সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদ যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-৩০

সংখ্যা: ২৬০তম সংখ্যা | বিভাগ:

(বিলাদত শরীফ ৫৩৬ হিজরী, বিছাল শরীফ ৬৩৩ হিজরী)

মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট থেকে

আনুষ্ঠানিক খিলাফত লাভ:

সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার মহান পীর ও মুর্শিদ ক্বিবলা কুতুবুল আকতাব খাজায়ে জাহাঁ সাইয়্যিদুনা হযরত উছমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে নিজের মুবারক জানের চেয়ে বেশি মুহব্বত করতেন। সুবহানাল্লাহ!

জান-মাল সময়, শ্রম সব কিছু দিয়েই উনার খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দিতেন। সুদীর্ঘ সাড়ে বিশ বছর যেভাবে উনার খিদমত মুবারকে আঞ্জাম দিয়েছেন তার  কোনো তুলনা নেই। তিনি জীবনের বিরাট সময় সফরে অতিবাহিত করেছেন। এই দীর্ঘ সফরের কষ্টকে তিনি কোনো কষ্টই মনে করেননি। স্বীয় পীর ও মুর্শিদ ক্বিবলা উনার সফরের যাবতীয় জিনিসপত্র তিনি নিজেই মাথায় বহন করেছিলেন। তিনি দৈহিক মানসিক উভয় দিক দিয়েই উনার খিদমতের জন্য সদা প্রস্তুত থাকতেন। যাতে নিজের পীর ও মুর্শিদ উনার কোনো কষ্ট না হয় সেদিকে সবসময় নজর রাখতেন। নিজের সুখ শান্তি আরাম ও আয়েশের কথা কখনো চিন্তাও করতেন না। সুবহানাল্লাহ!

উনার এরূপ নজীরবিহীন, তুলনাহীন খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দেয়া দেখে কুতুবুল আকতাব খাঁজায়ে জাহাঁ সাইয়্যিদুনা হযরত উছমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলইহি উনার অন্তর মুবারক বিগলিত হয়েছিল। তিনি অন্তরের অন্তস্থল থেকে উনার জন্য নজীরবিহীন দোয়া মুবারক করেছিলেন। তিনি উনার প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেছিলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যদি আমাকে বলেন, হে উছমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনি আমার জন্য কি নিয়ে এসেছেন? তখন আমি বলবো, হে মহান আল্লাহ পাক! আমি আপনার জন্য মুঈনুদ্দীন উনাকে নিয়ে এসেছি। সুবহানাল্লাহ! তিনি এ সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করেই ক্ষান্ত হননি। তিনি উনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে খিলাফত দান করতঃ নিজের গদিনসীন বা স্থলাভিষিক্ত করলেন। এ সময় কুতুবুল মাশায়িখ সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বয়স মুবারক হয়েছিল ৫২ বছর। (ইকতিবাসুল আনওয়ার-১১৬, ছিয়ারুল আকতাব-১২৩, আনিসুল আরওয়াহ-৩২)

কুতুবুল মাশায়িখ, সুলতানুল হিন্দ, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত ও সামদৃত কিতাব ‘আনিসুল আরওয়াহ’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন, কুতুবুল আকতাব, খাজায়ে খাজেঁগা সাইয়্যিদুনা হযরত উছমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একদিন বলেন, মুঈনুদ্দীন! আমি এখন আপনাকে যে চারটি জিনিস নিয়ামতস্বরূপ দিচ্ছি তার প্রতিটি জিনিসই আমাদের সম্মানিত ত্বরীক্বার মহান পীর ও মুর্শিদগণ উনাদের মাধ্যমে আমার কাছে এসেছে। এগুলো সবই পবিত্র ত্বরীক্বা উনার আমানত। যা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট থেকে সিলসিলানুক্রমে আমার নিকট আমানত ছিল। আজ আমি আপনার মুবারক হাতে তা অর্পণ করলাম। আশা করছি আপনি এগুলোর হক্ব পরিপূর্ণরূপে আদায় করবেন। আপনার পরে আপনি যাকে উপযুক্ত মনে করবেন উনার নিকট এই আমানত সমর্পণ করবেন। আর এর আইন-কানুন, বিধি-বিধান, নিয়ম-কানুন ভালোভাবে বুঝিয়ে দিবেন।

মুঈনুদ্দীন! আমি এ সমস্ত জিনিস আপনার কামালিয়াত বা পরিপূর্ণতার নিদর্শনস্বরূপ হাদিয়া করলাম। আর আমার কাজ চূড়ান্তভাবে সমাধা করলাম। আপনিও এ পদ্ধতি ও নিয়ম-কানুন মেনে চলবেন। যোগ্য ও নেকপুত্ররূপী খলীফা তো তিনিই যিনি নিজের পীর ও মুর্শিদ ক্বিবলা উনার আদেশ-নিষেধসমূহকে তার কর্ম তালিকার মধ্যে শীর্ষে স্থান দেয়। নিজের শাজরা শরীফের মধ্যে ইহাকে লিপিবদ্ধ করে রাখে। আর এভাবে তিনি ও উনার মুরীদানদেরকে পরিচালিত করেন যাতে ক্বিয়ামতের দিন লজ্জিত হতে না হয়।

তারপর তিনি উনার সামনে রক্ষিত আছা বা লাঠি মুবারক তুলে আমাকে দিলেন। এরপর খিরকা মুবারক ও নালাইন শরীফ বা সেন্ডেল মুবারক দিলেন। সবশেষে জায়নামায (মুছল্লা) মুবারক দান করে আমাকে সরফরাজ বা গৌরবান্বিত করলেন। অতঃপর বললেন, সাধারণ মানুষের সাথে সম্পর্ক রাখবেন না। মানুষের ভীড় হতে দূরে থাকবেন। জনকোলাহল হতে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখবেন। কখনো কারো নিকট কিছু চাইবেন না।

তারপর তিনি আমাকে নিয়ে লোক চক্ষুর অন্তরালে গেলেন। আমার কপালে বুছা দিলেন এবং বললেন এখন আপনি সম্পূর্ণরূপে মহান আল্লাহ পাক উনার জিম্মাদারিতে চলে গেলেন।

পরে তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার ধ্যানে বিলীন হয়ে গেলেন। আর আমি আমার চোখের পানি মুবারক মুছতে মুছতে পবিত্র খানকা শরীফ হতে বের হলাম। (আনিসুল আরওয়াহ-৩৪, মুছালিকুছ ছালিকীন-২/২৭৫, গরীবে নেওয়াজ উনার পূর্ণাঙ্গ জীবনী-১০৩)

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত হযরত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১২৯

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দিদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩০

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩১

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফদ্বালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩২

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফদ্বালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৩