হাবীবুল আউওয়ালীন ওয়াল আখিরীন, ছহিবু ফাতহিম মুবীন, রফিকু ছহিবিল কুদরত হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে হাদিয়া পেশ ও উনার তরফ থেকে অন্যকে হাদিয়া দান

সংখ্যা: ১১৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

تهادوا فان الهدية تذهب الضغائن.

অর্থঃ- “তোমরা পরস্পর হাদিয়া আদান-প্রদান কর। কেননা, হাদিয়া হিংসা-বিদ্বেষ দূর করে মুহব্বত পয়দা করে দেয়।” (মিশকাত শরীফ/২৬১)

হাদিয়া প্রদান এবং গ্রহণ উভয়টা হচ্ছে সুন্নত। আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই হাদিয়া গ্রহণ করেছেন এবং হাদিয়া প্রদান করতে উৎসাহ প্রদান করেছেন।

যেমন, এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে,

عن ابى هريرة رضى الله تعالى عنه ان اعرابيا اهدى برسول الله صلى الله عليه وسلم بكرة فعوضه منها ست بكرات.

অর্থঃ- “হযরত আবূ হুরায়রাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, একদা এক বেদুঈন ব্যক্তি (মরুবাসী) আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে একটি উটনি হাদিয়া স্বরূপ দান করলো। সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার প্রতিদানে ছয়টি উটনি হাদিয়া দিলেন।” (তিরমিযী শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ, নাসায়ী শরীফ) হাদীস শরীফে আরো বর্ণিত আছে,

عن عائشة عليها السلام قالت كان النبى صلى الله عليه وسلم يقبل الهدية ويثيب عليها.

অর্থঃ- “উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীকা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিয়া গ্রহণ করতেন এবং তার বিনিময় দিতেন।” (বুখারী শরীফ, নাসাঈ শরীফ, কানযুল উম্মাল ৫/৩২৭)

عن على رضى الله تعالى عنه قال أهدى كسرى لرسول الله صلى الله عليه وسلم فقبل منه وأهدى له قيصر فقبل منه وأهدى له الملوك فقبل منهم.

অর্থঃ- “বাবুল ইল্ম ওয়াল হিকাম হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে একদা পারস্যের সম্রাট হাদিয়া দিলেন, তিনি তা গ্রহণ করলেন। রোম সম্রাট তাঁকে হাদিয়া দিলেন তাও তিনি গ্রহণ করলেন। অনুরূপ অন্যান্য রাজা-বাদশাহ্রাও তাঁকে হাদিয়া প্রদান করতেন আর তিনি তা কবুল করতেন।” (আহমদ, তিরমিযী শরীফ)           একদা ছহিবু রসূলিল্লাহ্ হযরত উসমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু খাদ্য বোঝাই ১৪টি উট কিনলেন এবং তন্মধ্য হতে ৯টি রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট হাদিয়া স্বরূপ পাঠালেন। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলা হলো যে, হযরত উসমান যিন্ নূরাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এগুলো হাদিয়া স্বরূপ পাঠিয়েছেন। তখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুশি হলেন। হাত মুবারক আকাশের দিকে উঠিয়ে উচ্চ স্বরে ছহিবু রসূলিল্লাহ্ জুল হিজরাতাইন হযরত উসমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর জন্য প্রাণ ভরে দোয়া করলেন।” (হায়াতুছ্ ছাহাবাহ্)

অন্যত্র বর্ণিত আছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর জন্য এই বলে আল্লাহ্ পাক-এর নিকট দোয়া করলেন, “আয় আল্লাহ্ পাক! আপনি উসমান (রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) কে ভুলে যাবেননা। দোয়া সমাপনান্তে বললেন, “আজকের পর হতে উসমান (রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) যদি কোন আমল নাও করে, তবুও তাঁকে কোন কৈফিয়ত দিতে হবেনা।” (হায়াতুছ্ ছাহাবাহ্)

تهادوا تحابوا وتذهب الشحناء.

অর্থঃ- “হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমরা হাদিয়া আদান-প্রদান কর, তাতে মুহব্বত-ভালবাসা বৃদ্ধি পাবে এবং শত্রুতা বিদূরীত হবে।” (মিশকাত শরীফ/৪০৩)

হাদিয়া রিযিকের সংকীর্ণতা দূরীভূত করে এবং জীবিকা বৃদ্ধি করে। এ প্রসঙ্গে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত,

تهادوا الطعام بينكم فان ذلك توسعة فى ارزاقكم.

অর্থঃ- “তোমরা পরস্পর খাদ্যকে হাদিয়া হিসেবে আদান-প্রদান কর। কেননা এটা তোমাদের রিযিক বৃদ্ধির কারণ।” (তিরমিযী শরীফ, মিরকাত ৬/১৫৮)

হাদিয়া বা নজরানা আদান-প্রদানের বিষয়টি আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর এত প্রিয় যে, তা যত স্বল্প হোক না কেন তা  প্রদান করতে বলেছেন। আর তাকে যেন ক্ষুদ্র মনে করে হাদিয়া দাতাকে ফেরৎ দেয়া না হয় তার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে,

لو دعيت الى ذراع او كراع لأجبت ولو اهدى الى ذراع او كراع لقبلت.

অর্থঃ- “আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমাকে যদি ছাগলের একটি ক্ষুরা অথবা একটি রান খাওয়ার জন্য দাওয়াত করা হয় অবশ্যই আমি তাতে সাড়া দিব। আর আমাকে যদি ছাগলের একটি ক্ষুরা কিংবা একটি রান হাদিয়া স্বরূপ দেয়া হয় তবুও আমি তা কবুল করব।” (বুখারী শরীফ ১/৩৪৯)

হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে,

تهادوا فان الهدية تذهب وحر الصدر ولا تحقرن جارة لجارتها ولو شق فرسن شاة.

অর্থঃ- “আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমরা হাদিয়ার আদান-প্রদান কর। কেননা হাদিয়া অন্তরের কলুষতা দূর করে। তোমরা হাদিয়াকে সামান্য মনে করে এক প্রতিবেশী অপর প্রতিবেশীকে হাদিয়া দিতে অবহেলা করোনা, যদিও তা এক টুকরা ভেড়ার ক্ষুরা হয়।” (তিরমিযী শরীফ)

অনুরূপভাবে হযরত যায়িদ ইবনে হারিসা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তাঁর ‘শাবলা’ নামক প্রিয় ঘোড়াটি শাফিউল মুজনেবীন, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে নিয়ে আসলেন। বললেন, “ইয়া রসূলাল্লাহ্, ইয়া হাবীবাল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এই ঘোড়াটি আমার সবচেয়ে প্রিয় ও পছন্দনীয়। আমি এই ঘোড়াটিই আল্লাহ্ পাক ও তাঁর প্রিয় হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খিদমতে হাদিয়া স্বরূপ পেশ করলাম। (তাফসীরে মাযহারী, তিবরাণী, হায়াতুছ্ ছাহাবা)

আল্লাহ্ পাক ও তাঁর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর খাছ মুহব্বত ও মা’রিফত লাভের জন্য সকলের একান্ত কর্তব্য হচ্ছে, যামানার যাঁরা বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অর্থাৎ যাঁরা যামানার মুযাদ্দিদ, কামিল বুযূর্গ, ওলী আল্লাহ্, রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি  ওয়া সাল্লাম-এর আল আওলাদ এবং স্বীয় পীর ছাহেব ইত্যাদি ব্যক্তিবর্গ-এর সাথে সাক্ষাতকালে তাঁদেরকে হাদিয়া প্রদান করা।

এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ্ পাক ইরশাদ করেন,

رضوان من الله اكبر.

অর্থাৎ- “আল্লাহ্ পাক-এর সন্তুষ্টি হচ্ছে সবচেয়ে বড় নিয়ামত। ” (সূরা তওবা/৭২)

আল্লাহ্ পাক-এর সন্তুষ্টি পেতে হলে পূর্ব শর্ত হচ্ছে, আখিরী রসূল, নূরে মুজাচ্ছাম, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সন্তুষ্টি অর্জন করা। আর এই সন্তুষ্টিই অর্জিত হয় স্বীয় মুর্শিদ ক্বিবলাকে হাদিয়া  প্রদান করার মাধ্যমে।

এ প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে যে, একবার শাইখুল ইসলাম, সুলতানুল আউলিয়া, হযরত খাজা আযীযান আলী রামিতানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর গৃহে হঠাৎ মেহমান আসলেন। সে সময় হযরতের ঘরে কোনই খাবার ছিলোনা। মেহমানদারীর জন্য মনে মনে তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে তাঁর  এক রুটি বিক্রেতা মুরীদ হাদিয়া স্বরূপ রুটি নিয়ে আসলেন। শাইখুল ইসলাম, সুলতানুল আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, “তোমার আজকের খিদমত (রুটি হাদিয়া) আমার খুবই পছন্দ হয়েছে, তাই তুমি আজ আমার নিকট যা চাবে তাই পাবে।” মুরীদ আরজ করলো, “হুযূর! বহুদিন হতে আমার মনের আকাঙ্খা, আমি যেন আপনার মত হতে পারি।” তাঁর শায়খ বললেন, “এটা খুবই কঠিন ব্যাপার। তুমি এটা ব্যতীত যা চাবে তাই পাবে। কারণ তুমি তা সহ্য করতে পারবেনা।” মুরীদ পুনরায় আরজ করলেন, “হে শায়খ! আমার অন্তরে এটা ছাড়া আর কোন আরজুই নেই।” শাইখুল ইসলাম হযরত খাজা আযীযান আলী রামিতানী রহমতুল্লাহি আলাইহি মুরীদকে অনেক বুঝালেন; কিন্তু তিনি নাছোড় বান্দা। বার বার একই আরজু পেশ করতে লাগলেন।

শাইখুল ইসলাম, সুলতানুল আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি অবশেষে বললেন, “আচ্ছা ঠিক আছে।” অতঃপর কামরায় নিয়ে গিয়ে তাঁকে ফয়েয ও তাওয়াজ্জুহ্ দানের পর যখন বাইরে নিয়ে আসলেন তখন উক্ত মুরীদের বাতিনী ছূরত তো দূরের কথা জাহিরী চেহারা পর্যন্ত পরিবর্তন হয়ে শাইখুল ইসলাম, সুলতানুল আউলিয়া হযরত আযিযান আলী রামিতানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মত হয়ে গিয়েছিল।” (সুবহানাল্লাহ) (হালাতে মাশায়েখে নক্শবন্দীয়া মুজাদ্দিদীয়া ১ম খন্ড, ২০০ পৃষ্ঠা)

মূলতঃ আল্লাহ্ পাক-এর ওলীগণের করুণা দৃষ্টি যখন যে মুরীদের উপর পতিত হয় তখন হাজার বছরের রাস্তা এক মুহূর্তের মধ্যে অতিক্রম করে সে মঞ্জিলে মাকসুদে  উপনীত হয়। সেজন্যই ইমামুশ্ শরীয়ত ওয়াত্ তরীক্বত, আওলাদে রসূল হযরত খাজা সাইয়্যিদ বাহাউদ্দীন নক্শবন্দ বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “কামিল মুকাম্মিল পীর ছাহেবের এক নজরে বাতিন এরূপ পরিষ্কার ও নূরানী হয়ে পড়ে যা বহু রিয়াজত ও মুশাক্কাতের দ্বারাও অর্জিত হয়না।” (হালাতে মাশায়েখে নক্শাবন্দীয়া মুজাদ্দিদীয়া ১ম খন্ড, ২০০ পৃষ্ঠা)

মুদ্দাকথা হচ্ছে, আল্লাহ্ পাক ও তাঁর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মারিফাত ও মুহব্বত হাছিলের জন্য স্বীয় পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলীকে হাদিয়া  প্রদান করতে হবে। কেননা পূর্ববর্তী যুগের  সকল ইমাম-মুজতাহিদ, ছূফী-দরবেশ ও আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিগণ আল্লাহ্ পাক-এর সন্তুষ্টি ও রেযামন্দি হাছিলের জন্য স্বীয় পীর ছাহেবের সন্তুষ্টি-রেযামন্দিকে প্রধান শর্ত বলে উল্লেখ করেছেন।   আল্লাহ্ পাক আমাদের সকলকে ইমামুল আইম্মা,  মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ্, গাউছূল আ’যম হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলীকে উত্তম বস্তু হাদিয়া প্রদানের মাধ্যমে তাঁর খাছ সন্তুষ্টি  ও রেযামন্দি  নছীব করুন। (আমিন)

-মাওলানা সাইয়্যিদ মুহম্মদ আখতারুজ্জামান।

সাইয়্যিদুল জিননি ওয়াল ইনস, ইমামুল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন, খতীবুল আম্বিয়া হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হায়াতুন নবী

ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, খাতামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মযদা-মতবা, শান-মান সকল নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণের চেয়ে অনেক উর্দ্ধে

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ছাহিবু মাক্বামি মাহমূদ, শাফউল উমাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম উনার শ্রেষ্ঠত্ব

সাইয়্যিদুল কাওনাইন, শাফিউল মুজনিবীন, ইমামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলে বাইতগণের ফযীলত

সাইয়্যিদুল বাররি ওয়াল বাহর, ইমামুস সাক্বালাইন, তাজেদারে মদীনা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আওলাদগণের ফযীলত