সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে আক্বীক্বার হুকুম-আহকাম

সংখ্যা: ৩০২তম সংখ্যা | বিভাগ:

খলিক্ব, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

لَئِنْ شَكَرْتُمْ لَأَزِيْدَنَّكُمْ وَلَئِنْ كَفَرْتُمْ إِنَّ عَذَابِيْ لَشَدِيْدٌ

অর্থ: যদি তোমরা নেয়ামত মুবারক উনার শুকরিয়া আদায় করো; তাহলে অবশ্যই তোমাদের নিয়ামতসমূহ বৃদ্ধি করে দিব, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও তাহলে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি কঠোর। (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ইবরাহীম শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৭)

মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে অসংখ্য নিয়ামত মুবারক উনার মধ্যে অন্যতম নিয়ামত হচ্ছে, সন্তান। সন্তান লাভ করার পর পিতা-মাতার দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, বেশি বেশি শুকরিয়া আদায় করা। আর শুকরিয়া আদায় করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে, মহাসম্মানিত সুন্নতী আমলসমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সন্তানের হক্ব আদায় করা। পিতা-মাতার পক্ষ থেকে সন্তানের হক্বসমূহের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে, আক্বীক্বা করা।

আক্বীক্বার পরিচয়

পরিভাষায় সন্তান জন্ম গ্রহণ করার পর মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের শুকরিয়া মুবারক ও খুশির বহিঃপ্রকাশ হিসাবে উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের উদ্দেশ্যে যে পশু জবাই করা হয়, তাকে আক্বীক্বা বলা হয়।

পবিত্র আক্বীক্বার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও ফায়দা

সন্তানের জন্য আক্বীক্বা করা পিতা-মাতার দায়িত্ব-কর্তব্য। নবজাতক শিশুর জন্য আক্বীক্বা এতই গুরুত্বপূর্ণ যে, এর ফযীলত মুবারক বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। আক্বীক্বা করা খাছ সুন্নত মুবারক হওয়ায়, উনার রহমত-বরকত মুবারকে নবজাতক শিশুর আপদ-বিপদ, বালা-মুছীবত দূর হয়ে যায়। নবজাতক শিশু সন্তানের শুকরিয়া আদায়ের নিদর্শন হিসেবে পিতা-মাতাকে সন্তানের জন্য আক্বীক্বা করতে হয়।

সর্বোপরি, আক্বীক্বার উদ্দেশ্য হচ্ছে, মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক পালন করার মাধ্যম দিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের রিযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করা।

আক্বীক্বা করা খাছ সুন্নত মুবারক

উনার অন্তভুর্ক্ত

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য মহাসম্মানিত আক্বীক্বা মুবারক:

আল্লামা ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উল্লেখ করেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন-

لَمَّا وُلِدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَقَّ عَنْـهُ حَضْرَتْ عَبْـدُ الْـمُطَّلِبِ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَسَمَّاهُ سَيِّدَنَا مَوْلٰنَا مُحَمَّدًا صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন মহাসম্মানিত মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন, সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত আক্বীক্বা মুবারক করেন এবং উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র নাম মুবারক রাখেন সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। (শাহরহুয যারকানী আলা মুয়াত্তা মালেক, পৃ. ৫৫৮; ইবনে আব্দিল বার, আল-ইস্তিয়াব)

আক্বীক্বা করা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ও

মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-

عَقَّ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ سَيِّدِنَا حَضْرَتِ الْاِمَامِ الثَّانِيْ مِنْ أَهْلِ بَـيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (سَيِّدِنَا حَضْرَتْ حَسَنٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ) وَسَيِّدِنَا حَضْرَتِ الْاِمَامِ الثَّالِثِ مِنْ أَهْلِ بَـيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (سَيِّدِنَا حَضْرَتْ حُسَيْنٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ) بِكَبْشَيْنِ كَبْشَيْنِ

অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের জন্য দু’টি দু’টি করে দুম্বা দিয়ে মহাসম্মানিত আক্বীক্বা মুবারক করেন। (নাসায়ী শরীফ : ১২১৯)

