রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৭

সংখ্যা: ১১২তম সংখ্যা | বিভাগ:

     বলার অপেক্ষা রাখেনা যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লহুল আলী সম্পর্কে হক্কানী-রব্বানী আলিম, উলামা, ছূফী-দরবেশ তথা আউলিয়া-ই-কিরামগণের অভিমত, “তিনি হচ্ছেন সেই বৃষ্টি ধারার ন্যায়; যার প্রথমাংশ উত্তম না শেষাংশ তা নির্ণয় করা দূরূহ।” হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে,

مثل امتى كمثل المطر لايدرى اوله خير او اخره.

অর্থঃ- “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমার উম্মত বৃষ্টি ধারার ন্যায়। বুঝা যায় না, তার প্রথমাংশ উত্তম না শেষাংশ।” (তাফসীরে মাযহারী-  ৯/২৭৬)

          তিনি মহান আল্লাহ্ পাক-এর তরফ হতে মাখলুকাতের বিশেষ করে জ্বীন-ইনসানের জন্যে রহমতস্বরূপ, শান্তির কারণ। কিন্তু ইলমে তাছাউফ শুন্য অজ্ঞ, জাহিল লোকগুলো তা অনুধাবনে অক্ষম।

           যেমন, শাইখুল উলামা ওয়াল মাশায়িখ হযরত আবু বকর শিবলী রহমতুল্লাহি আলাইহি যখন বললেন, “আমি এই শহর বা এই উম্মাহ্র জন্য আ’মান তথা শান্তি বা নিরাপত্তার কারণ” তাঁর এই হিকমতপূর্ণ কথা বিরুদ্ধবাদীরা অনুধাবন করতে পারেনি। কিন্তু তার ওফাত (ইন্তিকাল) হওয়ার সাথে  সাথে বিরোধীদের চক্ষু হতে পর্দা উঠে গেলো। তখন তারা তাঁর হিকমত পূর্ণ সে কথা বুঝতে পেরেছিলো।

          দেখা গেল, শাইখুল উলামা ওয়াল মাশায়িখ রহমতুল্লাহি আলাইহিকে দাফন করার সাথে সাথে দায়লামের কাফিররা দাজলা নদী অতিক্রম করে বাগদাদ শহর দখল করে নিলো। তখন সবাই বলাবলি করতে থাকে যে, “আমাদের উপর দ্বিগুণ বিপদ এসেছে।” অর্থাৎ একটি শাইখুল ইসলাম হযরত আবু বকর শিবলী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর ওফাত অপরটি হচ্ছে কাফিরদের হাতে বাগদাদ শহরের পতন। (তাফসীরে কুরতুবী- ১১/২৯)

          স্মর্তব্য যে, হক্কানী-রব্বানী আলিম যেমন উম্মাহ্ তথা মাখলুকাতের জন্য রহমত, বরকত, ছাকীনার কারণ, তেমনি উলামায়ে “ছূ” তথা তাছাউফ পরিপন্থী আলিম যারা রিয়াজত-মুশাক্কাতের দ্বারা স্বীয় অন্তরকে ইসলাহ্ বা পরিশুদ্ধ করতে পারেনি। মারিফাতের নূর দ্বারা যাদের অন্তর নূরান্বিত বা আলোকিত নয় তারা জাতির জন্য আযাব-গযবের কারণ।

          এ প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে যে, একদা মাহবুবে সুবহানী, কুতুবে রব্বানী, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, মুহিউদ্দীন বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহিকে প্রশ্ন করা হলো যে, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত হযরত হাসান বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন যে, আলিম যদি জাহিদ (দুনিয়া বিরাগী) না হন অর্থাৎ রিয়াজত-মুশাক্কাতের দ্বারা স্বীয় অন্তরের পরিশুদ্ধি লাভ না করেন তাহলে তার যুগের লোকের উপর আযাব-গযব নাযিল হয়। এ ক্বওলের মধ্যে কি রহস্য লুকায়িত যে, তিনি অন্যের জন্য আযাব-গযবের কারণ হবেন?

          তার জাওয়াবে গাউসুল আযম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, হযরত বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “এরূপ ব্যক্তি ইখলাছ ও আমল ছাড়াই ওয়াজ-নছীহত করে তথা হাদী সেজে হিদায়েতের কাজে লিপ্ত হয়। অথচ এরূপ ব্যক্তির কথা লোকের অন্তরে কোন প্রকার আছর বা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেনা এবং তার নছীহত স্থায়ী হয়না। কাজেই লোকে শুনে ঠিকই কিন্তু আমল করতে পারেনা। আর ওয়াজ-নছীহত শুনে সে অনুযায়ী আমল না করলে আযাব ও গযব অবতীর্ণ হয়।” (ফাতর্হু রব্বানী)

          উল্লেখ্য, দুধের সাথে পানি মিশে যেমন একাকার হয়ে যায় তেমনি আজকে নামধারী আলিম, উলামা, ছূফী, দরবেশ, পীর, মাশায়িখ সকলেই আমল-আখলাক, ছিরত-ছূরত, কাজে-কর্মে, চলা-ফেরায়, তাহজীব ও তামাদ্দুন ইহুদী-নাছারাদের সাথে মিলে একাকার হয়েছে। তারা আজকে দ্বীনে গণতন্ত্র তথা দ্বীনে জুমহুরীর দিকে ঝুঁকে পড়েছে। কাজেই এমতবস্থায় মুসলিম উম্মাহ্র এ দুর্দিনে ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলার্দু রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর আগমন না হলে ইসলাম ইসলামের দিকে না গিয়ে ইউরোপ-আমেরিকার কৃষ্টি-কালচার তথা দ্বীনে গণতন্ত্র বা জুমহুরীর দিকে ঝুঁকে পড়ত।

           যেমনটি বলা হয়ে থাকে, হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে। যে, তিনি যদি সে জামানায় না আসতেন তবে ইসলাম, ইসলামের দিকে না থেকে গ্রীক দর্শণের দিকে ঝুকে পড়ত।

ইমামুল আলম, জামিউ বাইনাল বাতিন ওয়াজ্ জাহির, মুফাখ্খরুল আমাসিল ওয়াল আবরার, ফরীদুল আওয়ান, বারাকাতুল আনাম, জাইনুদ্ দ্বীন, সুলতানুজ্ জাহিদীন, কুদওয়াতুল হাদীইন, রঈসুল মুতাওয়াক্কিলীন, আরকানুল ইসলাম, হুজ্জাতুল আউলিয়া, হাকিমুল আরিফীন,আবুল ফয়েজ ওয়াত্ তাওয়াজ্জুহ্, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৭

ইমামুল আ’লাম, জামিউ বাইনায্ যাহির ওয়াল বাতিন, মুফাখ্খরুল আমাছিল ওয়াল আবরার, ফরীদুল আওয়ান, বারাকাতুল আনাম, যাইনুদ্ দ্বীন, সুলতানুয্ যাহিদীন, কুদওয়াতুল হাদীইন, রঈসুল মুতাওয়াক্কিলীন, ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৯

  কুতুবুল আকতাব, সুলতানুল আত্কিয়া, মুগীসুল ওয়ারা, আমিনুল কুলূব ওয়ান্ নুহা, মিফতাহুল খাযায়িনিল র্আশ, আজওয়াদুন্ নাছ, শাইখুল আলম, জামিউল ইল্ম ওয়াল হিকাম, আমিনু কুনুজিল র্ফাস, ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম – রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১০

রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ- ১১

কুতুবুল আকতাব, সুলতানুল আত্কিয়া, মুগীসুল ওয়ারা, আমিনুল কুলূব ওয়ান্ নুহা, মিফতাহুল খাযায়িনিল র্আশ, আমিনু কুনুজিল র্ফাস, আজওয়াদুন্ নাছ, শাইখুল আলম, জামিউল ইল্ম ওয়াল হিকাম, ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, মুযাদ্দিদুয্ যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম – রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ- ১৩