ছাহিবু লাওলাক, ছাহিবু ক্বাবা কাওছাইনি আও আদনা, ছাহিবে কাওছার, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুদ্ধে মুনাফিক্বদের গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের প্রামাণ্য ইতিহাস (১)

সংখ্যা: ৩০২তম সংখ্যা | বিভাগ:

সম্মানিত তাবূক প্রান্তর এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনাদের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত একটি উপত্যকার নাম ‘আক্বাবা’। এই উপত্যকার উচ্চভূমির পথ ছিলো কঠিন ও দুর্গম, যা ‘আক্বাবা’ নামে পরিচিত। অপরদিকে, তার নিম্নভূমি ছিলো সমতল, সহজ ও সুগম- যেটি ‘বাতনুল ওয়াদী’ নামে পরিচিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত তাবূক জিহাদ মুবারক থেকে ফেরার পথে কিছু অভিশপ্ত মুনাফিক্ব উনার বিরুদ্ধে এক জঘন্য ষড়যন্ত্র করে। এক বর্ণনা মতে,

اَجْـمَعُوْا اَنْ يَّـقْتُـلُوْهُ

‘তারা সম্মলিতভাবে একমত হয় যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শহীদ করবে।’ না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ!

বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য কিতাবের বর্ণনা অনুযায়ী এই অভিশপ্ত মুনাফিক্বদের সংখ্যা ছিলো আনুমানিক ১২ জন। তারা পরস্পরকে বলে- ‘যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আক্বাবা পথ দিয়ে অতিক্রম করবেন, তখন আমরা উনাকে সেই দুর্গম ঢালু পথ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে শহীদ করবো।’ না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ!

এদের মধ্যে মুনাফিক্ব ইবনে উইয়াইনা তার সাথীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলো-

اِسْهَرُوْا هٰذِهِ اللَّـيْـلَةَ تَسْلَمُوا الدَّهْرَ كُلَّهٗ فَـوَاللهِ مَا لَـكُمْ اَمْرٌ دُوْنَ اَنْ يُّـقْتَلَ هٰذَا الرَّجُلُ

‘এই রাতটিতে পাহারায় থাকো, তাহলে সারা জীবন নিরাপদ থাকবে। মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! তোমাদের সামনে কোনো নিরাপত্তা নেই, যতক্ষণ পর্যন্ত এই মানুষটিকে (নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে) শহীদ করা না হয়।” না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ!

অপর এক অভিশপ্ত মুনাফিক্ব মুররা ইবনে রবী’ বলেছিলো-

تُـمِيْطِىْ وَالنَّعِـيْمُ لَـنَا مِنْ بَـعْدِهٖ كَائِنٌ تَـقْتُلُ الْوَاحِدَ الْمُفْرَدَ فَـيَكُوْنُ النَّاسُ عَامَّةً عَامَّةً بِقَتْلِهٖ مُطْمَئِـنِّـيْـنَ

‘এই এক ব্যক্তিকে (নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে) সরিয়ে দাও, তাহলেই উনার পর আমাদের জন্য সুখ-শান্তি নিশ্চিত হবে। যদি এই একমাত্র ব্যক্তিকে (নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে) শহীদ করা হয়, তাহলে উনাকে শহীদ করার মাধ্যমে সকল মানুষই নির্ভয়ে জীবন যাপন করতে পারবে।’ না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! তারা সুযোগের সন্ধানে থাকলো।

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছাহিবে ইলমে গ্বইব এবং হাযির-নাযির, সৃষ্টির সমস্ত কিছুই উনার জানা রয়েছেন। তারপরও স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনার মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অভিশপ্ত মুনাফিক্বদের এই ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের কথা জানিয়ে দিলেন। সুবহানাল্লাহ!

অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আক্বাবা নামক ঐ দুর্গম পথের নিকট পেঁৗছে একজন ঘোষণাকারীকে নিম্নোক্ত ঘোষণা মুবারক সবার মাঝে প্রচার করার জন্য নির্দেশ মুবারক দেন-

اِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَخَذَ لِلْعَـقَبَةِ فَلَا يَـأْخُذْهَا اَحَدٌ وَاسْلُكُـوْا بَطْنَ الْوَادِىْ فَاِنَّهٗ اَسْهَلُ لَـكُمْ وَاَوْسَعُ

‘নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আক্বাবা পথ অবলম্বন করেছেন। অতএব, আপনারা কেউ যেন ঐ পথ অবলম্বন না করেন। বরং আপনারা সবাই উপত্যকার নিচের পথ (بَطْنُ الْوَادِىْ) দিয়ে অগ্রসর হোন। কেননা, সেটি আপনাদের জন্য অধিকতর সহজ ও প্রশস্ত।’

হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা তখন সকলেই আনুগত্যের সাথে সেই নির্দেশ মুবারক পালন করে নিচের পথ দিয়ে চলতে থাকেন। কিন্তু যারা অভিশপ্ত মুনাফিক্ব ছিলো, তারা এই স্পষ্ট ও প্রকাশ্য ঘোষণা মুবারক শুনেও তাতে কর্ণপাত করলো না। বরং তারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথেই ঐ দুর্গম আক্বাবা পথে উঠতে থাকলো। নিজেদের নিকৃষ্ট চক্রান্ত বাস্তবায়নের জন্য তারা প্রত্যেকে পূর্বপ্রস্তুতি স্বরূপ মুখোশ পরিধান করে নিজেদের মুখমণ্ডল ঢেকে ফেললো, যাতে কেউ তাদের চিনে না ফেলে।

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তখন হযরত ‘আম্মার ইবনে ইয়াসির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে নির্দেশ মুবারক দিলেন- ‘আপনি আমার উটনী মুবারক উনার রশি ধরে সামনে থেকে চালিয়ে নিয়ে যান।’ আর হযরত হুযাইফা ইবনে ইয়ামান রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে নির্দেশ মুবারক দিলেন- ‘আপনি পিছন থেকে চালিয়ে নিন।’

তারপর যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আক্বাবা পথে চলছিলেন,

اِذْ سَـمِعَ حِسَّ الْقَوْمِ قَدْ غَشَوْهُ فَـنَـفَرَتْ نَاقَةُ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتّٰـى سَقَطَ بَـعْضُ مَتَاعِهٖ فَـغَضِبَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاَمَرَ حَضْرَتْ حُذَيْـفَةَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ اَنْ يَّــرُدَّهُمْ

‘তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হঠাৎ কিছু লোকের (মুনাফিক্বদের) আওয়াজ শুনতে পেলেন, যারা উনাকে ঘিরে ফেলেছ। এই পরিস্থিতিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উটনী এমনভাবে লাফিয়ে উঠেন যে, উনার কিছু ছামান-আসবাব মুবারক নিচে পড়ে যান। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অত্যন্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল আহ্মার মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জালালী শান মুবারক) প্রকাশ করেন এবং হযরত হুযায়ফা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে নির্দেশ মুবারক দেন তাদেরকে প্রতিহত করার জন্য।’

মুবারক নির্দেশে হযরত হুযাইফা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি তাদের নিকট যেয়ে উনার হাতে থাকা একটি বাঁকা লোহার লাঠি দিয়ে তাদের বাহনগুলোর মুখমণ্ডলে আঘাত করতে লাগলেন এবং বলতে লাগলেন- ‘মহান আল্লাহ পাক উনার দুশমনরা! সরে যা, সরে যা।’

فَاِذَا هُوَ بِقَوْمٍ مُلَـثِّمِـيْـنَ

‘তখন তিনি কতিপয় মুখোশধারী লোক দেখতে পেলেন।’

মুনাফিক্বগুলো নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল আহ্মার মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জালালী শান মুবারক) দেখে ও উনার উচ্চ আওয়াজ মুবারক শুনে তাড়াতাড়ি করে পিছু হটতে থাকে। তারা তৎক্ষণাৎ বুঝে যায় যে, তাদের জঘন্য ষড়যন্ত্র নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট প্রকাশিত হয়ে গেছে। তারা দ্রুত ‘আক্বাবা’ থেকে উপত্যকার নিচে নেমে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের মাঝে মিশে যায়।

এরপর হযরত হুযাইফা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে ফিরে এলেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত হুযাইফা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে জিজ্ঞাসা মুবারক করলেন- ‘আপনি কি তাদের কাউকে চিনতে পেরেছেন?’ হযরত হুযাইফা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বললেন-

يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ عَرَفْتُ رَوَاحِلَهُمْ وَكَانَ الْقَوْمُ مُتَـلَـثِّمِيْـنَ فَـلَمْ اُبْصِرْهُمْ مِنْ اَجْلِ ظُـلْمَةِ اللَّيْلِ

‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি তাদের বাহনগুলো চিনেছি। কিন্তু লোকগুলো ছিলো মুখোশধারী। আর রাতের অন্ধকার এত বেশি ছিল যে, সে কারণে আমি তাদের চেহারা দেখতে পারিনি।’

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আবার জিজ্ঞাসা মুবারক করলেন- ‘আপনি কি জানেন তারা কী করছিলো? কী উদ্দেশ্য ছিলো তাদের?’

