ছাহিবে শাফায়াতে কুবরা, ছাহিবে মাক্বামে মাহমূদ, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহা সম্মানিত রওযা শরীফ ও মদীনা শরীফে দূরভিসন্ধিকারীদের ধ্বংস অত্যাবশকীয়

সংখ্যা: ২৪০তম সংখ্যা | বিভাগ:

ছাহিবে শাফায়াতে কুবরা, ছাহিবে মাক্বামে মাহমূদ, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহা সম্মানিত রওযা শরীফ ও মদীনা শরীফে দূরভিসন্ধিকারীদের ধ্বংস অত্যাবশকীয়


 

ان شانئك هو الابتر

অর্থ: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীরা ধ্বংস এবং নির্বংশ হয়ে যাবে। (পবিত্র সুরা কাওছার শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩)

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক কর্তৃক আখাচ্ছুল খাছভাবে মনোনীত। উনার সম্মানার্থে পবিত্র মদীনা শরীফকে সম্মানিত করা হয়েছে। পবিত্র মদীনা শরীফ উনার নিরাপত্তা ঘোষণা করা হয়েছে। মহা পবিত্র মদীনা শরীফে মহামারী ও রোগব্যাধি হবে না। বরং পবিত্র মদীনা শরীফ উনার পবিত্র যমীন ‘খাকে শিফা’। এখানে বিনা প্রয়োজনে অস্ত্র বহন করা, ঝগড়া-ফাসাদ করা নিষিদ্ধ। এমনকি দাজ্জালের ফিতনা হতেও পবিত্র মদীনা শরীফ পবিত্র। দাজ্জাল পবিত্র মদীনা শরীফে প্রবেশ করতে পারবেনা। হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা পবিত্র মদীনা শরীফকে সর্বদা পাহারা দেন।

সঙ্গত কারণেই পবিত্র মদীনা শরীফে ষড়যন্ত্র করা, এমনকি কোন ধরনের দূরভিসন্ধি নিয়ে পবিত্র এলাকায় প্রবেশ করা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কষ্ট দেওয়ার শামিল। আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কষ্ট দেওয়ার অর্থ হলো মহান আল্লাহ পাক উনাকেই কষ্ট দেওয়া। আর উনাদেরকে কষ্ট প্রদানকারীদের ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-

إِنَّ الَّذِينَ يُؤْذُونَ اللَّـهَ وَرَسُولَهُ لَعَنَهُمُ اللَّـهُ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَأَعَدَّ لَهُمْ عَذَابًا مُّهِينًا ﴿٥٧

অর্থ: যারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে কষ্ট দেয়, তাদের প্রতি দুনিয়া ও আখিরাতে মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত। তাদের জন্য রয়েছে কঠিন আযাব ও গজব। (পবিত্র সুরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭)

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عن حضرت سعد رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يكيد اهل المدينة احد الا انماع كما ينماع الـملح فى الماء

অর্থ: হযরত সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, পবিত্র মদীনা শরীফ উনার ব্যাপারে দুরভিসন্ধিকারী প্রত্যেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, যেভাবে লবন পানিতে মিশে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। (মুত্তাফাকুন আলাইহি)

সত্যিই মহা সম্মানিত রওজা শরীফ ও মহা সম্মানিত মদীনা শরীফে যারা ষড়যন্ত্র করেছে, বেআদবীর অপচেষ্টা করেছে, হাক্বীক্বী আদব রক্ষা করেনি, তারা প্রত্যেকেই অত্যধিক নির্মমভাবে ধ্বংস হয়েছে। খোদায়ী লা’নত তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। ইতিহাসে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নযীর স্থাপিত হয়েছে। নিম্নে এ বিষয়ে কিছু উপমা তুলে ধরা হলো।

নির্ভরযোগ্য ইতিহাস গ্রন্থ ‘তারীখে বাগদাদে’ উল্লেখ করা হয়, ৩৮৬ হিজরীতে পবিত্র মদীনা শরীফ মিশরীয় ফাতেমী উবায়দী শাসনের আওতার্ভূক্ত ছিল। তৎকালীন শাসকের ইহুদী উযীর পরামর্শ দিলো যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার, হযরত ছিদ্দীক্বে’ আকবর আলাইহিস সালাম, হযরত ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাদের মহা পবিত্র রওজা শরীফ মদীনা শরীফে স্থাপিত হওয়ায় সমস্ত মুসলমানগণ মদীনা শরীফ গমনে সর্বদা ব্যাকুল থাকেন। লক্ষ লক্ষ লোক সেখানে নিয়মিত যাতায়াত করেন। উনাদের জিসম মুবারক যদি মিসরে আনা হতো, তাহলে মানুষ মদীনা শরীফ উনার পরিবর্তে মিশর অভিমুখী হতো। ফলে মিসরবাসী অর্থনৈতিক-সামাজিকসহ সার্বিকভাবে লাভবান হতো। ইহুদী উযীরের পরামর্শে সেই শাসকও রাজি হয়ে গেল। পবিত্র কা’বা শরীফ হতে বিরত রাখার অপচেষ্টাকারী আবরাহার অনুকরণে সেই শাসক মিশরে সুরম্য ভবন তৈরী করলো এবং আবুল ফুতুহ নামীয় সেনাপতির তত্ত্বাবধানে মদীনা শরীফে সেনাবাহিনী প্রেরণ করলো। অবস্থা দৃষ্টে মদীনা শরীফবাসী প্রত্যেকেই বেরিয়ে আসলেন প্রতিবাদ প্রতিরোধের জন্য। কিন্তু সেনাবাহিনীর সামনে উনারা নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করলেন। উনারা আবুল ফুতুহকে এ ঘৃণ্য কাজে বারণ করলেন। অপর দিকে সকলেই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট রোনাজারী-আহাজারীর সাথে দোয়া করলেন। কিন্তু আবুল ফুতুহ তার সিদ্ধান্তে সে অটল রইল। পরিস্থিতির প্রতিকূলতার দরুণ পবিত্র মদীনা শরীফবাসী পবিত্র রওজা শরীফে কান্নাকাটি করত আপন গন্তব্যে ফিরে গেলেন। এ দিকে মিসরবাসী তাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে যখন উদ্যোগী হলো, তখনই আসলো কাফির নির্মূলে খোদায়ী ব্যবস্থাপনা। শুরু হলো প্রচ- বাতাস। বাতাসের তোড়ে সেনাবাহিনীর আসবাবপত্র উড়ে গেল। উদভ্রান্ত হলো তাদের বাহন গুলো। জন্তুগুলো সেনাবাহিনীকে পদপিষ্ট করলো। অনেকেই আহত-নিহত হলো। গুটি কয়েকজন মিসরে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে কোন রকমে রক্ষা পেলো। আর এভাবেই রওজা শরীফ বিরোধী প্রথম ষড়যন্ত্র নস্যাত করে দেওয়া হলো।

ওয়াফাউল ওয়াফা নামক গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়, পবিত্র রওযা শরীফ উনার ক্ষতিসাধনের প্রকাশ্য অপপ্রচেষ্টা সমূলে বিধ্বংস হলে, তারা গোপন ষড়যন্ত্রকে বেছে নেয়। ৪১১ হিজরীতে তারা গোপনে কিছু লোককে প্রেরণ করে। তারা দূর থেকে সুড়ঙ্গ করতে থাকে। তাদের সুড়ঙ্গ পবিত্র রওজা শরীফ উনার নিকটবর্তী হলে খোদায়ী কুদরত ও হাবীবী মু’জিযা শরীফ জাহির হয়। সুড়ঙ্গের যেখানে তারা কাজ ও অবস্থান করছিল, ঠিক সেই বরাবর বিকট শব্দে বজ্রপাত হয়। ফলশ্রুতিতে তারা ও তাদের সুড়ঙ্গ উম্মোচিত হয়ে পড়ে। এদিকে গাইবীভাবে নেদা হয়, “হে মদীনা শরীফবাসী! এরা মহা সম্মানিত রওজা শরীফ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এদেরকে গ্রেফতার করুন এবং দৃষ্টান্তূলক শাস্তি প্রদান করুন।” মূহুর্তের মধ্যে মদীনা শরীফবাসীগণ যথাস্থানে উপস্থিত হন এবং তাদের সকলকে গ্রেফতার করে শুলে চড়িয়ে হত্যা করেন। আর এভাবেই পবিত্র রওজা শরীফ উনার সাথে বেআদবী কারীদের দ্বিতীয় ষড়যন্ত্র মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়া হয়।

৫৫০ হিজরীতে পবিত্র রওজা শরীফ উনাকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের তৃতীয় ঘটনা ইতিহাসে বেশ প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। বিশিষ্ট বুযুর্গ, সুলতান নূরুদ্দীন জঙ্গী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বপ্নে বিশেষ সাক্ষাত মুবারক প্রদান করেন। নীল চোখা দুই খ্রিস্টানকে দেখিয়ে বলেন, “হে নূরুদ্দীন জঙ্গী রহমতুল্লাহি আলাইহি এদেরকে গ্রেফতার করুন। এরা আমাকে কষ্ট দিচ্ছে।” মুবারক নির্দেশ পেয়ে তিনি হাবীবী দুশমনদের গ্রেফতারের জন্য অভিযানে বেরিয়ে পড়েন। হিকমতপূর্ণ বিভিন্ন কৌশলে তাদেরকে তিনি গ্রেফতার করে তাদের শক্ত জবাবদিহী নেন। পরিশেষে প্রমাণিত হয় যে, ইহুদীদের অর্থ ও পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা রওজা শরীফ হতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র জিসম মুবারক চুরি করতে এসেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা সুড়ঙ্গ কেটে এগুচ্ছিল। কিন্তু রওজা শরীফ উনার নিকটবর্তী হলে তারা ভয়াবহ শব্দ শুনতে পায়। যা তাদের অন্তরে ভীতি সঞ্চার করে। সুলতান নূরুদ্দীন জঙ্গী রহমতুল্লাহি আলাইহি রওজা শরীফ উনাকে নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের কঠিন শাস্তি প্রদান করেন। তিলে তিলে শাস্তি প্রদান করত শুলে চড়িয়ে তাদেরকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন। পাশাপাশি পবিত্র রওজা শরীফ উনার চতুর্দিকে গভীর খনন করে শিসা ঢালাই করেন দেন। যাতে করে পরবর্তীতে কেউ যেন আর কখনোই সুড়ঙ্গ পথে এগুতে না পারে। আর এভাবেই রওজা শরীফ নিয়ে দূরীভসন্ধির বিনাশ সাধিত হয়।

সুলতান নূরুদ্দীন জঙ্গী রহমতুল্লাহি আলাইহি পবিত্র রওজা শরীফ উনার চতুপার্শ্বে সীসা ঢালাই করে দেওয়ায় পবিত্র রওযা শরীফ নিয়ে গোপন ষড়যন্ত্রের যবনিপাত ঘটে বিধায় লা’নতগ্রস্তরা নতুন পরিকল্পনা নিয়ে আগায়। কিতাবে উল্লেখ আছে, শিয়া ও রাফেযীরা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পাশে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম ও হযরত ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাদের রওজা শরীফ সহ্য করতে পারেনা বিধায় একদা তারা মদীনা শরীফ উনার গভর্ণরকে অর্থের বিনিময়ে হাত করে। অর্থে বিক্রয় হওয়া গভর্ণর পবিত্র রওজা শরীফ উনার খাদিমকে বলে, “এরা যখন পবিত্র রওজা শরীফ উনার দরজা মুবারক খুলতে বলবে, আপনি তখন তা খুলে দিবেন। তাদের কোন কাজে আপনি বাধা বা আপত্তি করবেন না।”

পবিত্র রওজা শরীফ উনার খাদিম নিজেই পরবর্তীতে বর্ণনা করেন যে, বাদ ইশা পুরো মদীনা শরীফ নীরব নিস্তব্ধ হয়ে যায়। শিয়া-রাফেযী সম্প্রদায়ের চল্লিশজন লোক হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম এবং হযরত ফারুকে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাদের জিসম মুবারক সরিয়ে নেওয়ার জন্য এগিয়ে আসে। প্রত্যেকের হাতে রয়েছে কোদাল, শাবলসহ রওজা শরীফ খননের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। তারা বাবুস সালামে এসে করাঘাত করে। গভর্ণরের নির্দেশে অসহায় হয়ে লা’নত বর্ষনের আশঙ্কায় ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় পবিত্র রওযা শরীফ উনার খাদিম দরজা মুবারক খুলে দিয়ে দূরে সরে পড়েন। আর কান্নাকাটি রোনাজারী করতে থাকেন। এদিকে ইসলাম উনার দুশমন এই শিয়ারা দরজা মুবারক দিয়ে ঢুকে পড়ে। কিন্তু তারা পবিত্র রওজা শরীফ উনার নিকটবর্তী হওয়া মাত্রই বিকট শব্দে যমীন ফাঁক হয়ে যায়। ষড়যন্ত্রে লিপ্ত চল্লিশজন তাদের আসবাবপত্রসহ চোখের পলকে মাটিতে মিশে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। মহান আল্লাহ পাক রওজা শরীফ উনার সাথে বেয়াদবীকারীদেরকে পুরোপুরি বিলীন করে দেন।

উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা প্রতিভাত হয় যে, পবিত্র মদীনা শরীফ ও পবিত্র রওযা শরীফ উনাদের কোন ধরনের অনিষ্ট করতে বা পবিত্র জিসম মুবাক চুরি বা স্থানান্তরের জন্য যারাই অপচেষ্টা চালিয়েছে, প্রত্যেকেই অকল্পনীয়ভাবে লা’নতগ্রস্ত হয়ে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন ও বিলীন হয়েছে। কিয়ামত পর্যন্ত যারাই এরুপ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবে, সকলেই নির্মমভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে যাবে।

কাজেই, সউদী ওহাবী ইহুদী সরকারের উচিত উপরোক্ত ঘটনাবলী হতে ইবরত-নছীহত গ্রহণ করত পবিত্র মদীনা শরীফ ও পবিত্র রওজা শরীফ উনাদের ব্যাপারে সর্বপ্রকার দূরভিসন্ধি হতে সরে থাকা। সেখানে শরীয়ত বিরোধী সর্বপ্রকার কার্যক্রম বন্ধ করা। অন্যথায় তাদের ধ্বংস অনিবার্য। যা বলাই বাহুল্য।


-আল্লামা ইমাদুদ্দীন আহমদ হুসাইন

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম