ফিক্বহুস্ সুনান: নামাযের মাকরূহ্ সমূহের বয়ান 

সংখ্যা: ১০৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

-হযরত মাওলানা মুফতী সাইয়্যিদ শোয়াইব আহমদ

যেসব কাজ করলে গুণাহ্ হয়, ছওয়াব কমে যায়, অবশ্য নামায নষ্ট হয়না, সেসব কাজ পরিহার করা উচিত। অন্যথায় নামায মাকরূহের সাথে আদায় হবে। নামাযের মাকরূহগুলো দু’প্রকার, তাহ্রীমী ও তানযীহী।  নামাযে মাকরূহ তাহ্রীমী কাজ সংঘটিত হলে নামায দোহরিয়ে পড়া ওয়াজিব আর মাকরূহ তানযীহী কাজ সংঘটিত হলে নামায দোহরিয়ে পড়া মুস্তাহাব। নিম্নে মাকরূহ তাহরীমীসমূহ উল্লেখ করা হলো-

(ধারাবাহিক)

(২১) নামাযের মধ্যে আওয়াজ করে  “বিসমিল্লাহ্” ও “আমীন” পড়া। (২২) কোন পরিচিত লোক নামাযে আসছে তার খাতিরে ইমাম ক্বিরয়াত ও রুকু দীর্ঘ করা। (২৩) ইমামের পিছনে মুক্তাদীর ক্বিরয়াত পড়া। (২৪) বিনা ওজরে শরীর চুলকানো বা শরীরের কাপড় ইত্যাদি ঝাড়া। (২৫) কোন মানুষের চেহারার দিকে মুখ করে নামায পড়া।  (২৬) নামাযের মধ্যে ইচ্ছার্পূবক হাই তোলা। (২৭) কাপড় দ্বারা নাক ও মুখ বন্ধ করে নামায পড়া। (২৮) ক্বিরয়াত পড়তে বাধার সৃষ্টি হয় এমন দ্রব্য মুখে রেখে নামায পড়া।  (২৯) রওজা শরীফ, কা’বা শরীফ ও বাইতুল মুকাদ্দাস শরীফের ছবি যুক্ত জায়নামাযে দাঁড়িয়ে নামায পড়া। (৩০) মানুষ বা জীব-জন্তুর ছবিযুক্ত জায়নামাযে নামায পড়া। (৩১) আগুন সামনে রেখে নামায পড়া। (৩২) ক্বিরয়াত ও তাছবীহ্ সুন্নত তরীক্বা হতে দীর্ঘ পড়লে যদি মুছল্লীদের কষ্ট হয় তাহলে ইমামের জন্য এরূপ দীর্ঘ ক্বিরয়াত ও তাছবীহ্ পাঠ করা। (৩৩) মনের একাগ্রতা নষ্ট হয় এরূপ বস্তু সামনে রেখে নামায পড়া। যেমন সুন্দর রং, খেলবাজি ইত্যাদি। (৩৪) মুছল্লীর নামায ভঙ্গ হওয়ার আশংকা হয় এরূপ কথাবার্তা বলতে থাকলে তার পিছনে দাঁড়িয়ে নামায পড়া। (৩৫) বিনা ওজরে কাশি দিলে বা গলা খাকরালে। (৩৬) ইমামের পূর্বে মুক্তাদীর রুকু-সিজদা করা বা রুকু-সিজদা হতে উঠা। (৩৭) কাতারের পিছন থেকে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে কাতারে প্রবেশ করা। (৩৮) বিনা ওজরে রুকু ও সিজদার মধ্যে পিঠ সোজা না রাখা। (৩৯) বিনা ওজরে দেয়াল বা অন্য কিছুর সাথে টেক দিয়ে নামায পড়া। (৪০) রুকুর মধ্যে, সিজদার মধ্যে কিংবা তাশাহ্হুদের স্থানে ক্বিরয়াত পড়া। (৪১) নামাযের মধ্যে সিজদার স্থান হতে পাথরের টুকরা বা অনুরূপ কিছু সরানো। তবে সিজদা আদায়ের ব্যঘাত হলে মাকরূহ্ হবেনা। (৪২) কনুই-এর  উপর কোর্তার আস্তিন গুটিয়ে নামায পড়া। (৪৩) কনুই খোলা থাকে এমন গেঞ্জি বা কোর্তা পরিধান করে নামায পড়া। (৪৪) ইমাম মেহ্রাবে দাঁড়ালে নামায মাকরূহ হবে। (৪৫) সামনের কাতার ফাঁক বা খালি থাকা স্বত্বেও পিছনের কাতারে দাঁড়ানো। (৪৬) ইমাম মুক্তাদী থেকে এক হাত উচু স্থানে দাঁড়িয়ে নামায পড়ালে। তবে ইমাম এক বা একাধিক মুক্তাদীসহ উচ্চস্থানে বা নিম্নস্থানে বা মেহরাবের ভিতর দাঁড়ালে মাকরূহ্ হবেনা। (৪৭) মুক্তাদি হতে ইমাম এক হাত নিচে একা দাঁড়িয়ে নামায পড়ালে। (৪৮) পেশাব, পায়খানা, বাদে গরমের বেগ নিয়ে নামায পড়া। (৪৯) বক্ষস্থল ক্বিবলার দিকে রেখে ডানে বামে চেহারা ফিরিয়ে দৃষ্টি করা। (৫০) বিনা ওজরে ঘরে ফরয নামায আদায় করা। (৫১) কবরস্থানে, নাপাক দ্রব্যের নিকটে এবং যে জমিতে নামায পড়লে জমির মালিক অসন্তুষ্ট হয় সেখানে নামায পড়া। (অসমাপ্ত)

ফিক্বহুল হাদীস ওয়াল আছার পীর ছাহেব ও মুরীদের সম্পর্ক প্রসঙ্গে (৫৩)

ফিক্বহুস সুনান নামায ভঙ্গকারী বিষয়সমূহের বয়ান

ফিক্বহুস্ সুনান: নামায ভঙ্গকারী বিষয় সমূহের বয়ান

ফিক্বহুস্ সুনান নামাযের মাকরূহ্ সমূহের বয়ান

ফিক্বহুস্ সুনান নামাযের মাকরূহ্ সমূহের বয়ান