ফুলশয্যায় করণীয়
২৪. আহাল-আহলিয়ার সাথে নিরিবিলি অবস্থানের কথা কাউকে বলা যাবে না।
২৫. আহলিয়ার সাথে একাধিক বার নিরিবিলি অবস্থান করতে চাইলে আহলিয়ার ভাল ভাল খাওয়া দাওয়া ও শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হতে হবে।
২৬. একান্ত নির্জনতার সময় আহাল বা স্বামী অন্য কোন মেয়ের কথা স্মরণ করবে না। আহলিয়া বা স্ত্রীও অন্য কোন পুরুষের কথা স্মরণ করবে না। কারণ তা ব্যভিচারের পর্যায়ভুক্ত।
নিরিবিলি অবস্থানের নিষিদ্ধ সময়
১. আহলিয়ার স্বাভাবিক মাজূরতার (হায়েয অবস্থায়) সময় নিরিবিলি অবস্থান হারাম। তবে তার সাথে একত্রে ঘুমানো, খানা খাওয়া, তার খিদমত নেয়া সুন্নত মুবারকের অন্তভুর্ক্ত।
কেহ যদি কখনো ভুলক্রমে স্বাভাবিক মাজুরতার সময় আহলিয়ার সাথে মিলিত হয় তাহলে তার জন্য তাকে কাফফারা দিতে হবে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্স্নাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَلَّذِىْ يَأْتِى اِمْرَاَتَهُ وَهِىَ حَائِضٌ يَـتَصَدَّقَ بِدِيْـنَارٍ اَوْ نِصْفِ دِيْـنَارٍ
অর্থ: যদি কেহ স্বাভাবিক মাজুরতার সময় (হায়েজ অবস্থায়) আহলিয়ার সাথে নির্জন বাস করে তাহলে সে যেন এক দীনার অথবা অর্ধ দীনার ছদকা করে। (আবূ দাউদ শরীফ, আহমদ শরীফ)
রঈসূল মুফাসসিরীন, ফকীহুল উম্মত হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি এ হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় বলেন-
اِذَا اَصَابَـهَا فِى الدَّمِ فَدِيْـنَارٌ وَاِذَا اَصَابَـهَا فِى اِنْقِطَاعِ الدَّمِ فَنِصْفُ دِيْـنَارٍ
অর্থ: যদি রক্ত কালীন সময় বা শুরুর দিকে নিরিবিলি অবস্থান করে তাহলে এক দীনার কাফফারা আদায় করতে হবে। আর যদি রক্ত বন্ধ হওয়ার পরে, গোসলের পূর্বে আহলিয়ার (স্ত্রীর) নিকটবর্তী হয় তাহলে অর্ধ দীনার কাফফারা আদায় করতে হবে। (আবূ দাউদ শরীফ, মুস্তাদরাকে হাকিম, বাইহাকী শরীফ, আউনুল মাবুদ)
উল্লেখ্য যে, ১ ভরি বা ১ তোলা সমান ১১.৬৬ গ্রাম স্বর্ণ। পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত এক দীনার সমান ৪.২৫ গ্রাম স্বর্ণ। আর অর্ধ দীনার সমান ২.১২৫ গ্রাম স্বর্ণ।
২. দৈনিক: নামাযের নিষিদ্ধ সময়গুলো অর্থাৎ সূর্য উদয় হওয়াকালীন ২৩ মিনিট সময়, অস্ত যাওয়াকালীন ২৩ মিনিট সময় এবং দুপুরে সূর্য মাথার উপর অবস্থান করাকালীন ১ ঘণ্টা সময়।
৩. সাপ্তাহিক: সপ্তাহে দুইদিন। (ক) ইয়াওমুল আহাদ অর্থাৎ (রবিবার) দিন ও রবিবার রাত। (খ) ইয়াওমুল আরবিয়া অর্থাৎ বুধবার দিন ও বুধবার রাত।
৪. মাসিক: প্রত্যেক আরবী মাসের ১লা তারিখ- রাত ও দিন। ১৫ তারিখ- রাত ও দিন এবং শেষ তারিখ অর্থাৎ ২৯ ও ৩০ তারিখ- রাত ও দিন।
৫. বাৎসরিক: দুই ঈদের দুই রাত ও দিন, চন্দ্র গ্রহণ এবং সূর্যগ্রহণের সময়।
এছাড়া খালি পেটে, ভরা পেটে, ঘুমের ঘোরে, ইস্তিঞ্জার চাপ নিয়ে, গায়ে ঘামের দুর্গন্ধ নিয়ে অথবা দুর্গন্ধ যুক্ত কাপড় পরিধান করে, মুখে দুর্গন্ধ নিয়ে, প্রখর রোদে, অসুস্থতার সময়। সফরে যাওয়ার সময়, সফর থেকে ফিরে এসেই, ইহতিলাম (স্বপ্নদোষ) হলে গোসল না করে আহলিয়ার সাথে নিরিবিলি অবস্থান করা উচিত নয়।