সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নছীহত মুবারক (৪) পবিত্র কা’বা শরীফ দর্শন করা: পাঁচটি জিনিষ দর্শন করা ইবাদত এবং গোনাহ মাফের কারণ। তার চতুর্থ হচ্ছে- স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, খানায়ে কা’বা তথা পবিত্র কা’বা শরীফ দর্শন করার নিয়ত করা এক প্রকার ইবাদত। পবিত্র কা’বা শরীফ দর্শনকারীর জন্য রয়েছে হাজার বছর ইবাদতের ছাওয়াব এবং হজ্জ করার ছাওয়াব। আর দর্শনকারীকে ওলীআল্লাহগণ উনাদের সঙ্গী বলে গণ্য করা হয়। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عبَّاسٍ رَضَىَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ اللهَ يَـنْزِلُ عَلٰى هٰذَا الْبَـيْتِ فِيْ كُلِّ يَوْمٍ مِائَةِ وَّعِشْرِيْنَ رَحْمَةً سِتُّـوْنَ لِلطَّائِفِيْنَ، وَأَرْبَـعُوْنَ لِلْمُصَلِّيْنَ، وَعِشْرُوْنَ لِلنَّاظِرِيْنَ
অর্থ: রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কা’বা শরীফ উনার উপর প্রতিদিন একশত বিশটি রহমত নাযিল করেন। কা’বা শরীফ তাওয়াফকারীগণ ৬০টি রহমতের অধিকারী হয়। সেখানে নামায আদায়কারীগণ ৪০টি লাভ করেন। আর কা’বা শরীফ দর্শনকারীগণ পান ২০টি রহমত। সুবহানাল্লাহ! (ছহীহ ইবনে হিব্বান শরীফ-১/৩২২, তাবারানী শরীফ-১১/১৯৫, কামিল ফিদ দুয়াফা-৬/২৭৮) পঞ্চম: শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার খিদমত মুবারকে আঞ্জাম দেয়া ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত এবং গোনাহ মাফের কারণ। শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার খিদমত মুবারকে আঞ্জাম দেয়া সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দেয়ার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! আমার সম্মানিত শায়েখ সুলত্বানুল আউলিয়া হযরত খাজা উসমান হারুনী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মুহব্বত ও তা’যীম-তাকরীমের সাথে মাত্র একদিন নিজের শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার খিদমত মুবারক করবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তার জন্য জান্নাতে ইয়াকুত পাথরের তৈরী এক হাজার বালাখানা নির্মাণ করবেন। প্রত্যেক বালাখানায় তার খিদমতের জন্য হুর-গিলমান থাকবে। আর সে বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। সুবহানাল্লাহ! কাজেই মুরীদের উচিত, স্বীয় মুর্শিদ ক্বিবলা উনার যবান মুবারকে যা শুনবেন তা দৃঢ় বিশ্বাস করা। উনার আদেশ-নির্দেশ মুবারক যথাযথভাবে পালন করা। তিনি যে অযীফা মুবারক দিবেন তা দৃঢ়তার সাথে আদায় করা। সবসময় যথাসাধ্য উনার খিদমত মুবারকে আঞ্জাম দেয়া। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে সেই তাওফীক্ব দান করুন। আমীন। (খাজা গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি পুর্নাঙ্গ জীবনী-২৯২)