উত্তরে তিনি বললেন- ‘মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! ইয়া রাসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি জানি না।’

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন,

فَاِنَّـهُمْ مَكَـرُوْا لِـيَسِيْـرُوْا مَعِـىْ فَاِذَا طَلَعْتُ الْعَقَبَةَ زَحَـمُوْنِــىْ فَطَرَحُوْنِــىْ مِنْـهَا

‘তারা আমার সঙ্গে চলার ভান করছিলো; অথচ তাদের উদ্দেশ্য ছিলো- যখন আমি আক্বাবায় উঠবো, তখন তারা আমাকে ধাক্কা দিয়ে সেখান থেকে নিচে ফেলে দিবে। অর্থাৎ আমাকে শহীদ করবে।’ না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ!

পরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মুনাফিক্বদেরকে ডেকে তাদের কথাবার্তা, উনাকে শহীদ করার গোপন ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্তের কথা প্রকাশ করে দিলেন। কিন্তু মুনাফিক্বগুলো মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক-এ ক্বসম করে সমস্ত কিছু অস্বীকার করে বলে- আমাদের এরকম কোনো চিন্তা-ভাবনাই ছিলো না এবং এরকম কথাও আমরা বলিনি। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি নাযিল করেন,

يَـحْلِفُوْنَ بِاللهِ مَا قَالُوْا وَلَقَدْ قَالُوْا كَلِمَةَ الْكُفْرِ وَكَفَرُوْا بَـعْدَ اِسْلَامِهِمْ وَهَـمُّوْا بِـمَا لَـمْ يَـنَالُوْا

অর্থ: “তারা মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক-এ ক্বসম করে যে, তারা কিছু বলেনি; অথচ অবশ্যই তারা কুফরী কথা বলেছে এবং সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণের পর তারা কুফরীও করেছে। আর তারা এমন কিছুর ষড়যন্ত্র করেছিলো, যা তারা অর্জন করতে পারেনি।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তাওবা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৭৪)

(তথ্যসূত্র: ইবনে ইসহাক্ব, ইবনে হিশাম, মাগাযী লিল ওয়াক্বিদী, আবুশ শায়েখ, বাইহাক্বী, মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ্, ইবনে সা’দ, দুররে মানছূর, তাফসীরে মাযহারী, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ, আস সীরাতুল হালাবিয়্যাহ্, তারীখুল খমীস, ইমতাউল আসমা’, সাইয়্যিদুল মুরসালীন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইত্যাদি)

এখান থেকে এই বিষয়টি দিবালোকের ন্যায় অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে হক্বের বিরোধিতা করা, হক্বের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করা মুনাফিক্বদের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য। কারণ, তারা নিজেরা নিশ্চিতভাবে জানে যে, পরিচয় প্রকাশ পেলে তাদের অস্তিত্ব বজায় থাকবে না; বরং তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, খড়কুটোর মতো ভেসে যাবে। হক্বের প্রবল স্রোতের কাছে তারা কখনোই স্থির থাকতে পারবে না।

তার পাশাপাশি এই বিষয়টিও প্রমাণিত হলো যে, মুখোশধারী বা পরিচয় গোপনকারী মুনাফিক্বদের দ্বারা বিরোধিতার শিকার হওয়া খাছ সুন্নত মুবারক।

অতএব, এই মুখোশধারী বা পরিচয় গোপনকারী মুনাফিক্বদের থেকে এবং তাদের সর্বপ্রকার ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত থেকে সাবধান! খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ ও হুসনে যন মুবারক নছীব করুন। আমীন!

(পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকুন)

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আবূ আহমাদ ছিদ্দীক্বাহ্।

শুধুমাত্র আরবী জানলেই কুরআন শরীফ বোঝা যায়না

شان مر شد قبله عليه السلام

আল বাইয়্যিনাহ, আল বারু, আল বাসেতু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনাকে দেখেছেন

আনউমুল্লাহ, আউয়ালু শাফিয়ীন, আওয়ালু মুসলিমীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক ‘শবে মীলাদ শরীফ উনাদের মু’জিযাসমূহ’

আল হাশির, আল হাফিয, আল হাকিমু বিমা আরাহুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সমস্ত ইলমের অধিকারী