– হযরত মাওলানা মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম
ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, ওয়াহীদুদ্ দাহর, আওলার্দু রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের মামদুহ্ হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আখিরী যামানায় দ্বীন ও ঈমানকে ‘সূরাইয়া তারকা’ হতে ফিরিয়ে আনার মত যে যোগ্যতা লব্ধ কাজটি করছেন তা মূলতঃ আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, হাবীবুল্লাহ্, নূরে মুজাস্সাম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ভবিষ্যৎবাণীর বাস্তব প্রতিফলন যা তাঁরই মু’যিজার অন্তর্ভুক্ত। কেননা, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সে সম্পর্কে সুসংবাদ দিয়েছিলেন যে,
لاتسبوا قريشا فان عالمها يملأ الارض علما.
অর্থঃ- “তোমরা কুরাঈশদেরকে গালি দিওনা বা দোষারোপ করোনা। কারণ কুরাঈশ বংশীয় আলিমগণ ইল্ম দ্বারা যমীনকে পরিপূর্ণ করবেন।” (আবূ দাউদ শরীফ, তাবয়ীদুছ ছাহীফাহ্/১৯) অন্যত্র বর্ণিত আছে,
اللهم اهد قريشا فان علم العالم منهم يسع طباق الارض فى اخرين.
অর্থঃ- “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আয় আল্লাহ্ পাক! আপনি কুরাঈশদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন। নিশ্চয়ই তাঁদের আলিমগণের ইল্ম পৃথিবীর বুকে পরবর্তীদের মাঝে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হবে।” (মাদখাল লিল বাইহাক্বী, আহমদ, তিরমিযী শরীফ) আরো বর্ণিত আছে,
لاتسبوا قريشا فان عالمها يملأ طباق الارض علما اللهم انك اذقت اولها عذا با او وبالا فاذق اخرها نوالا.
অর্থঃ- “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমরা কুরাঈশদেরকে গালি দিওনা বা দোষারোপ করো না। কেননা, কুরাঈশ বংশীয় আলিমগণ ইল্ম দ্বারা পৃথিবীর উপরিভাগকে পরিপূর্ণ করবেন। “আয় আল্লাহ্ পাক! নিশ্চয়ই আপনি তাদের প্রথম অংশকে আযাব-গযব এবং দুঃখ-কষ্টের স্বাদ আস্বাদন করিয়েছেন। (যারা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অস্বীকার করতঃ বদর-উহুদ যুদ্ধে তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করে মারা গেছে তারা আযাব-গযব, বিপদ-আপদের মধ্যে পতিত হয়েছে।) সুতরাং তার পরবর্তীদেরকে অনুগ্রহের স্বাদ আস্বাদন করুন।” (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ/৫৫০, তারিখে বাগদাদী- ২/৬০) সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ভবিষ্যৎবাণীর বহিঃপ্রকাশ হচ্ছেন আমাদের আলোচিত ব্যক্তিত্ব, কুরাঈশ বংশের মহান আলিমে দ্বীন, ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলার্দু রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফের মামদুহ্ হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী। যাঁর জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ইল্ম ও আমলের প্রচার-প্রসারে অতিবাহিত হচ্ছে। দ্বীন ও ইল্মের ফিকির ব্যতীত চব্বিশ ঘন্টার একটি শ্বাসও উনার অতিবাহিত হয়না। মূলতঃ কয়েক কোটি টাকার কিতাব যার গবেষণাগারে মওজুদ, তিনি যে ইলমের দ্বারা দুনিয়ার বুক পরিপূর্ণ করবেন এটাই স্বাভাবিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, হাবীবে আ’যম, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অন্তর নিংড়ানো দোয়ায় মহান আল্লাহ্ পাক রাজারবাগ শরীফের মামদুহ্ হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলীকে যে অনুগ্রহ ও নিয়ামত দান করেছেন তা বেমেছাল, তুলনাহীন। একজন কামিল মানুষের জীবনে যত গুণাবলীর সমাবেশ ঘটতে পারে তার সবগুলোই রাজারবাগ শরীফের মামদুহ্ হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর মাঝে পরিপূর্ণরূপে বিদ্যমান। (সুবহানাল্লাহ্)