সমগ্র বিশ্বজগৎ প্রতিপালন ও পরিচালনায় আখিরী রসূল, হামিলু লিওয়ায়িল হামদ, হাবীবে আ’যম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক সম্পৃক্ততা ও ইখতিয়ার

সংখ্যা: ১১৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

وما ارسلنك الا رحمة للعلمين.

অর্থঃ- “আমি আপনাকে সমুদয় বিশ্বজগতের জন্য রহমত হিসেবেই পাঠিয়েছি।” (সূরা আল আম্বিয়া/১০৭)

সমগ্র আলম ও মাখলুকাতের স্রষ্টা, পরিচালক ও প্রতিপালক স্বয়ং আল্লাহ্ রব্বুল আলামীন। এসবের প্রতিপালন প্রসঙ্গে কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ হয়েছে,

الحمد لله رب العلمين.

অর্থঃ- “মহান আল্লাহ্ পাক-এর জন্যই সকল প্রশংসা, যিনি সৃষ্টি জগৎ সমূহের পালনকর্তা।” (সূরা ফাতিহা/১)

উল্লিখিত আয়াত শরীফ দু’টির অবিচ্ছেদ্য যোগসূত্র এই যে, যে পরিধি ও পরিমাপের আলামীনের জন্য আল্লাহ্ পাক প্রতিপালক, সেই অভিন্ন পরিধি ও পরিমাপের আলামীনের জন্য আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, আছলুল ক্বায়িনাত, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অখন্ড রহমত হিসেবে বিরাজিত। খালিক্ব ও মালিক আল্লাহ্ পাক কারো সংশ্লিষ্টতা ছাড়াই ক্বায়িনাত পরিচালনা ও প্রতিপালনে পরিপূর্ণরূপে সক্ষম ও ক্ষমতাবান। কিন্তু এরপরেও আল্লাহ্ পাক স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে সদয় ইচ্ছায় এমন অপরিহার্য ব্যবস্থা দায়িম ও কায়িম করেছেন যে, যাতে মাশুক্বে মাওলা, সাইয়্যিদুল খালায়িক্ব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অতুলনীয় মর্যাদা-মর্তবা, শান-মান-এর বহিঃপ্রকাশ ঘটে। তাই তাঁর সমৃদ্ধ রহমতের মুবারক সম্পৃক্ততা ব্যতিরেকে আল্লাহ্ পাক প্রতিপালন ব্যবস্থা কার্যকর করেননা। অর্থাৎ, আল্লাহ্ পাক-এর ক্ষমতা, কুদরত ও করুণা এবং তাঁর আপন হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মাহাত্ম্য, মর্যাদা ও রহমতের অফুরন্ত প্রস্রবণের যুগপৎ সমন্বয়ে দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় কার্যাবলী সম্পাদিত ও পরিচালিত হয়।

হযরত ইবনে ওমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর বর্ণনায় সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

انا رحمة مهداة برفع قوم وخفض اخرين.

অর্থঃ- “আমি আল্লাহ্ পাক-এর প্রেরিত রহমত। আমি এক সম্প্রদায়কে গৌরবের উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত করি এবং অপর সম্প্রদায়কে অধঃপতিত করি।”

এ হাদীস শরীফ থেকে জানা গেল যে, মাখলুকাতের সৌভাগ্য ও দুর্ভাগ্য নির্ধারণ ও বন্টনে আল্লাহ্ পাক-এর পক্ষ থেকে তাঁর প্রিয়তম হাবীব, ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরিপূর্ণরূপে অধিকার ও এখতিয়ার প্রাপ্ত। জগৎ-সংসার ও সৃষ্টিকুল প্রতিপালন, পরিবর্ধন ও পরিচালনায় রউফুর রহীম, হুযূর পাক ছল্লৗাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সম্পৃক্ততা ও এখতিয়ার সূরা আল আম্বিয়ার উপরোক্ত আয়াত শরীফে বিধৃত হয়েছে। সৃষ্টিকুল প্রাণময়, বিকশিত, সঞ্জীবিত ও প্রবাহমান রাখা এবং পরিণতির দিকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে আল্লাহ্ পাক-এর উদ্দিষ্ট ব্যবস্থায় রহমতে আলম, সাইয়্যিদুল কাওনাইন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মাহাত্ম্য, আধিপত্য ও অনিবার্যতা প্রকাশে এটি কালামুল্লাহ শরীফের বিশেষ আয়াত শরীফ। জাগতিক সকল বিষয় ফায়সালার জন্য আল্লাহ্ পাক ছহিবে খুলুক্বে আযীম, সিরাজুম মুনীরা, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে চূড়ান্ত ক্ষমতা ও এখতিয়ার দান করেছেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ্ পাক বলেন,

وما كان لمؤمن ولامؤمنة اذا قضى الله ورسوله امرا ان يكون لهم الخيرة من امرهم.

অর্থঃ- “আল্লাহ্ পাক ও তাঁর রসূল কোন বিষয়ে ফায়সালা করলে, কোন মু’মিন নর-নারীর সে সম্পর্কে ভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোন এখতিয়ার থাকবেনা।” (সূরা আহযাব/৩৬)

সমস্যা ও সংঘাত নিষ্পত্তিতে ছহিবু জাওয়ামিউল কালিম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর এই অবাধ এখতিয়ারের পরিধি আখিরাতের সামগ্রিক বিষয়ের সমাধান পর্যন্ত পরিব্যাপ্ত। তিনি শাফায়াতে কুবরার একক অধিকারী। আল্লাহ্ পাক কাউকে পাকড়াও করলে সাইয়্যিদুল বাশার, ছহিবু শাফায়াতে কুবরা, শাফিউল মুজনেবিন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মেহেরবানী ও সুপারিশে সে নিষ্কৃতি পেয়ে যাবে। কিন্তু তিনি (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অসন্তুষ্ট হলে তার নাযাতের পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। ছহিবু ওয়ামা আরসালনাকা ইল্লা রহমাতুল্লিল আলামীন, ছহিবু তাতমাইন্নুল কুলূব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যাবতীয় ধন-সম্পদ, আনন্দ, প্রশান্তি ও কামিয়াবীর মুবারক উৎসধারা।

এ মর্মে আল্লাহ্ পাক বলেন,

ان اغنهم الله ورسوله من فضله.

অর্থঃ- “মহান আল্লাহ্ পাক ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা নিজ অনুগ্রহে উনাদেরকে (মু’মিনগণ) ধনবান করেছেন।” (সূরা তাওবা/৭৪)

বিষয়টি কাফির সম্প্রদায়কে ব্যথিত করেছে। এ আয়াত শরীফে বিশ্ববাসীকে অবহিত করা হয়েছে যে, মানুষকে ধনবান ও ঐশ্বর্যশালী (আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিকভাবে) করার জন্য আল্লাহ্ পাক তাঁর হাবীব, খাজিনার্তু রহমত, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ক্ষমতাবান করেছেন। বিশ্বজগৎ প্রতিপালন ও পরিচালনায় তিনি আল্লাহ্ পাক-এর সকল কাজের ইন্তিজামকারী। সকল বিষয়ের বিধি-নিষেধের অবাধ এখতিয়ার আল্লাহ্ পাক তাঁকেই দান করেছেন। দৃশ্য ও অদৃশ্য ধনভান্ডার, ঐশ্বর্য ও নিয়ামত হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর করায়ত্ত। আল্লাহ্ পাক তাঁর স্বতঃপ্রবৃত্ত সদয় ইচ্ছায় সৃষ্টিসহ সবকিছুর আরম্ভ, প্রবাহ ও পরিণতির কার্যকারণ ছহিবুল ইহ্সান, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইচ্ছাধীন করেছেন। রহমাতুল উম্মাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে দান করেন, নাফরমানীর কারণে তিনি মানুষকে বঞ্চিত করেন, বিপন্ন মানুষের দুঃখ মোচন করেন এবং জান্নাত ও জাহান্নাম বন্টন করেন। প্রেক্ষিত ব্যাখ্যায় তিনি বলেন,

انما انا قاسم والله يعطى.

অর্থঃ- “বন্টন করি আমি, আর দাতা আল্লাহ্ পাক।”

আল্লাহ্ পাক-এর সন্তুষ্টিসহ ইহ্কাল ও পরকালের কোন নিয়ামতই তাঁর মুবারক আবেহায়াত ব্যতীত লাভ করা যায়না। লওহ, কলম, আরশ, কুরছী, জান্নাত, জাহান্নাম এবং সমুদয় সৃষ্টিকুল রফিকু ছহিবুল কুদরত, নবীয়ে আক্বদাস, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইল্ম-এর অংশ বিশেষ। শরীয়তের আহকামের পূর্ণাঙ্গ মালিকানা আল্লাহ্ পাক তাঁকেই দান করেছেন।

ছহিবু সুলতানিন নাছীর, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আধিপত্য, ক্ষমতা ও এখতিয়ার মহান আল্লাহ্ পাক-এরই দান, নিজের উপর নিজের আরোপিত নয়।

আল্লাহ্ পাক বলেন, انا فتحنالك فتحا مبينا.

অর্থঃ- “(হে প্রিয়তম হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) নিশ্চয়ই আমি আপনাকে সুস্পষ্ট বিজয় দান করেছি।” (সূরা ফাতহ্/০১)

এখানে বিজয়-এর অর্থ হলো, “আমি আপনার জন্য সকল রুদ্ধদ্বার (ইহকাল ও পরকালের) অবারিত করে দিয়েছি। (সুবহানাল্লাহ)!

এখতিয়ার সমৃদ্ধ এই অপ্রতিরোধ্য বিজয় অনন্ত ধারায় আখিরাতের সামগ্রিক পরিমন্ডল পর্যন্ত পরিব্যাপ্ত। ক্ষমতা ও নিয়ামতের সমৃদ্ধি সম্পর্কে আল্লাহ্ পাক-এর ঘোষণা, انا اعطيناك الكوثر.

অর্থঃ- “(হে প্রিয়তম বন্ধু আমার) আমি আপনাকে কাউসার দান করেছি।” (সূরা কাউসার/০১)

কাউসার জান্নাতের একটি প্রস্রবণের নাম। ‘কাউসার’-এর অন্য অর্থ অপরিমেয় মঙ্গল, অজস্র কল্যাণ, মাকামে মাহমুদ, শাফায়াতে কুবরার অবাধ অধিকার, দুনিয়া ও আখিরাতের আধিপত্য, সর্ব বিষয়ের ক্ষমতা। মূলতঃ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মুবারক শানে ‘কাউসার’ হলো, خير كثير অর্থাৎ, ইহ্কাল ও পরকালের সকল বিষয়ের সীমাহীন কল্যাণ ও গৌরব, যাতে অপরাজেয় আধিপত্য নিশ্চিত হয়। এই আয়াত শরীফেও এখতিয়ার-এর বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়। প্র্রকৃতপক্ষে আল্লাহ্ পাক-এর পরেই ছহিবু ফাতহিম মুবীন, মাশুক্বে মাওলা, ছহিবু লাওলাক, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মুবারক অধিষ্ঠান।  আল্লাহ্ পাক-এর সমুদয় সৃষ্টি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হুকুমতের অধীন। আল্লাহ্ পাক বলেন, ولكل وجهة هو موليها. অর্থঃ- “প্রত্যেকের জন্য একটি করে ক্বিবলা (দিক) রয়েছে, যে দিকে সে মুখ ফিরায় (রুজু হয়)।” (সূরা বাকারা/১৪৮)

এ আয়াত শরীফে ক্বিবলার অপরিহার্যতার কথা বলা হয়েছে। যেমনঃ ফিরিশতাগণের ক্বিবলা বাইতুল মা’মুর। মানুষের দোয়ার ক্বিবলা আসমান এবং নামাযের ক্বিবলা কা’বা শরীফ। মুরীদের অন্তরের ক্বিবলা তার শায়খ। ইচ্ছা-অনিচ্ছায় কুল মাখলুকের প্রাণের ক্বিবলা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আর নূরে মুজাস্সাম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর দায়িমী ক্বিবলা (দায়িমী হুযূরী) আল্লাহ্ পাক। অর্থাৎ সমস্ত ক্বিবলার বিলীনকারী ক্বিবলা আল্লাহ্ রব্বুল আলামীন এবং স্বয়ং আল্লাহ্ পাক-এর ক্বিবলা তাঁর প্রিয়তম হাবীব মাশুক্বে মাওলা, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আল্লাহ্ পাক-এর কোন ক্বিবলারই প্রয়োজন ছিলনা। পারস্পরিক মুহব্বতের অনিঃশেষ আকর্ষণে কখনো আল্লাহ্ পাক মাশুক্ব, আবার কখনো মুত্তালা আলাল গাইব, হাবীবে আ’যম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাশুক্ব। সৃষ্টির মুবারক উৎসধারা, সৃষ্টির প্রাণময়তা ও প্রবাহমানতার সঞ্জীবনী মাধ্যম, স্রষ্টা ও সৃষ্টির পার্থক্যের পরিপূর্ণ ও বোধগম্য ব্যাখ্যাকার, আল্লাহ্ পাক-এর ‘জাত’ ও ‘ছিফত’ উপলব্ধির সর্বোচ্চ ও সর্বোত্তম মাকামে অধিষ্ঠানকারী, সাইয়্যিদুল বাশার, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি সীমাহীন মুহব্বতের কারণে আল্লাহ্ পাক তাঁকে সার্বক্ষণিক মাশুক্ব হিসেবই সাব্যস্ত করে নিয়েছেন। আল্লাহ্ পাক তাঁর অপার অনুগ্রহে সমস্ত আলম, যেমন: আলমে মালাকুত, আলমে আরওয়াহ, আলমে আজসাম, আলমে ইমকান, অর্থাৎ সমগ্র সৃষ্টি মাশুক্বে মাওলা, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইচ্ছা ও এখতিয়ারের অন্তর্ভুক্ত করে দিয়েছেন।

নিবন্ধের স্বল্প পরিসরে বিশ্ব জগৎ প্রতিপালন ও পরিচালনায় রহমতে ইলাহী, ছহিবু কা’বা কাওসাইন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মুবারক সংযোগ ও এখতিয়ারের নিগূঢ় বিষয়গুলো সবিস্তার আলোচনার সুযোগ নেই। সমঝদার উম্মতের জানা আবশ্যক যে, ছহিবুল ওহী ওয়াল কুরআন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট থেকেই আল্লাহ্ পাক-এর আদেশ ও নির্দেশ জারী হয়। তাঁর পাক দরবার শরীফে কারো কোন ভিন্ন ইচ্ছা পোষণ কিংবা তিলমাত্র বেয়াদবীর অবকাশ নেই। ময্যুব হালাতে কোন বান্দা انا الحق (আমি আল্লাহ্) উচ্চারণ করলে তার কোন ক্ষতি হয়না। কিন্তু যে কোন অবস্থায় যে কেউ انا محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم

(আমি মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উচ্চারণ করলে তাঁর ঈমানের মূল শিকড় উৎপাটিত হয় এবং অতি লাঞ্ছিত অবস্থায় তার গলা কাটা যায়। সমগ্র বিশ্ব জগতের একচ্ছত্র মালিক আল্লাহ্ পাক এবং তার প্রতিপালন ও পরিচালনার দায়িত্ব ও ক্ষমতাও আল্লাহ্ পাক-এরই। তিনি قديم (চিরস্থায়ী)। তাঁর নিরঙ্কশ ক্ষমতা এবং এখতিয়ারও চিরস্থায়ী। একমাত্র আল্লাহ্ পাক ছাড়া অন্য সকল ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব احدث । কিন্তু আল্লাহ্ পাক তাঁর স্বতঃপ্রবৃত্ত সদয় ইচ্ছায় ইহ্কাল ও পরকালের যাবতীয় কার্যাবলী পরিচালনায় তাঁর প্রিয়তম হাবীব, ছহিবু লাওলাক, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সম্পৃক্ত করে নিয়েছেন। তাঁকে এখতিয়ার দিয়েছেন, ক্ষমতাবান করেছেন। মহান আল্লাহ্ পাক-এর এই ইচ্ছা সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা কুফরীর নামান্তর। আল্লাহ্ পাক প্রদত্ত হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর এই যোগ্যতা ও এখতিয়ারের বিষয়টি ক্ষমতা ভাগাভাগির সঙ্গে আদৌ সম্পৃক্ত নয়। মূলতঃ আল্লাহ্ পাক সদয় হয়ে তাঁর অবস্থানের পরেই আকরামুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মুবারক অধিষ্ঠান দান করেছেন। তাঁকে আদ্যন্তকালের সুমহান মর্যাদা ও সর্বোত্তম মহিমায় অভিষিক্ত করেছেন। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অতুলনীয় মর্যাদা, মাহাত্ম্য ও বৈশিষ্ট্য উপলব্ধির ক্ষেত্রে সমগ্র বিশ্ব জগৎ প্রতিপালন ও পরিচালনায় তাঁর মুবারক সম্পৃক্ততা ও এখতিয়ারের বিষয়টি বুঝে নেয়া এবং তদনুযায়ী আক্বিদা বিশুদ্ধ করা উম্মতের আবশ্যিক কর্তব্য।

-মুহম্মদ সাদী

সাইয়্যিদুল জিননি ওয়াল ইনস, ইমামুল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন, খতীবুল আম্বিয়া হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হায়াতুন নবী

ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, খাতামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মযদা-মতবা, শান-মান সকল নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণের চেয়ে অনেক উর্দ্ধে

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ছাহিবু মাক্বামি মাহমূদ, শাফউল উমাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম উনার শ্রেষ্ঠত্ব

সাইয়্যিদুল কাওনাইন, শাফিউল মুজনিবীন, ইমামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলে বাইতগণের ফযীলত

সাইয়্যিদুল বাররি ওয়াল বাহর, ইমামুস সাক্বালাইন, তাজেদারে মদীনা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আওলাদগণের ফযীলত