(৩৪তম ফতওয়া হিসেবে)
“মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিন মুবারক উনাদের সম্মানিত আমল মুবারকসমূহ উনাদের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ বেশুমার শুকরিয়া আদায় করছি।
(পূর্বপ্রকাশিতের পর)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জুমাদাল উখরা শরীফ মাসে প্রকাশিত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফসমূহ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশেষ তারীখ মুবারক= ৮খানা
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ= ১১খানা
৬) খ. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ:
সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আফদ্বলুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনয়িা ওয়াল আখিরাহ্, মালিকু জান্নাহ, মালিকুল কায়িনাত, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দীদার মুবারক-এ তাশরীফ মুবারক নেয়ার তারীখ মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
এক নজরে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পরিচিতি মুবারক
সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আফদ্বলুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মালিকুদ দুনয়িা ওয়াল আখিরাহ্, মালিকু জান্নাহ, মালিকুল কায়িনাত, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিত্বা মুবারক। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারিণী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিত মুহব্বত মুবারকই হচ্ছেন সম্মানিত ঈমান। সুবহানাল্লাহ! আর উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কাট্টা কুফরী। যারা উনার শান-মান নিয়ে চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করবে, উনার মানহানী করবে, তাদের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।
নিম্নে এক নজরে উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক তুলে ধরা হলো-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইসিম বা নাম মুবারক: সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুনিয়াত মুবারক: সইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল হাকাম আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক: উম্মুল মু’মিনীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আফদ্বলুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আত্ব ত্বাহিরাহ্, আত্ব ত্বইয়্যিবাহ্, মালিকুল জান্নাহ, মালিকুদ দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ্, মালিকুল কায়িনাত, যাতুল হিজরাতাইন এছাড়াও আরো অসংখ্য-অগণিত। সুবহানাল্লাহ!
যেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র লক্বব মুবারক দ্বারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেছেন: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা আলাইহিস সালাম: সাইয়্যিদুনা হযরত জাহ্শ ইবনে রিআব আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহাস সালাম: সাইয়্যিদাতুনা হযরত উমাইমাহ্ বিনতে আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বংশ মুবারক: বনূ আসাদ। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ: আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত ও রিসালাত মুবারক প্রকাশের ২০ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৯শে রবীউছ ছানী শরীফ ইয়াওমুল জুমু‘আহ্ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র স্থান মুবারক: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ, সম্মানিত ও পবিত্র হাবশাহ শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈমান মুবারক প্রকাশ: সম্মানিত ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সূচনালগ্নে। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হিজরত মুবারক: দুইবার। প্রথমবার সম্মানিত ও পবিত্র হাবশাহ শরীফ, দ্বিতীবার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ: ৫ম হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৮ই যিলক্বদ শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতু ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার রাত)। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় দুনিয়াবী দৃষ্টিতে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক: ৩৭ বছর ৬ মাস ১৯ দিন। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া: ৫ বছর ৪ মাস ৪ দিন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ: ২০ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার)। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র স্থান মুবারক: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক: ৫২ বছর ২ মাস ৪ দিন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জান্নাতুল বাক্বী শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
তিনি ছিলেন অত্যন্ত কোমল হৃদয় মুবারক উনার অধিকারী:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِسَيِّدِنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقِ الْاَعْظَمِ عَلَيْهِ السَّلَامِ اِنَّ اُمَّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ سَيِّدَتَـنَا حَضْرَتْ اَلسَّابِعَةَ اَطْوَلُ يَدَانِ عَلَيْـهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتَـنَا حَضْرَتْ زَيْـنَبَ بِنْتَ جَحْشٍ عَلَيْـهَا السَّلَامُ) اَوَّاهَةٌ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে উদ্দেশ্যে করে ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি অত্যন্ত কোমল হৃদয় মুবারক উনার অধিকারী।” সুবহানাল্লাহ! (সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১১/২০৩)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ اُمِّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلثَّالِثَةِ عَشَرَ عَلَيْـهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ مَيْمُوْنَةَ بِنْتِ الْـحَارِثِ عَلَيْـهَا السَّلَامُ) اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اِنَّـهَا اَوَّاهَةٌ
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ আশার আলাইহাস সালাম তিনি বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি অত্যন্ত কোমল হৃদয় মুবারক উনার অধিকারী।” সুবহানাল্লাহ! (সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১১/২০৩)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময়
বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি ২০ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন।” সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্য থেকে (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছছানী আশার আলাইহাস সালাম উনার পরে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি যে সর্বপ্রথম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করবেন সেই বিষয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন,
اَسْرَعُكُنَّ بِـىْ لُـحُوْقًا اَطْوَلُـكُنَّ يَدَانِ
অর্থ: “আপনাদের মধ্যে যাঁর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক) সবচেয়ে লম্বা তিনি আমার সঙ্গে অতিসত্ত্বর সাক্ষাত মুবারক করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে বাযযার, ছহীহ ইবনে হিব্বান)
অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে যাঁর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক) লম্বা হবেন, তিনি (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছছানী আশার আলাইহাস সালাম উনার পরে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করবেন। শাব্দিক অর্থ হিসাবে যাঁর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক লম্বা তিনিই প্রথমে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করবেন, বিষয়টা এরূপ না। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক লম্বা দ্বারা অত্যধিক দানশীলতাকে বুঝানো হয়েছে। কারণ, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক স্বাভাবিক থেকে বেশী লম্বা ছিলেন না। এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন,
فَكُـنَّا اِذَا اِجْتَمَعْنَا فِـىْ بَـيْتِ اِحْدَانَا بَـعْدَ وَفَاةِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَـمُدُّ اَيْدِيْـنَا فِـىْ الْـجِدَارِ نَــتَطَاوَلُ فَـلَمْ نَـزَلْ نَـفْعَلُ ذٰلِكَ حَتّٰـى تُـوُفِّــيَتْ اُمُّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ سَيِّدَتُـنَا حَضْرَتْ اَلسَّابِعَةُ اَطْوَلُ يَدَانِ عَلَيْـهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتُــنَا حَضْرَتْ زَيْـنَبُ عَلَيْهَا السَّلَامُ) وَكَانَتْ اِمْرَاَةٌ قَصِيْـرَةٌ وَلَـمْ تَكُنْ بِاَطْوَلِنَا فَـعَرَفْـنَا حِيْــنَـئِـذٍ اَنَّ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّـمَا اَرَادَ طَوْلَ الْيَدِ بِالصَّدَقَةِ وَكَانَتْ اُمُّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ سَيِّدَتُنا حَضْرَتْ اَلسَّابِعَةُ اَطْوَلُ يَدَانِ عَلَيْـهَا السَّلَامُ اِمْرَاَةً صَنَاعَ الْيَدَيْنِ فَكَانَتْ تَدْبَغُ وَتَـخْرُزُ وَتَـتَصَدَّقُ بِهٖ فِـىْ سَبِيْلِ اللهِ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম আমরা সবাই যখন আমাদের কোনো একজনের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ উনার মধ্যে একত্রিত হতাম, তখন আমরা সকলে আমাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক) লম্বা করে দেয়ালের সাথে লাগিয়ে মেপে দেখতাম যে, আমাদের মধ্যে কার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক সবচেয়ে বেশী লম্বা। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পূর্ব পর্যন্ত আমরা এ রকম করতাম। তিনি তত বেশি লম্বা ছিলেন না এবং যার কারণে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারকও আমাদের সকলের চেয়ে বেশি লম্বা ছিলেন না। যখন তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করলেন, তখন আমরা বুঝতে পারলাম যে, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আত্বওয়ালুু ইয়াদান (হাতের প্রশস্ততা) দ্বারা দান-ছদক্বাহ্কে বুঝিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি হাতের কাজে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। তিনি দাবাগাত এবং সেলাইয়ের কাজ করে অর্জিত সমস্ত অর্থ মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় দান করে দিতেন।” সুবহানাল্লাহ! (আল ইছাবাহ্ ৮/১৫৪)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার বিষয়ে বেমেছাল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফায়ছালা মুবারক:
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আশার আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার বিষয়ে বেমেছাল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফায়ছালা মুবারক প্রকাশ করেছেন। যা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য অত্যন্ত ফিকিরের বিষয়। তা হচ্ছেন- “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘আহ্ আত্বওয়ালুু ইয়াদান আলাইহাস সালাম তিনি তো ২০ হিজরী শরীফ-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। অথচ উনার আগে কিন্তু ১৬ হিজরীতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আশার আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। তাহলে এখন ফায়ছালাটা কি? কাফেরগুলি এটা দিয়ে বুঝাতে চায় যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আশার আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম ছিলেন না। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ!
প্রকৃতপক্ষে বিষয়টা হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ ইরশাদ মুবারক করেছেন,
اَسْرَعُكُنَّ بِـىْ لُـحُوْقًا اَطْوَلُـكُنَّ يَدَانِ
‘আপনাদের মধ্যে যাঁর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মাগফিরাত মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাত মুবারক) সবচেয়ে বেশী লম্বা তিনি আমার সঙ্গে অতিসত্ত্বর সাক্ষাত করবেন।’
তখন ওখানে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, উনাদের মধ্যে যিনি অধিক দানশীল উনার কথা বলা হয়েছে। ওখানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আশার আলাইহাস সালাম তিনি উপস্থিত ছিলেন না। উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফ ছিলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার আওয়ালী এলাকায় (উঁচু অঞ্চলে)। তিনি তখন সেখানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই, এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে কেন্দ্র করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আশার আলাইহাস সালাম উনার ব্যাপারে চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করাটা কাট্টা কুফরী এবং চির জাহান্নামী হওয়ার কারণ। না‘ঊযুবিল্লাহ! আর যারা চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করবে, তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তাদের তওবা ক্ববূল হবে না।” না‘ঊযুবিল্লাহ!
পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন।