আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদনঃ প্রতিটি নর-নারীর জন্যে পর্দা পালন করা ফরয। খাছভাবে মহিলাদের পর্দা করা অতীব জরুরী। কোন ব্যক্তি পর্দা না করার কারণে দাইয়্যূস হবে কিন্তু তার ঈমান থাকবে। আর কোন ব্যক্তি যদি বলে, ‘এত পর্দার দরকার নেই’ তাহলে সে পর্দা অস্বীকার করার কারণে কুফরী করে কাফির হয়ে আবাদুল আবাদের জন্যে জাহান্নামী হয়ে যাবে। বর্তমানে উলামায়ে ‘ছূ’দেরও অনুরূপ অবস্থা হয়েছে। তারা পর্দাকে কোন গুরুত্বই দেয়না।
ইমামুল আইম্মা, মুহইস সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, আওলাদুর রসূল, মুজাদ্দিদুয্ যামান, হাবীবুল্লাহ্, ঢাকা রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর মজলিশে আলোচনায় একথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে ওলামায়ে ‘ছূ”রাই যদি বেপর্দা হয় তাহলে আম জনতার কি অবস্থা হবে তা খুব সহজেই অনুমেয়।
তিনি বলেন, আজ লোকজনের মাঝে জজবা রয়েছে, আমলের আগ্রহ আছে, তারা নামায-কালাম, ইবাদত-বন্দেগী, হজ্ব, যাকাত, মুয়ামেলাত-মুয়াশেরাত ইত্যাদি করে এ থেকে তাদের ফিরানো যাবেনা, তাই শয়তান তাদেরকে খুব সুক্ষ্মভাবে বেপর্দা করে দাইয়্যূস বানিয়ে ঈমান থেকে সরিয়ে জাহান্নামী করে দিচ্ছে। কাজেই সকলের উচিৎ উলামায়ে‘ছূ’দের থেকে পরহিয থেকে খাছ শরীয়তী পর্দা পালন করা।
উল্লেখ্য, আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত সূত্রে প্রকাশ, গত ২৫ মে’০৩ রোববার হতে ৩ জুন মঙ্গলবার পর্যন্ত ইমামুল আইম্মা, মুহইস্ সুন্নাহ্, মুযাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল, ঢাকা রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আহলে বাইতসহ সিলেট বিভাগের ৪ জিলায় ১০ দিনের এক বিশেষ ছফর করেন। ছফরের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন যথাক্রমে ২৫, ২৬ ও ২৭ মে হবিগঞ্জে হোটেল আলিফে অবস্থান, তা’লীম-তালক্বীন ও বাইয়াত প্রদান করা হয়। প্রথম দিন ২৫ মে রোববার হবিগঞ্জ টাউন হল অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে তিনি প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন।
ছফরের চতুর্থ ও পঞ্চম দিন যথাক্রমে ২৮ ও ২৯ মে বুধ ও বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজারের হোটেল ওয়েষ্টার্ণ প্রৗাজায় অবস্থান, তা’লীম-তালক্বীন ও বাইয়াত প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। ২৮ মে বুধবার বুদ্ধিমন্তপুর জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন।
ছফরের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম দিন যথাক্রমে ৩০, ৩১ মে ও ১ জুন সুনাগঞ্জের হোটেল প্যালেসে অবস্থান তা’লীম-তালক্বীন ও বাইয়াত অনুষ্ঠিত হয়। ৩০মে, শুক্রবার হোটেল নূরানীর সামনে ওয়াজ ও দায়ার মাহফিলে তিনি প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন।
ছফরের নবম দশম দিন, ২,৩ জুন, সোম ও মঙ্গলবার সিলেটের হোটেল সিলেট প্লাজায় অবস্থান করে তা’লীম-তালক্বীন ও বাইয়াত প্রদান করেন। ২ জুন, সোমবার, সিলেট উপশহরের ডি ব্লকে, হাজী নূরুল হক ম্যানসনের সামনে ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে তিনি প্রধান অতিথির বয়ান পেশ করেন।
উল্লেখ্য, এসব ছফরে সাইয়্যিদাতুন নিসা, হাবীবাতুল্লাহ্, আমাতুল জাব্বার, কায়িম-মকামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহাল আলীয়া খাছ শরীয়তী পর্দার সাথে স্থানীয় মহিলাদের দ্বীনী তা’লীম-তালক্বীন, ওয়াজ-নছীহত করেন। এতে ছফরকৃত জেলা সমূহে মহিলাদের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
বিশেষতঃ ১ জুন, সিলেটের দৈনিক সিলেট বাণী, ১ জুন, দৈনিক কাজিরবাজার, ১ জুন, দৈনিক জালালাবাদ, ১ জুন, দৈনিক মানচিত্র, ২ জুন, দৈনিক শ্যামল সিলেট, ২ জুন, দৈনিক সিলেটের ডাক-এ মহিলাদের তা’লীম-তালক্বীনের খবর প্রকাশিত হয়। খবর পড়ে ব্যাপকহারে স্থানীয় মহিলাগণ হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহাল আলীয়া-এর নিকট তা’লীম-তালক্বীন নিতে ছুটে আসে।
এদিকে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিলুৗহুল আলী-এর নিকট হক্বপন্থী পুরুষেরা তা’লীম-তালক্বীন ও বাইয়াত নিতে ছুটে আসে। সিলেটের সর্বত্র আওলাদে রসূল, মুজাদ্দিদুয্ যামানের আগমনে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়। দিন-রাত দলে দলে লোক জনের আগমন ঘটে।
বলাবাহুল্য, এ বিষয়টি স্বভাবতঃই ইসলামের চিরন্তন শত্রু উলামায়ে ‘ছূ’দের অন্তরে ভীষণ মর্মজ্বালা তৈরী করে। তাই তারা বিভিন্ন প্রপাগাণ্ডা ছড়াতে চেষ্টা করে। এমনকি কয়েকজন রিপোর্টারকে হাত করে পত্রিকার পাতায়ও সম্পূর্ণ মিথ্যা সংবাদ ছাপায়।
কিন্তু এই মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর পক্ষ থেকে প্রকৃত সত্য তুলে ধরাসহ তীব্র প্রতিবাদ জানানো হলে তার ফলশ্রুতিতে স্থানীয় পত্রিকা যথা- ৫ জুন, দৈনিক সিলেট বাণী, ৫ জুন, দৈনিক কাজির বাজারে, ৬ জুন, দৈনিক শ্যামল সিলেট, এছাড়াও ৪ জুন, দৈনিক সংগ্রাম, ৭ জুন, দৈনিক বাংলাবাজার, ৭ জুন, দৈনিক সংবাদ, ৭ জুন, দৈনিক যুগান্তর, ৮ জুন, দৈনিক ভোরের কাগজ, ৮ জুন, দৈনিক জনকণ্ঠসহ আরো বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকৃত সত্য ঘটনা ও জোরালো প্রতিবাদ তুলে ধরা হয়।
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহ্ফিল সংবাদ
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