আক্বীক্বার সময় : সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সপ্তম দিনে আক্বীক্বা করা খাছ সুন্নত মুবারক উনার অন্তভুর্ক্ত। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি বর্ণনা করেনÑ

عَقَّ رَسُوْلُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ  عَنْ سَيِّدِنَا حَضْرَتِ الْاِمَامِ الثَّانِيْ مِنْ أَهْلِ بَـيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (سَيِّدِنَا حَضْرَتْ حَسَنٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ) وَ سَيِّدِنَا حَضْرَتِ الْاِمَامِ الثَّالِثِ مِنْ أَهْلِ بَـيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (سَيِّدِنَا حَضْرَتْ حُسَيْنٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ) يَـوْمَ السَّابِعِ وَسَمَّاهُمَا وَأَمَرَ أَنْ يُمَاطَ عَنْ رَأْسِهِمَا الْأَذَى

অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক উনার সপ্তম দিনে আক্বীক্বা মুবারক দিয়েছেন, উনাদের মহাসম্মানিত নাম মুবারক রেখেছেন এবং উনাদের মহাসম্মানিত মাথা মুবারক থেকে কষ্টদায়ক বিষয় (চুল) দূর করেছেন। অর্থাৎ মহাসম্মানিত মাথা মুবারক মুণ্ডন করেছেন। (বাইহাকী শরীফ : ১৯০৫৫; ছহীহ ইবনে হিব্বান শরীফ : ৫৩১১)

উল্লেখ্য, কোন কারণবশতঃ যদি পিতা-মাতা সন্তান জন্মের সপ্তম দিনে আক্বীক্বা করতে না পারে তাহলে পরবর্তীতে সুবিধামতো সময়ে পিতা-মাতা সন্তানের জন্য আক্বীক্বা করলেও মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক আদায় হয়ে যাবে এবং পিতা-মাতা ছওয়াব পাবেন। ইনশাআল্লাহ! তবে, বিনা কারণে আক্বীক্বা দেয়াতে বিলম্ব করা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার খিলাফ হবে।

আক্বীক্বার হুকুম: সন্তানের জন্য আক্বীক্বা করা সুন্নত মুবারক। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

‎حَضْرَتْ سَمُرَةَ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ عَنْ رَّسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ كُلُّ غُلَامٍ رَهِيْـنَةٌ بِعَقِيْـقَتِهِ

অর্থ: হযরত সামুরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, প্রতিটি সন্তানই আক্বীক্বার অধীন থাকে। অর্থাৎ প্রত্যেক সন্তানের আক্বীক্বা করা অতিব জরুরী। (মুসনাদে আহমদ শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, ইবনে হাব্বান শরীফ ও অন্যান্য সুনান গ্রন্থ)

নিজের আক্বীক্বা নিজেও করতে পারবে: এমন যদি হয় যে, কোন ব্যক্তির পিতা-মাতা তার পক্ষ থেকে আক্বীক্বা করে নাই। সে ক্ষেত্রে, ব্যক্তি নিজের আক্বীক্বা নিজে করলেও মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক আদায় হয়ে যাবে।

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ أَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَقَّ عَنْ نَـفْسِهِ بَعْدَ النُّـبُـوَّةِ

অর্থ: হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত মহাপবিত্র রিসালত মুবারক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের পর নিজের আক্বীক্বা মুবারক নিজেই করেছেন”। সুবহানাল্লাহ! (সুনানুল ক্বুবরা লিল বায়হাক্বী শরীফ)

উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ থেকে প্রতিভাত যে, নিজের আক্বীক্বা নিজে দেয়া অবশ্যই জায়িয ও মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অন্তভুর্ক্ত।

আক্বীক্বা না করার পরিণতি: আক্বীক্বার এই মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক পালন না করলে বিভিন্ন রোগ-শোক ও বালা-মুছীবত থেকে নিরাপদ থাকার নিশ্চয়তা পাওয়া যায় না। সবোর্পরি, মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক পালন করার ফযীলত মুবারকও লাভ করা যায় না।

