَاكُمْ عَنْهُ فَانْـتَـهُوْا : وَاتَّـقُوا اللهَ إِنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ

মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তোমাদের জন্য যা নিয়ে নিয়ে এসেছেন তা গ্রহণ করো আর যা থেকে নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাকো। আর মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা।

যেহেতু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, কোনো রোগ ছোঁয়াচে না, উনার এই নিষেধাজ্ঞা বিশ্বাস করা ফরয-ওয়াজিব, এটাই ঈমান। এ বিষয়ে মনগড়া ব্যাখ্যা করে নিজে বিভ্রান্ত হয়ে অন্যকে বিভ্রান্ত করা জায়িয হবে না।

মূলত শয়তান মানুষকে ধোঁকা দিয়ে মিথ্যা ওয়াদা দিয়ে বিভ্রান্ত করে। যেহেতু অন্তরে যিকির জারী নেই তাই মানুষ শয়তানের ধোঁকায় পড়ে বিভ্রান্ত হয়। নাউযুবিল্লাহ! (অসমাপ্ত)

ছহিবাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবায়ে নেয়ামত, যিক্রুল্লাহ, আল ওয়াসীলাতু ইলাল্লাহ, আল ওয়াসীলাতু ইলা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত শরীফ (১৮)

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত শরীফ (১৭) হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাই সত্যের মাপকাঠি

ছহিবাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবায়ে নেয়ামত, যিক্রুল্লাহ, আল ওয়াসীলাতু ইলাল্লাহ, আল ওয়াসীলাতু ইলা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত শরীফ (১৬)

ছহিবাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবায়ে নেয়ামত, যিক্রুল্লাহ, আল ওয়াসীলাতু ইলাল্লাহ, আল ওয়াসীলাতু ইলা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনাহযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত শরীফ (১৫)

ছহিবাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবায়ে নেয়ামত, যিক্রুল্লাহ, আল ওয়াসীলাতু ইলাল্লাহ, আল ওয়াসীলাতু ইলা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনাহযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নছীহত শরীফ (১৪)