-পীরে কামিল, হাফিয, ক্বারী, মুফতী, আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুহম্মদ শামসুদ্দোহা
(ধারাবাহিক)
আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো ইরশাদ করেন,
ويل لامتى من علماء السوء يتخذون هذا العلم تجارة يبيعونها من امراء زمانهم ربحا لانفسهم لااربح الله تجارتهم.
অর্থাৎ- “উলামায়ে ‘ছূ’ তথা অসৎ আলিমদের দ্বারা আমার উম্মতের সর্বনাশা ক্ষতি হবে, যদি তারা তাদের (মুনাফিকী) থেকে সতর্ক না থাকে। মূলতঃ যারা তাদের অর্জিত ইল্ম দ্বারা তাদের যুগের সরকার হতে অর্থ ও পদ উপার্জনের প্রচেষ্টা চালাবে তারাই উলামায়ে ‘ছূ।’ তাদের জন্য রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বদ্ দোয়া দিচ্ছেন এই বলে যে, “আয় আল্লাহ্ পাক! যারা নিজেদের ইল্ম দ্বারা দুনিয়াবী সরকারের সাথে ব্যবসা করতে চায় তাদের ব্যবসায় বরকত দিবেন না।” (কানযুল উম্মাল/২৯০৭০)
আরো ইরশাদ হয়েছে,
افة الدين ثلاثة فقيه فاجر وامام جائر و مجتهد جاهل.
অর্থাৎ- “তিন প্রকার লোকের দ্বারা দ্বীন ইসলামের সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হবে। (১) বে-আমল, ফাসিক-ফুজ্জার আলিম, (২) অত্যাচারী শাসক এবং (৩) জাহিল মুজতাহিদ বা ভণ্ডপীর।” (দাইলামী,কানযুল উম্মাল) আরো ইরশাদ হয়েছে,
اذا رأيت العالم يخالط السلطان مخالطة كثيرة فاعلم انه لص.
অর্থঃ- “যখন দেখবে যে, কোন আলিম নামধারী ব্যক্তি রাজা-বাদশাহ্ বা দুনিয়াবী সরকারের সাথে বেশী মেলামেশা করে, তখন নিশ্চয়ই জানবে যে, সে আলিম নয় সে দ্বীনের চোর।” (কানযুল উম্মাল)
আরো ইরশাদ হয়েছে,
ان ابغض الخلق على الله العالم يزور العمال.
অর্থঃ- “আল্লাহ্ তায়ালার নিকট সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি হলো সেই আলিম, যে সরকার ঘেষা হয়ে যায়, অর্থাৎ সরকারের সাথেই বেশী দেখা সাক্ষাৎ উঠা-বসা করে।”
আরো ইরশাদ হয়েছে,
ان اناسا من امتى سيتفقهون فى الدين ويقرءون القران يقولون نأتى الامراء فنصيب من دنياهم ونعتزلهم بديننا ولا يكون ذلك كما لايجتنى من القتادة الا الشوك كذلك لايجتنى من قربهم الا الخطايا.
অর্থঃ- “সেদিন বেশি দূরে নয়, যখন আমার উম্মতের মধ্যে কোনো কোনো ব্যক্তি দ্বীনের জ্ঞান লাভে তৎপর হবে ও কুরআন শরীফ শিক্ষা করবে এবং বলবে যে, আমরা আমীর-ওমরাদের কাছে যাব এবং তাদের দুনিয়ার কিছু অংশ (অর্থ-কড়ি ও পদ) গ্রহণ করে পরে আমরা আমাদের দ্বীন নিয়ে তাদের নিকট হতে সরে পড়ব। কিন্তু তা কখনো হবার নয়; যথা (কন্টকময়) কাতাদ গাছ, তা হতে যেমন কাঁটা ব্যতীত কোন ফল লাভ করা যায় না; (তেমনি সুন্দর খোলশধারী কিন্তু বিষময় সাপের মত আলিমের মুখোশ চলা ভণ্ড মাওলানার দল) কিন্তু গুণাহ্ কামাই করা ব্যতীত আর কিছুই নিয়ে ফিরতে পারবেনা।” (মিশকাত ও ইবনে মাজাহ, কানযুল উম্মাল) আরো ইরশাদ হয়েছে,
من قرأ القران وتفقه فى الدين ثم اتى صاحب سلطان طمعا لما فى يديه خاض بقدر خطاياه فى نار جهنم.
অর্থঃ- “যে ব্যক্তি কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ ও ফিক্বাহে গভীর জ্ঞান অর্জন করে সরকারের খোশামোদের জন্য ও অর্থলোভী হয়ে সরকারের দ্বারস্থ হবে, সে ঐ সরকারের পাপের পরিমাণ জাহান্নামের অগ্নির শাস্তি ভোগ করবে, যেহেতু সে ঐ সরকারের পাপের কাজে সহায়তা করেছে।” (কানযুল উম্মাল) (অসমাপ্ত)
তাফসীরুল কুরআন : উলামায়ে ‘ছূ’ বা ইল্মধারী মুনাফিকদের পরিচয় ও পরিণতি
তাফসীরুল কুরআন: উলামায়ে ‘ছূ’ বা ইল্মধারী মুনাফিকদের পরিচয় ও পরিণতি- ৪
তাফসীরুল কুরআন উলামায়ে ‘ছূ’ বা ইল্মধারী মুনাফিকদের পরিচয় ও পরিণতি- ৪
তাফসীরুল কুরআন: মানুষ ও জ্বীনের মধ্যে যারা শয়তান; তারাই নবী-রসূল ও আউলিয়া-ই-কিরামগণের শত্রু
তাফসীরুল কুরআন: মানুষ ও জ্বীনের মধ্যে যারা শয়তান; তারাই নবী-রসূল ও আউলিয়া-ই-কিরামগণের শত্রু (২)