আক্বীক্বার পশুর বৈশিষ্ট ও সংখ্যা

দুম্বা, ভেড়া বা মেষ, খাসী বা বকরী, উট, গরু ও মহিষ। এই ছয় প্রকার পশুর নর-মাদী উভয়ই আক্বীক্বার যোগ্য পশু। পবিত্র কুরবানীর পশুর মতো আক্বীক্বার পশুর বয়স, সুস্থ, সবল ও ত্রুটিমুক্ত হতে হবে। (এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে “পবিত্র কুরবানী উনার আহকাম, ফাযায়িল ও মাসায়িল” কিতাবখানা পাঠ করুন)

ছেলে সন্তানের জন্য দুম্বা, ভেড়া-মেষ, খাসী-বকরী এগুলো দিয়ে আক্বীক্বা করলে যে কোন দুইটি পশু যবেহ করতে হবে। আর উট, গরু ও মহিষ দিয়ে আক্বীক্বা করলে দুই নাম দিতে হবে। আর মেয়ে সন্তানের জন্য এক নামের আক্বীক্বা দিতে হবে।

মাসয়ালা: ওয়াজিব ও নফল কুরবানী, ওলীমা ও আক্বীক্বা একসাথে দেয়া জায়িয হবে। (শামী, আলমগীরী)

পবিত্র আক্বীক্বার গোশত খাওয়ার হুকুম

কেউ কেউ বলে থাকে, সন্তানের জন্য যে পশু আক্বীক্বা দেয়া হয়, তার গোশত পিতা-মাতা খেতে পারবে না। মূলত তাদের এ কথা শরীয়তসম্মত নয়। সম্মানিত শরীয়ত উনার মাসয়ালা হলো, পবিত্র আক্বীক্বার পশুর গোশতের হুকুম পবিত্র কুরবানীর পশুর গোশতের হুকুমের মতো। কাজেই, সন্তানের পক্ষ থেকে যে পশু আক্বীক্বা দেয়া হবে তার গোশত পিতা-মাতা, সন্তান, আত্মীয়-স্বজনসহ সকলেই খেতে পারবে। এটাই সম্মানিত শরীয়তসম্মত মাসয়ালা বা ফতওয়া। (দলীল: ফিক্বাহর কিতাবসমূহ)

আক্বীক্বা নিয়ে বর্তমান সমাজে কুসংস্কার: আক্বীক্বার পশু নানার বাড়ি থেকে দিতে হয়। আক্বীক্বার গোশত বাবা-মা, নানা-নানী ও দাদা-দাদীরা খেতে পারেন না। সন্তানের চুল মুণ্ডানোর সময় মাথার তালুর উপর ক্ষুর ধরে রেখে আক্বীক্বার পশু জবাই করতে হয় ইত্যাদি। নাউযুবিল্লাহ! এসকল কুসংস্কার থেকে দূরে থাকতে হবে। আক্বীক্বার অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে খেলাধুলা, নাচ-গান থেকে শুরু করে সর্বপ্রকার হারাম, নাজায়িয, কুফরী-শিরকী, বিদয়াত-বেশরা কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।

পরিশেষে বলতে হয়, আক্বীক্বার সাথে শিশুর মাথার চুল প্রথম মুণ্ডানোর, নাম রাখার, শিশুর বালা-মুছীবত দূর হওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। তাই সামর্থ্য থাকলে দ্রুত আক্বীক্বা সম্পন্ন করা অপরিহার্য।

মহান আল্লাহ পাক তিনি সকলকে সর্বপ্রকার মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক পালন করার তাওফীক্ব দান করুক। আমীন।

-আহমদ হুসাইন

শুধুমাত্র আরবী জানলেই কুরআন শরীফ বোঝা যায়না

شان مر شد قبله عليه السلام

আল বাইয়্যিনাহ, আল বারু, আল বাসেতু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনাকে দেখেছেন

আনউমুল্লাহ, আউয়ালু শাফিয়ীন, আওয়ালু মুসলিমীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক ‘শবে মীলাদ শরীফ উনাদের মু’জিযাসমূহ’

আল হাশির, আল হাফিয, আল হাকিমু বিমা আরাহুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সমস্ত ইলমের অধিকারী