রবিউল আউয়াল, রবিউল আউয়াল, আসিল বছর ঘুরে,
মজলুম তরে মুক্তির দিশা নিশ্চিত দেয় ধরে।
মুসলিম মোরা হৃদয় ভরে,
স্বাগত জানাই খোশ স্বরে।
মন্দের তরে রুখিয়া দাঁড়াই প্রতি মু’মিনীন মিলে,
ঈদে মীলাদের তাবারুক লয়ে সজীবের ডানা খুলে।
ঈদে মীলাদের দুশ্মন জানি ইহুদী-নাছারা, মুশরিকীন,
তাদের দালাল ঐ ওহাবী, খারিজী, মুনাফিক ফাসিকীন।
রসূল প্রেমিক আমরা সবাই,
দুশমন ধরে করছি যবাই।
রবিউল আউয়ালে উৎসাহ্ দেয় আপনা দারাজে তাই,
হাহাকার ভুলে ঝাপাইয়া পড়ি নববী জজ্বা লই।
অধুনা ওহাবী উলামায়ে ‘ছূ’ কহিছে ফতোয়া দিয়ে,
ঈদে মীলাদ নাকি লাহাবী রেওয়াজ হিন্দু-কৃষ্টি জিয়ে।
কুরআন-হাদীসে নেই কোথাও ঈদে মীলাদের কথা(?)
আজগুবি প্রথা আখ্যা দিয়া ইবলিছে ঢাকে মাথা।
হায়! হায়!! তারা কহে কিরে,
নাদানরা কি যে উদগারে!
নজদী-ওহাবীর চেলারা আজ এক ডোরে রহে গাঁথা,
সুন্নীবাদীর মীলাদ ক্বিয়ামে বাড়িছে চরম ব্যথা।
তাইতো খারিজী শেকায়েত গাহে,
নবী প্রেমিকদের মারিতে চাহে।
ইহুদী হস্তে ন্যস্ত রহিয়া দ্বন্দ্ব বাধায় খুব,
প্রতি মু’মিনের গোত্রে ঢুকিয়া ঢালে ইবলিছি ধূপ।
ঐক্য ভাঙ্গিয়া ফিরক্বা গড়ে,
হায়! ব্যঙ্গ হাসিতে ফেটে পড়ে।
নববী প্রেমের দূর্গ ভাঙ্গিতে তাহারা পাগল পারা,
সারাবিশ্বের সকল বাতিলে জোট বেঁধে করে তাড়া।
বাংলা, ভারত, আরব, আ’যমে ছড়াইয়া পড়ে আজ,
ধ্বংস করিছে সুন্নী দিশা এটাই মুখ্য কাজ।
শিয়া, খারিজী, রেজভী, কুর্দি, তুর্কি লক্বব নিয়ে,
ঈমানদারদের চিহ্নিত করে মারিছে জঙ্গি হয়ে।
তৈলের দেশ আরব এবার রক্তে ভাসিছে হায়,
মার্কিন-ইঙ্গ ইহুদীরা সব দাজ্জালী দিলে ধায়।
আর মরণ ছোবল হানছে ইহুদী-নাসারা, মজূসী মিলে,
সাথে যোগ দেয় উলামায়ে ‘ছূ’র দলে সৃষ্টির নিকৃষ্ট বলে।
আসাদ, লাদেন, সাদ্দাম, গাদ্দাফী,
খোমেনী, ফাহাদ, আরাফাত চুপিচুপি,
মুসলিম দেশ করিছে বিক্রি তাহজীব দেয় সপি,
পৃথিবীর সব মুসলিম নেতা লোভের শিকারে কাফী।
কাফিরের সাথে আঁতাত করিয়া জাহিরান সাজে সাধু,
দফাদার বনে ইহুদীবাদীর ভুগিছে শরাব শুধু।
ইঙ্গ, হিন্দু, ইহুদী মার্কি, দিচ্ছে অর্থ তন্বী লাড়কি।
খোদাদ্রোহীরা তাহাদের দিয়ে হানিলরে বিষ সুর্কি,
ইসলামে তারা কুফরী ঢুকায়ে ঐক্যরে দেয় ভড়কি।
দুর্বল করে মুসলিম দিশা কালো জিঞ্জিরে বেঁধে,
হয়রান করে ঈমানের শান মুর্দা শুটকি রোদে।
ধর্মীয় গুরু, রাস্ট্র প্রধান যত আছে মুসলিমে
চেয়ে দেখ তারা ইহুদী দালাল সদা রত অপকামে।
অর্থ ও যশ-প্রতিপত্তি লোভে বিলাইছে তাহজীব,
ইসলামকে তারা করিছে ঘায়েল কুফরীতে হয় গালিব।
ভারতবর্ষে হিন্দুরা হায় আইন জারি করে শুনো,
গরু কুরবানী বন্ধ করিল মসজিদ করে ধুনো।
পৈতা পরায়ে কহিছে তাহারা হিন্দু পরিচয়ে রহ,
মুসলিম নয় হিন্দু সবায় ভারত মাতার খুশী লহ।
নির্মমভাবে মুসলিম মেরে ইরাকে বাদশা ইহুদী হয়,
কুয়েতী তখ্তে আসন গাড়িয়া মুল্কে আরব কব্জা লয়।
মুসলমানের কৃষ্টি ধ্বসায়,
হানাদার ঐ নাসারা গোষ্ঠী হায়।
মুসলমানের ঘোর দুর্দিনে নায়িবে রসূল মুযাদ্দিদ,
হুংকার দিয়ে এগিয়ে আসেন হয়ে যে বীর খালিদ।
ইলাহী মশালে জ্বালান যে তিনি ইবলিছি খলতান্,
মাদানী বারীতে জাগ্রত করান লড়াকু ম’মিনী প্রাণ।
একবিংশের রবিউল আউয়াল আমাদের দেয় জানাই,
রাহবর আছেন রাজারবাগ শরীফ সেথা চলে আস সবাই,
তিনি ক্বাবিয়্যুল আউয়াল ইলাহীর ঢাল যেন,
তিনি জাব্বারিয়্যুল আউয়াল রসূলী জজ্বা হেন।
তিনি ক্বলবী জীবানু ধ্বংস করিয়া বানান নওজোয়ান,
ঐ নওজোয়ানরা কুফ্রী ধ্বসাতে দুর্বারে আগুয়ান।
মরদুদ ঐ পিছ্লায় পড়ে অপকীর্তির ভরে,
কল্পি বাসনা গোলেমালে ডুবে পালায় সে কোন দূরে।
ক্বাইয়্যুমুয্ যামান রাজারবাগী,
ইলাজ করেন সেই সে রোগী।
এখনো সময় আছেরে মু’মিন তমুদ্দুন রাখো জিয়ে,
সুন্নীদর্শে মুক্তি কেবল বস্তুবাদীর চেয়ে।
আশিকে রসূল মুসলিম জন বিশ্ববাসীর যত,
ত্বরিৎ গতিতে একত্র হও দেহে লহু মুছে ক্ষত।
চিহ্নিত কর কাফিরী ক্রুশ্,
বিঘ্নিত কর দালালী চুষ্।
উৎখাত কর সকল গালিজ প্রশ্রয় ছেড়ে দাও,
ঐ কুহেলিকা গতি দমকা গ্রহিয়া ঝড় বহাও।
পূর্ণভাবে ঘুরিয়া দাঁড়াও ছাহাবী যুগের দিকে,
গ্রহণ কর সৌর্য তাঁদের রহিয়োনা আর ফিঁকে।
শুনরে তামাম মুসলমান,
বিশ্বাস কর হাদীসের ফরমান।
পাঠান প্রতি শতাব্দিতে মুযাদ্দিদ খোদা মুক্তির অনুদানে,
সেই মুযাদ্দিদের তাজদীদে রোবে কেঁপে উঠে শয়তানে।
হিলী জাহানে শান্তি পতাকা তিনি যে ফের উড়ান,
ইক্বামতে দ্বীনে মুখরিত করেন প্রতি মু’মিনের প্রাণ।
রাজারবাগ শরীফ বাংলাদেশে,
মুযাদ্দিদ আসেন মাদানী বেশে।
লও তাঁরে চিনি দুনিয়াবাসী মুসলিম সব হুশে,
ছোহবত তাঁর পরম পাওয়া নাযাতের মোহ মিশে।
রহিওনা আর হিংসার ঘরে,
অলসি নিদ্রা দাওগো ছেড়ে।
প্রতি মুসলিমে কর্ণ, চক্ষু খুলিয়া যে রাখ ওরে,
রাহবর তোর তাশরীফ হয় আরশ থেকে পৃথ নীড়ে।
খুঁজিয়া-যাচিয়া চলে আয় তোরা আর সব ভাই ধরে,
খলীফা খোদার নায়িবে রসূল আসিলেন ভব চরে।
হে মহিয়ান আর গরিয়ান রব মালিকে জাহান কহি,
মোরা মুসলিমে সব গাউছি দুর্গে সমবেত হতে চাহি।
তব খলীফার ডাকে জানবাজি রেখে মোরা,
তব দুশমন ঘায়েলে রহিব ক্বায়িম জাররা লহুতে ঘেরা।
ফের বিশ্ব জুড়িয়া উড়াবো পতাকা ছাহাবা যুগের শান,
রসূলীবাগের সুন্নী আক্বীদায় আনিব যে সম্মান।
আনিব যে মোরা তৌহীদ রীতি ফুরকানী নিয়ামত,
গুড়াইয়া ফেলিবো কুফরী নীতির বিদ্রোহী মতামত।
মোদের অগ্রযাত্রা রুখিতে পারে না কেউ,
কুকুরের ন্যায় মরদুদ তাই করিতেছে ঘেউ ঘেউ।
আক্বীদা রাখি সিংহভাগ,
কায়িম-মোকামে মদীনা, রাজারবাগ।
আল্লাহ বীর সিপাহ্সালার ঐ যে নায়িবী সূর্য দেখ,
কাতার বাঁধ হে মুসলিম! আজ শহীদী শপথ রেখ।
হে দুনিয়ার তাগুত সকল! হুশিয়ার হয়ে যাও,
রাজারবাগী রাহ্বার তিনি রসূল দূত জেনে নাও।
হে আল্লাহ্! মোদের তৌফিক দিন আমরণ থাকিবার,
তব বন্ধু ছোহবত লুফিয়া লইব দুশমন রুখিবার।
-বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান, কারপাশা, মুন্সীগঞ্জ।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ‘ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ‘ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ১০
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, উলামায়ে ‘ছূ’দের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ১১