(৩৪তম ফতওয়া হিসেবে)
“মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিন মুবারক উনাদের সম্মানিত আমল মুবারকসমূহ উনাদের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ বেশুমার শুকরিয়া আদায় করছি।
(পূর্বপ্রকাশিতের পর)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জুমাদাল উখরা শরীফ মাসে প্রকাশিত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফসমূহ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশেষ তারীখ মুবারক= ৮খানা
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ= ১১খানা
৬) খ. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ:
সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আফদ্বলুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ্, মালিকু জান্নাহ, মালিকুল কায়িনাত, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দীদার মুবারক-এ তাশরীফ মুবারক নেয়ার তারীখ মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত আদব মুবারক
এবং মহাসম্মানিত মুহব্বত মুবারক:
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
فَـلَمَّا حُـمِلَتْ اِلـٰى قَـبْـرِهَا قَامَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقُ الْاَعْظَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ اِلـٰى قَـبْـرِهَا فَحَمِدَ اللهَ وَاَثْــنٰـى عَلَيْهِ ثُـمَّ قَالَ اِنِّـىْ اُرْسَلْتُ اِلَـى النِّسْوَةِ يَعْنِـىْ حَضْرَتْ اُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِـيْـنَ عَلَيْهِنَّ السَّلَامُ حِـيْـنَ مَرِضَتْ هٰذِهِ الْمَرْاَةُ اَنَّ مَنْ يُّـمَرِّضُهَا وَيَـقُوْمُ عَلَـيْـهَا فَاَرْسَلْنَ نَـحْنُ فَـرَاَيْتُ اَنْ قَدْ صَدَقْنَ ثُـمَّ اَرْسَلْتُ اِلَـيْهِنَّ حِـيْـنَ قُبِضَتْ مَنْ يُّـغَسِّلُهَا وَيُـحَنِّطُهَا وَيُكَـفِّـنُـهَا فَاَرْسَلْنَ نَـحْنُ فَـرَاَيْتُ اَنْ قَدْ صَدَقْنَ ثُـمَّ اَرْسَلْتُ اِلَيْهِنَّ مَنْ يُّـدْخِلُهَا قَـبْـرَهَا فَاَرْسَلْنَ مَنْ كَانَ يَـحِلُّ لَهُ الْوُلُوْجُ عَلَـيْـهَا فِـىْ حَيَاتِـهَا فَـرَاَيْتُ اَنْ قَدْ صَدَقْنَ فَاعْتَزِلُوْا اَيُّـهَا النَّاسُ فَـنَحَّاهُمْ عَنْ قَـبْـرِهَا
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনাকে যখন উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার নিকট নেয়া হলো, তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার নিকট দাঁড়িয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা মুবারক এবং ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করার পর বলেন, নিশ্চয়ই আমি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল ইহসান মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মারীদ্বী শান মুবারক) প্রকাশ করেন, তখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের নিকট সংবাদ মুবারক পাঠিয়েছিলাম যে, কে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আন্জাম মুবারক দিবেন এবং উনার পাশে অবস্থান করবেন? তখন উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জবাব মুবারক পাঠিয়েছেন যে, ‘আমরা’। সুবহানাল্লাহ! তখন আমি দেখলাম যে, অবশ্যই উনারা প্রকৃত বিষয়টিই বলেছেন। অতঃপর তিনি যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দীদার মুবারক-এ তাশরীফ মুবারক নেন, তখন আমি উনাদের নিকট সংবাদ মুবারক পাঠিয়েছিলাম যে, উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোসল মুবারক করাবেন কে, উনাকে সম্মানিত তাহ্নীত্ব মুবারক করাবেন কে এবং উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কাফন মুবারক পড়াবেন কে? তখন উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জবাব মুবারক পাঠিয়েছেন যে, ‘আমরা’। সুবহানাল্লাহ! তখন আমি দেখলাম যে, অবশ্যই উনারা প্রকৃত বিষয়টিই বলেছেন। অতঃপর আমি উনাদের নিকট সংবাদ মুবারক পাঠিয়েছি যে, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে প্রবেশ করবেন কে? তখন উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জবাব মুবারক পাঠিয়েছেন যে, ‘উনার দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করা অবস্থায় যাঁদের জন্য উনার নিকট প্রবেশ করা হালাল ছিলো, উনারা (প্রবেশ করবেন)।’ সুবহানাল্লাহ! তখন আমি দেখলাম যে, অবশ্যই উনারা প্রকৃত বিষয়টিই বলেছেন। কাজেই, হে লোক সকল! আপনারা সরে যান। অতঃপর তিনি নিজে (যারা গায়রে মাহ্রাম) উনাদেরকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার নিকট থেকে সরিয়ে দিলেন।” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে সা’দ ৮/১১০-১১১)
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ عَـبْدِ اللهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِـيْـعَةَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ رَاَيْتُ سَيِّدَنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقَ الْاَعْظَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ صَلّٰى عَلـٰى اُمِّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلسَّابِعَةِ اَطْوَلُ يَدَانِ عَلَـيْـهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ زَيْـنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ عَلَـيْـهَا السَّلَامُ) سَنَةَ عِشْرِيْنَ فِـىْ يَـوْمٍ صَائِفٍ وَرَاَيْتُ ثَـوْبًا مُدَّ عَلـٰى قَـبْـرِهَا وَسَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقُ الْاَعْظَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ جَالِسٌ عَلـٰى شَفِيْـرِ الْقَـبْـرِ مَعَهٗ حَضْرَتْ اَبُـوْ اَحْـمَدَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ ذَاهِبَ الْـبَصَرِ جَالِسٌ عَلـٰى شَفِـيْـرِ الْقَـبْـرِ وَسَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقُ الْاَعْظَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَائِمٌ عَلـٰى رِجْلَيْهِ وَالاَكَابِرُ مِنْ اَصْحَابِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قِـيَامٌ عَلـٰى اَرْجُلِهِمْ فَاَمَّ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقُ الْاَعْظَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ حَضْرَتْ مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ اللهِ بْنِ جَحْشٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ وَحَضْرَتْ اُسَامَةَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ وَحَضْرَتْ عَـبْدَ اللهِ بْنَ اَبِـىْ اَحْـمَدَ بْنِ جَحْشٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ وَحَضْرَتْ مُحَمَّدَ بْنَ طَـلْحَةَ بْنِ عُـبَـيْدِ اللهِ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ وَهُوَ ابْنُ اُخْتِهَا حَضْرَتْ حَـمْنَةَ بِنْتِ جَحْشٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَـنْـهَا فَـنَـزَلُوْا فِـىْ قَـبْـرِ اُمِّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلسَّابِعَةِ اَطْوَلُ يَدَانِ عَلَـيْـهَا السَّلَامُ
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমের ইবনে রবী‘আহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দেখেছি ২০ হিজরী শরীফ-এ গরমের দিনে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাতুল জানাযা মুবারক পড়িয়েছেন। আমি (এটাও) দেখেছি যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার উপর একখানা কাপড় মুবারক বিস্তৃত করে দেওয়া হয়েছে। আর সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার পাশে বসা আছেন। উনার সাথে হযরত আবূ আহমাদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনিও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার পাশে বসা আছেন। উনার সম্মানিত দৃষ্টি শক্তি মুবারক চলে গিয়েছিলেন অর্থাৎ তিনি দেখতে পেতেন না। সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি এবং বড় বড় হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা দাঁড়ালেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার তত্ত্বাবধানে (১) হযরত মুহম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি, (২) সাইয়্যিদুনা হযরত উসামাহ্ ইবনে যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি, (৩) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবূ আহমাদ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি এবং (৪) হযরত মুহম্মদ ইবনে ত্বলহাহ্ ইবনে উবাইদুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি- যিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিতা বোন হযরত হামনাহ্ বিনতে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনার আওলাদ (ছেলে) অর্থাৎ উনারা চারজন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে নামেন।” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে সা’দ ৮/১১৩)
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ عَـبْدِ الرَّحْـمٰنِ بْنِ اَبْـزٰى رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ شَهِدْتُ جَنَازَةَ اُمِّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلسَّابِعَةِ اَطْوَلُ يَدَانِ عَلَـيْـهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ زَيْـنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ عَلَـيْـهَا السَّلَامُ) فَـتَـقَدَّمَ عَلَـيْـهَا سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقُ الْاَعْظَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَكَــبَّــرَ اَرْبَـعًا وَكَانَ يُـحِبُّ اَنْ يَّـلِــيَـهَا فَاَرْسَلَ اِلـٰى حَضْرَتْ اُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِـيْـنَ عَلَيْهِنَّ السَّلَامُ مَنْ يُّدْخِلُهَا قَـبْـرَهَا فَـقُلْنَ مَنْ كَانَ يَـرَاهَا فِـىْ حَيَاتِـهَا فَـقَالَ صَدَقْنَ
অর্থ: “হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আবযা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাতুল জানাযা মুবারক-এ আমি উপস্থিত ছিলাম। সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি অগ্রবর্তী হয়ে চার তাকবীর দিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাতুল জানাযা মুবারক পড়ান। আর সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি উনার তত্ত্বাবধানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক উনার আন্জাম মুবারক দেয়াটা অত্যন্ত মুহব্বতের সাথে গ্রহণ করেছিলেন। সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি (জানার জন্য) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের নিকট সংবাদ পাঠান যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে প্রবেশ করবেন কে? মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা ইরশাদ মুবারক করেন, ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি দুনিয়াবী দৃষ্টিতে যমীনে থাকা অবস্থায় যাঁরা উনাকে দেখতে পারতেন (মাহ্রাম) উনারা।’ সুবহানাল্লাহ! তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, উনারা প্রকৃত বিষয়টিই বলেছেন।” (ইবনে সা’দ ৮/১১২)
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ مَرَّ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقُ الْاَعْظَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَلـٰى حَفَّارِيْنَ يَـحْفِرُوْنَ قَـبْـرَ اُمِّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلسَّابِعَةِ اَطْوَلُ يَدَانِ عَلَيْـهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ زَيْـنَبَ عَلَـيْـهَا السَّلَامُ) فِـىْ يَـوْمٍ صَائِفٍ فَـقَالَ لَوْ اَنِّــىْ ضَرَبْتُ عَلَيْهِمْ فُسْطَاطًا فَكَانَ اَوَّلَ فُسْطَاطٍ ضُرِبَ عَلـٰى قَـبْـرٍ
অর্থ: “হযরত মুহম্মদ ইবনে মুনকাদির রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যাঁরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ খনন করতেছিলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি উনাদের পাশে থেকে তদারকী মুবারক করছিলেন। তখন ছিলো গরমকাল। তিনি বলেন, আমি যদি উনাদের উপর তাঁবু মুবারক টাঙ্গানোর ব্যবস্থা করি, তাহলে তা হবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার উপর টাঙ্গানো প্রথম তাঁবু মুবারক।” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে সা’দ ৮/১১৩)
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ مُحَمَّدِ بْنِ اِبْـرَاهِيْمَ بْنِ الْـحَارِثِ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ اَمَرَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقُ الْاَعْظَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ بِفُسْطَاطٍ فَضُرِبَ بِالْـبَقِيْعِ عَلـٰى قَـبْـرِهَا لِشِدَّةِ الْـحَرِّ يَـوْمَـئِذٍ فَكَانَ اَوَّلَ فُسْطَاطٍ ضُرِبَ عَلـٰى قَـبْـرٍ بِالْـبَقِيْعِ
অর্থ: “হযরত মুহম্মদ ইবনে ইবরাহীম ইবনে হারিছ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি অত্যন্ত গরমের কারণে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার উপর তাঁবু মুবারক টাঙ্গানোর জন্য সম্মানিত নির্দেশ মুবারক দেন। অতঃপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জান্নাতুল বাক্বী’ শরীফ উনার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার উপর তাঁবু মুবারক টাঙ্গানো হয়। তা ছিলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জান্নাতুল বাক্বী’ শরীফ উনার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার উপর টাঙ্গানো প্রথম তাঁবু মুবারক।” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে সা’দ ৮/১১৩)
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছেন,
وَكَانَ دَفَـنُـهَا فِـىْ يَـوْمٍ صَائِفٍ فَضَرَبَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقُ الْاَعْظَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَلـٰى قَـبْـرِهَا فُسْطَاطًا
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনাকে গরমের দিনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে রাখা হয়েছিলো। তখন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার উপর তাঁবু মুবারক টাঙ্গান।” সুবহানাল্লাহ! (আনসাবুল আশরাফ ১/১৯২)
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ عَـبْدِ اللهِ بْنِ اَبِـىْ سَلِـيْطٍ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ رَاَيْتُ حَضْرَتْ اَبَا اَحْـمَدَ بْنَ جَحْشٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ يَـحْمِلُ سَرِيْـرَ اُمِّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلسَّابِعَةِ اَطْوَلُ يَدَانِ عَلَـيْـهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ زَيْـنَبَ عَلَـيْـهَا السَّلَامُ) وَهُوَ مَكْـفُوْفٌ وَهُوَ يَــبْكِـىْ فَاَسْـمَعُ سَيِّدَنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقَ الْاَعْظَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَهُوَ يَـقُوْلُ يَا حَضْرَتْ اَبَا اَحْـمَدَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ تَـنَحَّ عَنِ السَّرِيْرِ لَا يَعِنْكَ النَّاسُ وَازْدَحَـمُوْا عَلـٰى سَرِيْرِهَا فَـقَالَ حَضْرَتْ اَبُـوْ اَحْـمَدَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ يَا سَيِّدَنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقَ الْاَعْظَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ هٰذِهِ الَّتِـىْ نِلْـنَا بِـهَا كُلَّ خَـيْـرٍ وَاِنَّ هٰذَا يُــبَـرِّدُ حَـرَّ مَا اَجِدُ فَـقَالَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقُ الْاَعْظَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ اِلْـزَمْ اِلْـزَمْ
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবূ সালীত্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিন বলেন, আমি হযরত আবূ আহমাদ ইবনে জাহাশ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র খাটিয়া মুবারক বহন করতে দেখেছি। তিনি চোখে দেখতেন না। তিনি কাঁদতে ছিলেন। তখন আমি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন- হে হযরত আবূ আহমাদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু! আপনি মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র খাটিয়া মুবারক থেকে সরে যান, যাতে মানুষের চাপে কষ্ট না পান। তখন হযরত আবূ আহমাদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হে সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম! ইনি সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুমহান ব্যক্তিত্বা মুবারক, উনার সম্মানার্থে আমরা সমস্ত প্রকার খায়ের-বরকত মুবারক লাভ করেছি। আর নিশ্চয়ই আমার এই কান্না মুবারক আমার ভিতরের তীব্র জ্বালাকে প্রশমিত করছে। অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ‘আপনি অবস্থান করুন, আপনি অবস্থান করুন’।” সুবহানাল্লাহ! (আনসাবুল আশরাফ ১/১৯২)
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছেন,
فَـلَمَّا مَاتَتْ اُمُّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ سَيِّدَتُنا حَضْرَتْ اَلسَّابِعَةُ اَطْوَلُ يَدَانِ عَلَـيْـهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتُـنَا حَضْرَتْ زَيْـنَبُ عَلَـيْـهَا السَّلَامُ) اَمَرَ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقُ الْاَعْظَمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ مُنَادِيًا فَـنَادٰى اَلَا لَا يَـخْرُجُ عَلـٰى اُمِّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلسَّابِعَةِ اَطْوَلُ يَدَانِ عَلَـيْـهَا السَّلَامُ اِلَّا ذُوْ رِحْمٍ مِنْ اَهْلِهَا فَـقَالَتْ حَضْرَتْ بِنْتُ عُمَيْسٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَـنْـهَا يَا اَمِيْـرَ الْمُؤْمِنِـيْـنَ اَلَا اُرِيْكَ شَيْـئًا رَاَيْتُ الْـحَبَشَةَ تَصْنَـعُهٗ لِــنِسَائِهِمْ فَجَعَلَتْ نَـعْشًا وَغَشَّـتْهُ ثَـوْبًا فَـلَمَّا نَظَرَ اِلَيْهِ قَالَ مَا اَحْسَنَ هٰذَا مَا اَسْتَـرَ هٰذَا فَاَمَرَ مُنَادِيًا فَـنَادٰى اَنِ اخْرُجُوْا عَلـٰى اُمِّكُمْ
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি যখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দীদার মুবারক-এ তাশরীফ মুবারক নেন, তখন (পর্দার বিষয়ে সতর্কতার জন্য) সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত নির্দেশ মুবারক-এ একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দেন যে- সাবধান! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত পরিবার মুবারক উনার সদস্য উনাদের মধ্য থেকে উনার মাহরাম ব্যতীত কেউ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার দিকে বের হবেন না। তখন হযরত (আসমা) বিনতে উমায়েস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা তিনি বলেন, হে আমীরুল মু’মিনীন আলাইহিস সালাম! আমি কি ঐ বিষয়টি আপনার নিকট বর্ণনা করবো না, যা আমি হাবশায় দেখেছি, উনারা উনাদের মহিলাদের জন্য কি করতেন? অতঃপর তিনি একটি কফিন বানিয়ে কফিনটি একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন। তারপর সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি তা দেখে বললেন, ‘এটা কতই না সুন্দর ব্যবস্থা! এটা কতই না সুন্দর পর্দা!’ সুবহানাল্লাহ! তারপর সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত নির্দেশ মুবারক-এ ঘোষণাকারী ঘোষণা দেন যে- ‘আপনারা আপনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনার উদ্দেশ্যে বের হন’।” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে সা’দ ৮/১১১)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার উপর পানি মুবারক ছিটানো এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ চাদর দ্বারা আচ্ছাদিত করা:
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ رَبِـيْـعَةَ بْنِ عَـبْدِ اللهِ بْنِ الْـهُدَيْرِ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ رَاَيْتُ سَيِّدَنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقَ الْاَعْظَمَ عَلَيْهِ السَّلَامَ وَدُرَّتُهٗ عَلـٰى مَنْكِـبِهٖ يُـقَدِّمُ النَّاسَ فِـىْ جَنَازَةٍ وَصَلّٰى عَلَـيْـهَا وَكَــبَّـرَ اَرْبَـعًا وَقَامَ عَلـٰى قَــبْـرِهَا حَـتّٰـى رَشَّ الْمَاءُ وَاَمَرَ فَسُتِـرَتْ بِـاِزَارٍ حَتّٰـى دُلِّــيَتْ فِـى الْقَـبْـرِ
অর্থ: “হযরত রবী‘আহ্ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে হুদাইর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে দেখলাম, উনার এক কাঁধ মুবারক-এ দোররা মুবারক ঝুলানো। তিনি সেই অবস্থায় সামনে অগ্রসর হয়ে চার তাকবীরের সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জানাযা নামায মুবারক পড়ালেন। তারপর তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার উপর পানি ছিটিয়ে দেয়া পর্যন্ত সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারপর উনার সম্মানিত নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ চাদর দ্বারা আচ্ছাদিত করা হলো।” সুবহানাল্লাহ! (আনসাবুল আশরাফ ১/৪৩৬)
পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন।