সাইয়্যিদুল আনাম, রউফুর রহীম, সরওয়ারে দো’আলম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চিকিৎসা পদ্ধতি

সংখ্যা: ১০৫তম সংখ্যা, ১১৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

-মুহম্মদ আব্দুল হাফিজ খান

يايها الناس قد جاءتكم موعظة من ربكم وسفاء لما فى الصدور وهدى ورحمة للمؤمنين.

অর্থঃ- “হে মানুষেরা! তোমাদের কাছে তোমাদের রবের পক্ষ থেকে এসেছে, উপদেশ বাণী এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হিদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য।” (সূরা ইউনুস/৫৭)    সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  বিশ্ব মানবতার উৎকর্ষ সাধনের সমস্ত পন্থা বাতলিয়ে দিয়েছেন। তারই ফলশ্রুতিতে ব্যাধিগ্রস্থ অন্তরের চিকিৎসার পাশাপাশি দৈহিক চিকিৎসার সমস্ত নিয়মাবলীও তিনি জানিয়ে দিয়ে গেছেন। শাফিউল উমাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিভিন্ন ঔষধ সেবন ও ব্যবহারের মাধ্যমে চিকিৎসা করেছেন। পাশাপাশি কুরআন শরীফের আয়াত, দোয়া, দরূদ, ঝাড়-ফুঁক এবং তাবিজের দ্বারাও চিকিৎসা করেছেন। আর সে কারণে উভয় পন্থাই সুন্নতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  হিসেবে গণ্য হয়েছে।       (১) মুসতাদরিকে হাকিমে বর্ণিত রয়েছে, হযরত সামুরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, আখিরী রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের চিকিৎসা সমূহের মধ্যে সর্বোত্তম চিকিৎসা হল শিংগা লাগানো।    (২) মিশকাত ও ইবনে মাযাহ্ শরীফে রয়েছে, যিকরুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিমাসে তিনদিন সকাল বেলায় মধু চেটে সেবন করবে তার কোন কঠিন রোগ ব্যাধি হবেনা।    (৩) বুখারী শরীফে রয়েছে, হাবীবে আ’যম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কালোজিরায় একমাত্র মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের চিকিৎসা নিহিত।      (৪) বুখারী শরীফে আরো রয়েছে, হযরত সা’দ ইবনে ওয়াক্কাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, ছহিবে রফা’না লাকা যিক্রক হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে সে দিন বিষ ও যাদু তার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা।   দোয়া-দরূদ, ঝাড়- ফুঁক এবং  তাবিজের দ্বারা চিকিৎসা     (১) হাদীস শরীফে রয়েছে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সূরা ফাতিহা প্রত্যেক রোগের জন্য শিফা।    (২) হযরত উসমান গণী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, একদা আমি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট মাথা ব্যথার অভিযোগ করি। তখন তিনি আমাকে বললেন, শরীরের যেস্থানে ব্যথা হচ্ছে সেখানে হাত রেখে ৩বার বিসমিল্লাহ পড় এবং ৭ বার

  اعوذ بالله وقدرته من شرما اجد وأحاذر.

দোয়াটি পাঠ কর। (৩) হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কোন চিন্তা ও পেরেশানী দেখা দিলে তিনি এই দোয়া পড়তেন,

يا حى يا قيوم برحمتك استغيث.

অর্থঃ- “হে চিরঞ্জীব, হে চিরন্তন, তোমার অনন্ত রহমতের উছীলায় প্রার্থনা করছি।” (হাকিম, তিরমিযী)    (৪) ইবনে মাযাহ্ শরীফে বর্ণিত রয়েছে, ছহিবে জামিউল কালিম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন,

ان فى الصلوة شفاء.

অর্থঃ- “নিশ্চয়ই নামাযের মধ্যে শিফা ও আরোগ্য রয়েছে।” গভীরভাবে ফিকির করলে অনুধাবন করা যায় যে, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নতগুলোই জিসমানী ও রূহানী তথা সর্ব প্রকার ব্যাধির আরোগ্য লাভের কারণ।       সুতরাং যিকরুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নতগুলোর উপর আমলই পার্থিব সুস্থতা, সুখ-শান্তি ও পরকালীন সাফল্যের সর্বোত্তম মাধ্যম।           মহান আল্লাহ্ পাক রব্বুল আলামীন, আমাদের হাক্বীক্বীভাবে সুন্নত-এর উপর আমল করার তৌফিক দান করুন। (আমীন)

সাইয়্যিদুল জিননি ওয়াল ইনস, ইমামুল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন, খতীবুল আম্বিয়া হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হায়াতুন নবী

ইমামুল মুরসালীন, রহমতুল্লিল আলামীন, খাতামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মযদা-মতবা, শান-মান সকল নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণের চেয়ে অনেক উর্দ্ধে

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ছাহিবু মাক্বামি মাহমূদ, শাফউল উমাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম উনার শ্রেষ্ঠত্ব

সাইয়্যিদুল কাওনাইন, শাফিউল মুজনিবীন, ইমামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলে বাইতগণের ফযীলত

সাইয়্যিদুল বাররি ওয়াল বাহর, ইমামুস সাক্বালাইন, তাজেদারে মদীনা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আওলাদগণের ফযীলত